আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ভিতর ঘোরাঘুরির সেরা ১০ স্থান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার : কক্সবাজারে বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও আরও অনেক কিছু করার আছে। যেমনপ্যারাসেইলিং, ঘোড়ায় চড়া, বিচ বাইকিং, ওয়াটার বাইকিং। তা ছাড়া সৈকতে ঘণ্টায় ৩০ টাকায় চেয়ার ভাড়া করে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারের আগে চাইলে সেরে ফেলতে পারেন ট্রাভেল বীমা।

যাওয়ার সেরা সময় : নিঃসন্দেহে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি। শীত শীত এ সময়ে সমুদ্র থাকে শান্ত। পরিবেশটাও চমৎকার। তবে হোটেলগুলোর ভাড়াও পড়বে তুনামূলক বেশি।

 

সেন্টমার্টিন : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন নীলাভ জল ধরে। সমুদ্রে যাবেন আর জলে ঝাঁপাঝাঁপি করবেন না, তা কি হয়? তাই সেন্টমার্টিনের নীল পানিতে সুইমিং করতে মোটেও ভুলবেন না। তবে অবশ্যই জেনে নেবেন সাঁতারের নিরাপদ স্পটগুলো। কাছেই ছেঁড়া দ্বীপ নামে আরও একটি ছোট দ্বীপ আছে। সেখানে গিয়ে বোট রাইডিং করতে পারেন। তবে যে জিনিসটি একদম মিস করবেন না তা হলো স্কুবা ড্রাইভিং। আর সেন্টমার্টিনের লোকাল খাবারের স্বাদ তো নিতেই হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে জমে ওঠে সেখানকার লোকাল বাজারগুলো।

যাওয়ার সেরা সময় : সেন্টমার্টিন যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সময়টা এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

 

শ্রীমঙ্গল : চায়ের রাজধানীতে যাবেন আর চা খাবেন না, তা কী হয়। তাই শ্রীমঙ্গল গেলে সেখানকার সাত রঙের চায়ের স্বাদটি কমবেশি সবাই নিয়ে থাকেন। বোট রাইডের মাধ্যমে মাধবপুর লেক ও বাইক্কা বিল ঘুরে দেখতে পারেন। চাইলে দুর্দান্ত একটা ভ্রমণ শেষে হাম হাম ঝরনায় গোসল সারতে পারেন। লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট এবং রেমা কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট দুটি ঘুরে দেখতে পারেন। তবে কোনো গাইড ছাড়া জঙ্গলের খুব বেশি ভেতরে না যাওয়াই ভালো।

যাওয়ার সেরা সময় : শ্রীমঙ্গল ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। এ সময় বর্ষাকাল থাকে। আর বর্ষাতেই চা বাগানের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। অবশ্য শীতেও বনভূমির সৌন্দর্যটা কম নয়।

 

সুন্দরবন : সুন্দরবনে প্রায় চার-পাঁচটি অভয়ারণ্য রয়েছে। বনের ভেতর দিয়ে অনেক মোহনা ও খাল বয়ে গেছে। সকালে এগুলোর মধ্য দিয়ে নৌকা ভ্রমণ আনন্দদায়ক অ্যাডভেঞ্চার হতে পারে। সুন্দরবনের ভেতরটা শান্তিপূর্ণ এবং নির্মল। জামতলা সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে পারেন। জামতলা সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সৈকতের তুলনায় খালি, পরিষ্কার ও শান্ত থাকে।

যাওয়ার সেরা সময় : এখানে ভ্রমণের সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এ সময় সেখানকার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে তাই এ পর্যটন স্থানটি দর্শনের সঠিক সময় এটি।

 

বান্দরবান : বান্দরবানে অসংখ্য ট্যুরিস্ট স্পট থাকায় অনেক কিছুই করা সম্ভব। বগা লেকে বোট রাইডিং, কেওক্রাডাংয়ে হাইকিং, আশপাশে ঘুরে দেখা এবং ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি জলকেলিতে মেতে উঠতে পারেন। বান্দরবান যেহেতু পাহাড়ি অঞ্চল তাই ঘোরাঘুরির পাশাপাশি হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বান্দরবান যাওয়ার সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এ সময় অবশ্য জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি থাকে। যা বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই কমে যায় এবং ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতেও ভিড় অনেক কম থাকে।

 

রাঙামাটি : রাঙামাটিতে যখনই যান না কেন, কাপ্তাই লেকে কায়াকিং একদম মিস করবেন না। এ ছাড়া শেখ রাসেল ইকো পার্কে কেবল রাইড, রাজবন বিহার প্যাগোডা, শুভলং জলপ্রপাতের সৌন্দর্যটাও উপভোগ করতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কারণ এ সময় ঠান্ডা মৌসুম থাকে। রাঙামাটি যেহেতু পাহাড়ি এলাকা তাই বর্ষাকালে সেখানকার রাস্তাঘাট বন্ধ থাকে। যার কারণে সে সময় সেখানকার লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

 

কুয়াকাটা : কুয়াকাটার মূল আকর্ষণ সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। কোনোটাই মিস করবেন না। এ ছাড়া আশপাশে অবস্থিত জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : বছরের যে কোনো সময় কুয়াকাটা ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে বেশি ভালো লাগে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সমুদ্রের ঢেউ মোটামুটিভাবে সৈকতে আছড়ে পড়ে। তাই আপনি যদি কুয়াকাটার প্রশান্তি উপভোগ করতে চান, তাহলে শীতকালে কুয়াকাটা ভ্রমণের পরিকল্পনা করা উচিত।

 

সাজেক : সাজেক ভ্যালি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে হাইকিং ও ট্র্যাকিং করতে পারেন। তা ছাড়া রিসাং জলপ্রপাতের মধ্য দিয়ে ট্র্যাক, রহস্যময় আলুটিলা গুহা এবং পাহাড়ের চূড়া থেকে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য পেতে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত যেতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকালে সাজেকের রিসোর্টগুলোর ভাড়া কম থাকে। তাই আপনি যদি অল্প খরচে সাজের ভ্রমণ করতে চান তাহলে শীতকাল বেছে নিন। যেমন নভেম্বরের মাঝামাঝি।

 

পতেঙ্গা সি-বিচ : কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় পতেঙ্গায় সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই সুন্দর। বিশেষ করে বিকেলে এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা এবং সন্ধ্যার সময়টা খুবই উপভোগ্য। পতেঙ্গায় স্পিডবোটে চড়ে সাগরে ঘুরে বেড়ানো এক দারুণ মুহূর্ত তৈরি করে। বার্মিজ মার্কেট থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। পাশাপাশি সব জায়গায় খাওয়ার জন্য রয়েছে সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড। চাইলে সেসবের স্বাদও নিতে পারেন।

যাওয়ার সেরা সময় : শীতকাল পতেঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার সেরা সময়। এ সময় চাইলে পরিবার সঙ্গে নিয়ে সেখানে পিকনিক করতে পারেন।

 

চন্দ্রনাথ পাহাড় : চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি মন্দির। হাইকিং শেষে সুন্দর এ মন্দিরটি দর্শন করতে পারেন। মন্দিরের পাশেই ছোট টং দোকান আছে। সেগুলোতে হালকা খাবার পাওয়া যায়, তবে ভালো হয় ওঠার সময় সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি ও কিছু শুকনো খাবার রাখলে।

যাওয়ার সেরা সময় : বর্ষা মৌসুম বাদে যে কোনো সময় যেতে পারেন। তবে গ্রীষ্মকালে গরমের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: সেন্টমার্টিন

আরও খবর



আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এদিকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন।


আরও খবর



চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ও পাগলা নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুর ও ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো, ভোলাহাট উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে জিহাদ মিয়া (১৩) ও সুবেদ মিস্ত্রির ছেলে আজিজুল হক (১২)। শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুর এলাকার রুপকুমারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা।

ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার জানান, দুপুরে ভোলাহাটের বজরাটেক এলাকায় মহানন্দা নদীতে গোসল করতে যায় জিহাদ ও আজিজুলসহ আরো দুজন। তারা বল নিয়ে খেলছিল। এমন সময় চারজনই স্রোতের তোড়ে ভেসে যায়। দুজন সাঁতরে তীরে উঠলেও তলিয়ে যায় জিহাদ ও আজিজুল। পরে বেলা ৩ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

অন্যদিকে সকালে শিবগঞ্জে তর্তিপুরে গোসল করতে নামে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা। এসময় ডুবে যায় সে। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপদাহ। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর