রমজানে খেজুর
ছাড়া যেন চলেই না। ইফতারে সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন। খেজুরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা
ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারে খেজুর খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক
শক্তি পাওয়া যায়।
খেজুর সুস্বাদু
ও পুষ্টিকর ফল। এটি রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়ামোর মতো
প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে খেজুরে। এছাড়া রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ও
ফোলেট সমৃদ্ধ। যা শিশু, কিশোর, যুবক, গর্ভবতী নারীসহ সবার জন্য পুষ্টিকর ফল।
তবে খেজুরের
সব উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই বাজার থেকে ভালো খেজুর নির্বাচন করা জরুরি। উপকারী
এই ফল যদি বাজার থেকে কেনার সময় ভালোটি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু উপকার
পাওয়া যাবে না। ভালো খেজুর নির্বাচনের উপায় সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সান এক্সপার্ট
এবং কার্তাগো ডেটস। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
খেজুর নির্বাচনের
উপায়: ব্যাকটেরিয়া, ছাঁচ, খামির ও স্টোরেজে কীটপতঙ্গের উপস্থিতির কারণে নষ্ট হয়ে থাকে
খেজুর। খেজুরে তীব্র গন্ধ থেকে গাঁজন হয়ে থাকে। অনেক সময় সংরক্ষণের ব্যবস্থা ভালো না
হওয়ায় খেজুরের মধ্যে ছাঁচের দাগগুলো স্পষ্ট থাকে। কোনো খেজুরে যদি সমস্যা দেখতে পান,
তাহলে প্যাকেটিংয়ের গায়ে থাকা ব্যাচ অনুযায়ী, সবগুলো খেজুরই বাদ দিতে হবে।
খেজুরের বাইরের
পৃষ্ঠের সাদা সাদা দাগ হচ্ছে প্রাকৃতিক চিনি। এই চিনি অনেক সময় স্ফটিক তৈরি করে। খেজুর
প্রচুর পরিমাণ মিষ্টিজাতীয় হয়ে থাকে। খেজুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা যদি ভালো না হয়, তাহলেই
খেজুরের বাইরের পৃষ্ঠে চিনির স্ফটিক পড়ে। তবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এমনটা হওয়ার ষম্ভাবনা
কম থাকে।
ভালো খেজুর
আর্দ্র ও মোটা থাকবে, প্রাকৃতিক মাধুর্যে ফেটে পড়ার মতো মনে হবে। স্বাদে সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু
হবে সবসময়। আবার তাজা খেজুরের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন তা চকচকে ও দাগহীন। হতে পারে
তা সোনালি বাদামী, অ্যাম্বার বা লালচে। প্রথমে নাকের কাছে নিন এবং এর ঘ্রাণ নিন। গুণগত
ভালো ও মিষ্টি খেজুর থেকে সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া খেজুরের প্যাকেটে সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণের
তারিখ দেখতে পারেন।