আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে আমরা অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ সভায় সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন এটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা না হলেও তার পরিবর্তে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য সায়েন্স ও কমার্সের শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদের অধীনে অর্থাৎ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের সর্বোচ্চ শক্তিমত্তা জানান দিচ্ছে সূর্য। ফলে টানা ৩০ দিন ধরে দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশের চার জেলায় ফের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামি ১, ২, এবং ৩ মে খুলনা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, রংপুরে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে আগামী ৪ ও ৫ মে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার মঞ্চ মাতালেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান তেরা হোনে লাগা হু, দুরিআদাতের মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।

কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন। এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।

ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, জাল ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। জেহের সিনেমার ওহ লামহে ওহ বাতে গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য পেহলি নাজার ম্যায়, বাখুদা তুমহি হো, তু জানে না, দুরি, ম্যায় রং শরবতো কা, দিল দিয়া গাল্লা সহ প্রায় শতাধিক গান।


আরও খবর



হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর