আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু জুলাইয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবসান ঘটতে চলছে দেশের প্রথম পাতাল পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণকাজ শুরুর অপেক্ষার। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারই অংশ হিসেবে পাতাল রেল এমআরটি লাইন-৫-এর উত্তরা রুটের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) কাজ শুরু জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে গাজীপুর সিটিতে বন্ধ মোটরসাইকেল

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ও টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।

মোট ১০টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজের মাধ্যমে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫-এর কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (বাংলাদেশ) এই প্যাকেজের কাজ করবে। এ ছাড়া অন্যান্য প্যাকেজগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে।

আরও পড়ুন: মোদির পা ছুঁয়ে সালাম করলেন পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী

এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী উঠা নামায় মোট ১৪টি স্টেশন (৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল) থাকবে।

এমআরটি লাইন-৫-এর রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো, হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী। সেখান থেকে দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে যাবে বনানী। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। এবং গাবতলী থেকে নতুনবাজার অংশে পাতাল মেট্রোরেল হবে।

আরও পড়ুন: জুনের শুরুতেই অর্থ সংকটে পড়বে মার্কিন সরকার

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধিনে এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি হতে পাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও প্রকল্প সহয়তা থেকে পাবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি।


আরও খবর



পাঁচ লাখ রুবলের বিনিময়ে মস্কোতে হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোর ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে হামলা চালানোর জন্য পাঁচ লাখ রুবল বা পাঁচ হাজার ৪০০ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

রোববার এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস। হামলার পর দীর্ঘ চেষ্টার শেষে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন মস্কোর গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। এদিকে হামলায় নিহতের ঘটনায় শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতারা।

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি বলেছেন, টাকার জন্য আমি ক্রোকাসে মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছি। আমাকে প্রায় ৫,০০,০০০ রুবল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

তাসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য হামলায় আগেই ওই ব্যক্তিকে কার্ডে প্রতিশ্রুত অর্থের অর্ধেক অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছিল। এছাড়া কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

যদিও গ্রেফতারের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ওই ব্যক্তি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানানো হয়েছে তাসের প্রতিবেদনে।

এদিকে, হামলায় নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণা অনুযায়ী, সংসদের নিন্মকক্ষ দুমাসহ রোববার সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। ক্রোকাস সিটি হলের বাইরে ফুল, মোমবাতি আর বিভিন্ন ধরনের পোস্টার দিয়ে মোকার্ত রাশিয়ানরা নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত ও বিবেকহীন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এতগুলো নিরপরাধ লোকের প্রাণহানি ঘটায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমি নিহতদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা এ হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া এ হামলায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ন্যাটো, চীন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ।

বন্দুকধারীদের হামলার পর ঘটনাস্থল মস্কোর ক্রোকাস সিটিতে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ। তবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও আশপাশের এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়া হামলায় নিহত ১৩৩ ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আহত ১০৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার ১৪ ঘণ্টা পর রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ১১ জনকে আটক করার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছে, এদের মধ্যে চার জন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিল। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এরা বিদেশি নাগরিক। অসমর্থিত সূত্রগুলো এই ব্যক্তিদের তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইএস বলেছে তারাই এ হামলা চালিয়েছে। শনিবার তারা মুখে মাস্ক পরিহিত চার হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে। তবে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। বিক্রি শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটগুলো ওপেন হয়েছে। দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের টিকিটগুলো বিক্রি শুরু হবে। পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে প্রায় ১৬ হাজার আসন সংখ্যা ছিল। সর্বশেষ সাড়ে ১০টায় যে তথ্য পেয়েছি তাতে ১১ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই ১১ হাজার টিকিট নেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টায় প্রায় ১৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ ৩ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিতের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



রমজানে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ১৫ দিনে দেশে এলো ১০২ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে এসেছে ১০১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার। তবে দেশে কার্যরত ১০টি ব্যাংকে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকও রয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলমান মার্চের প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে ১০১ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পৌঁছেছে।

এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আর ১ থেকে ৮ মার্চ পৌঁছেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে আলোচ্য সময়ে ১০ ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে ১টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক রয়েছে। সেটি হলো- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ১টি বিশেষায়িত ব্যাংকে প্রবাসী আয় পৌঁছেনি। সেটি হলো- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

এছাড়া ৪টি বেসরকারি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসেনি। সেগুলো হলো- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। তাছাড়া ৪টি বিদেশি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স পৌঁছেনি। এগুলো হলো-হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক।

উল্লেখ্য, বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যা সর্বোচ্চ।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

কুমিল্লা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এএনএম জোবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা দাবি করে বলেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের (হুমকি) উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার।

আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস (বিচার) পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতীয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে।

আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎ সাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ".... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে?

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সো কিনা আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না। আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম। 

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম বলেন, গত দেড় বছর আগে অবন্তিকা ফেসবুকের ফেইক আইডি খুলে কয়েকজনকে বাজে কমেন্ট করার অভিযোগে তারা কোতোয়ালি থানায় জিডি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবন্তিকা প্রক্টর অফিসে এলে তাদের মাঝে মিউচুয়াল করে দেন তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল। পরবর্তীতে আমি একই জেলার হওয়া আমার কাছে অবন্তিকা ও তার মা জিডি তোলার বিষয়ে এলে আমি তাতে অপারগতা প্রকাশ করি। জিডি ওঠাতে পারে একমাত্র প্রক্টর। আমি তাদের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে আর কখনো আসেনি।

তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কখনো ওই মেয়ের সঙ্গে একা কথা বলিনি। তাকে যতবার ডাকা হয়েছে সর্বদা প্রক্টর অফিসেই সকলের সামনে ডাকা হয়েছে। আর ওখানে বসে এসব ভাষায় গালি দেব এটা কেমন কথা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফিরলেন আরও দুইজন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেছেন আরও দুইজন। এ নিয়ে ১৪ জনের মধ্যে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেলেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন।

আজ রবিবার ভর্তি রোগীদের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভর্তি থাকা ৩ জন রোগীকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তবে তারাও সুস্থতার দিকে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে। তবে এখনই তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, বেইলি রোডের গ্রিন কেজি কটেজেআগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুজন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বাকি দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর