আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র শীতে কাবু হয়ে হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসি। বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে। 

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ। ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের।

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। গত তিনদিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় ১৫শ রোগী ঠাণ্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আলুক্ষেতে আগামধসা ও নাবিধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সেজন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এ জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লেনদেন অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেলা ১১টার আগে ক্রেতা ও গ্রাহকদের দেখা মিলছে না।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভিক্টোরিয়া জুবিলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সকালের শিফট শীতের কারণে সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৮টায় করা হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হলেও ওপরের শ্রেণিতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, তীব্র শীতে বাচ্চারা উঠতে চাইছে না। আমরাও জোর করতে পারছি না। এই জন্যেই মাঝেমধ্যেই স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছে বাচ্চাদের।

বৃহস্পতিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে কাজের সন্ধানে আসা কয়েকজন দিনমজুর জানান, তীব্র শীতে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। যেন বরফ পড়ছে। মনে হচ্ছে একটা আস্ত ফ্রিজের মধ্যে রয়েছি। শীতের কারণে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মেহেরপুরে ভেজাল বীজে কপাল পুড়লো বাঁধাকপি চাষিদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মেহেরপুর প্রতিনিধি

Image

মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে ভেজাল বীজে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বাঁধাকপিতে। নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় প্রায় একশ বিঘা জমির বাঁধাকপির পাতা না বাঁধায় মাথায় হাত চাষিদের। এতে অন্তত প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। জেবিটি সিডসের রাজাসান বাঁধাকপির বীজ কিনে এধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।

সরেজমিনে চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে দেখা যায়, নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় মাঠের পর মাঠ বাঁধাকপির আবাদ হলেও কপির পাতা বাঁধেনি। কপির পাতা কুকড়িয়ে ও পঁচে যাচ্ছে। জেবিটি সিডসের রাজাসান কপির বীজ কিনে চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কপির পাতা না বাঁধার কারণে অনেকে কপি নষ্ট করে জমি চাষ দিচ্ছেন অন্য ফসল আবাদ করার জন্য।

চাষিরা জানায়, স্থানীয় চকশ্যামনগর-বন্দর এলাকার সার ব্যবসায়ী আনারুলের কাছে থেকে জেবিটি সিডসের সরবরাহকৃত রাজাসান বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছ জন্মালেও এখন পাতা বাঁধছে না। অন্যরা অন্যান্য কোম্পানির দেওয়া বীজ রোপন করে তারা বাঁধাকপি বাজারে তুলেছেন। অথচ জেবিটি কোম্পানির রাজাসান কপি আজও পাতা বাঁধেনি।

চাষিরা আরও জানান, একেকটি গাছের ৩-৪টি ডগা গজিয়েছে। আবার অনেকটা পাতা কোকড়ানো। পাতা পচে যাচ্ছে। সার বীজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ কপি চাষে। চাষিদের দাবি বীজ ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আসবে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কালু মন্ডল বলেন, স্থানীয় বীজ ডিলার আনারুলের কাছে রাজাসান জাতের  বীজ কিনে এক বিঘা জমিতে কপি রোপন করি। এতে আমার ১২ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অন্যরা কপি বিক্রি করলেও আমার কপি এখনও পাতা বাঁধেনি। উপায় না পেয়ে সমস্ত চারা ভেঙ্গে জমি চাষ দিয়েছি। এখন অন্য জাতের বাঁধাকপি বা অন্য ফসল করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মিলন বলেন, ১৫ হাজার টাকায় জমি লীজ নিয়ে আনারুলের কাছ থেকে রাজাসান জাতের বীজ নিয়ে কপি আবাদ করেছিলাম। কপিতেও ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন কপির পাতা বাঁধছেনা। কপির পাতা কুকড়ে যাচ্ছে, পচে যাচ্ছে। আনারুল আমাদের আসল রাজাসান বীজের কথা বললেও এখন দেখছি এগুলো ভেজাল বীজ। এমন অবস্থায় আমরা প্রতিকার চাই।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনিছদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কপি চাষ করে আসছি। অন্যান্য জাতের কপি চাষ করি। এ বছরে আনারুল রাজাসান কপি ভালো বলে প্রচার প্রচারণা চালালে আমি আনারুলের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করি। ১ মাস ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কপির পাতা বাঁধেনি। এবিষয়ে আনারুলকে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। মাঠে অন্য জাতের কপি বেচাকেনা চলছে। কিন্তু আমাদের কপি এখনও পাতাই বাঁধেনি। আমরা বড় ক্ষতির মধ্যে পড়েছি। কি করবো আমরা। এ অবস্থায় ক্ষতি পুরুন দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ আবাদিরা।

আরেক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নাজের আলী বলেন, আমি গত চার বছর যাবৎ রাজাসান কপি চাষ করছি। গত বছরে ভালো ফলন পেয়েছিলাম। এবছরে মেহেরপুর বড়বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। সুমন বলেছিল বীজের দাম একটু বেশি লাগবে কিন্তু বীজ ১ নম্বর হবে। তার কথামতো বীজ নিয়ে চারা দিই কিন্তু আজ ৩৭ দিন পার হলেও কপির পাতা বাঁধার কোন আকার দেখতে পাচ্ছি না। এই কপি চাষে আমি ৬০ হাজারের উপরে খরচ করেছি। আমি ধারদেনা করে কপিতে খরচ করেছি।

এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন, মূলত সার ও বিষের ব্যবসা। মেহেরপুর বড় বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ এনে চাষীদের দিয়েছিলাম। কপির পাতা বাঁধেনি বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু তার কোন সাড়া মিলছে না। বিভিন্ন ভাবে সে সময় ক্ষেপন করছে।

সুমনা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সুমন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কোন বীজ বিক্রিই করিনি। যে চাষী এ সব কথা বলেছে তাকে চিনি না।

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চাষিদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। চাষিদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মিসরের স্কুলে নেকাব নিষিদ্ধ, হিজাব পরতেও বাধ্য করা যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মেয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য মাথা ও মুখঢাকা নেকাব নিষিদ্ধ করেছে মিসর সরকার। গত সোমবার দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করেছে। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

মিসরের শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেগাজি সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম আহরামে সরকারের নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার বলছে, চুল ঢেকে রাখা যাবে, তবে মুখ ঢেকে রাখা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি নেকাব শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। বলা হয়েছে, মুখমণ্ডল আড়াল করে রাখে এমন কোনো পোশাক আর এখন থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত। নতুন শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৮ জুন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও হিজাব পরে ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবে। রীতি অনুযায়ী, ছাত্রীদের চুল ঢেকে রাখার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোনো ছাত্রী হিজাব পরবে কি পরবে না, তা যেন তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়। মাবাবার সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত থাকা উচিত। ছাত্রীকে কোনো কিছু করতে যেন বাধ্য না করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাদের নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০২০ সালে আদালতও সেই নিষেধাজ্ঞার সমর্থনেই রায় দিয়েছিল।

গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবায়া পরে সরকারি স্কুলে যেতে না পারার নতুন নিয়ম চালু করেছে ফ্রান্স। দেশটির সরকারি বিদ্যালয় ও সরকারি ভবনে যেকোনো ধরনের ধর্মীয় চিহ্নের ব্যবহারও নিষিদ্ধ। সরকারের এ সিদ্ধান্ত না মেনে আবায়া পরে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের ফেরত পাঠানো হয় বাসায়। ৬৭ শিক্ষার্থীকে (৪ সেপ্টেম্বর) বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ২৭০৭৪ প্রার্থী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দফায় দফায় জটিলতার পর অবশেষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২ জন এবং নারী ৮ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে নারী কোটায় সুপারিশ পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৬ জন।

আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়।

সুপারিশ প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএস জানায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন ৩২ হাজার ৪৮০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভি-আর ফরম জমা দেননি। এজন্য তারা বাদ পড়েছেন। প্রাথমিক নির্বাচিত অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনকে জাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকার কারণে নিযোগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সুপারিশ পাওয়া ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীর মধ্যে কলেজ ও স্কুলে যোগদান করতে পারবেন ১৩ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষক। এছাড়া মাদরাসায় ১১ হাজার ২৭৯ জন, কারিগরিতে ৫১৬ জন, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩ জন এবং সংযুক্ত মাদরাসায় ৬২১ জন যোগদান করবেন।

অন্যদিকে রাতেই সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট পাওয়া যাচ্ছে।

আইনি জটিলতায় দুই দফা চূড়ান্ত সুপারিশ আটকে যায়। এতে প্রাথমিক নির্বাচিতরা চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। এ নিয়ে ক্ষোভও ছিল তাদের মধ্যে। বুধবার আইনি জটিলতা কেটে যায়। এনটিআরসিএ থেকে বুধবার বিকেলে জানানো হয় আর কোনো বাধা নেই। যে কোনো দিন ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এরপর সব প্রস্তুতি দ্রুত সেরে রাতেই কাঙ্খিত ফল পেলেন ২৭ হাজার ৭৪ জন হবু শিক্ষক।

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।

এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৮ হাজারের মতো প্রার্থী ভি-রোল ফরম পূরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দ্বিতীয় দিনে যত টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ২৭ হাজারের বেশি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিষয়টি জানান ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২৭ হাজার ১২১টি। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা। 

আরও পড়ুন>> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনয়ন

এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১৪ হাজার ৩০০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ৩ হাজার ১০৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৯৪৪টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৬ হাজার ৭২৮টি গাড়ি উঠেছে।

এর আগে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উড়ালসড়কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

তখন থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত (প্রথম দিন) ২৪ ঘণ্টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> অস্ত্র নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো যাবেন কিম

এদিকে উদ্বোধনের কয়েক দিন আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ঐতিহ্য হারাচ্ছে ঈশ্বরদীর মৃৎশিল্প

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

প্লস্টিক তৈরির সামগ্রীর দাপটে পাবনার ঈশ্বরদীর মাটির তৈরি সামগ্রী কারিগর বা মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন চলছে। নেই আগের মতো বেঁচা-বিক্রি এবং মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনাসহ অন্যান্য সামগ্রী। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের চাহিদায় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

কিছু দিন আগেও কেবল মাত্র দই এবং ফুলের টব তৈরি করা হলেও এখন মাত্র দইয়ের পাতিল তৈরি করে কোনো রকমে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মধ্য পাল পাড়ার একাধিক কুমার। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ পেশায় সংযুক্ত না করে নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পেশায়। এক সময় বিনামূল্যে মাটি পেলেও এখন উচ্চমূল্যে মাটি কিনে এবং অন্যান্য খরচ করে মাটির সামগ্রী তৈরিতে পোষাচ্ছে না তাদের।

সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া মধ্য পাল পাড়ার সাধন পাল জানান, মূলত এই ব্যবসাটা আগে ছিল এখন আগের মতো আর নেই তারা বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পেলে এটা আগামী দিনে ঐতিহ্যবাহী পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাদের কোনরকম সংসার চালানোর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অপর দিকে উপজেলার মুলাডুলি পালপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার মৃৎশিল্পীগণ এখন শুধু কুয়োর পাঠ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তারপরও বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পৈত্রিক এ পেশা ধরে রাখতে কোনো রকমে টিকে আছে তারা। এক সময় দেশের সর্বত্র মৃৎশিল্পী বা কুমারদের সোনালি দিন ছিলো। বছরজুড়ে থাকত কুমারবাড়ি বা পাল পাড়াতে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, খাদা প্লেট, কলসি, জগ, গ্লাস, গো-খাদ্যের চাড়ি, মুড়ি ভাজার পাতিলসহ নানা আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরির জমজমাট কর্মযজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি কুমার বা পালদের তৈরি হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রী।

কিন্তু বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্যান্য মাটির সামগ্রীর কদর কমে আসে। ৩-৪ বছর আগেও কেবল মাত্র মিষ্টি ও দই এবং ফুলের টবের কিছুটা চাহিদা ছিল। হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মত না থাকায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩