বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন যারা সহ্য করতে পারে না, তারাই পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গণভবনে বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কী এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে আপনাদের আশঙ্কা হচ্ছে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার পরিমাণ কমে যাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধরে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ এ যোগ দেন। ১৩ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান তিনি। ১৪ জুন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনসে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ওই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ডক্টর জর্জ ভেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এরপর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও সদরদপ্তরে ডিজি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।
১৫ জুন তিনি ‘এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ’-এ যোগ দেন। পরে ডব্লিউইএফ অফিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সন্ধ্যায় ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. ওকোনজো আইওয়ালা বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী একটি কমিউনিটি রিসেপশনেও যোগ দেন।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হওয়ার একটি উচ্চ স্তরের ফোরাম। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের অতিথির পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে আরও টেকসই এবং ন্যায়সংগত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরা হয়। সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ও ন্যায়সংগত বিশ্ব নিশ্চিত করতে বর্ধিত এবং কার্যকর ধারাবাহিক যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৭ জুন তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরেন।