ঢাকা-আরিচা
মহাসড়ক এক সময় মরণ ফাঁদ নামে পরিচিত ছিলো। তবে এ মহাসড়কে বাঁক প্রশস্তকরনসহ বেশ কিছু
উন্নয়ন মূলক কাজের ফলে কমে আসতে শুরু করে দুর্ঘটনার পরিমাণ। এছাড়া সড়কের মানিকগঞ্জ
অংশে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে বাসস্ট্যান্ড
এলাকাগুলোতে ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন ও
বাস-বে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সড়ক বিভাগ। তবে সম্প্রতি এ মহাসড়কে আবারো বেড়েছে
দুর্ঘটনা। সেলফি নামের পরিবহন বাসের বেপোরোয়া গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে
দাবি স্থানীয়দের।
সামাজিক সংগঠক
তৌফিক খান বলেন, মানিকগঞ্জের সেঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম আরামদায়ক মাধ্যম সেলফি
পরিবহন। তবে এই বাসের চালকরা মহাসড়কে বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালান। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
দ্রুত মহাসড়কে সেলফির গতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বিপদ বাড়বে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি
বাড়ানো উচিত।
মানিকগঞ্জ উদীচী
শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জে
সম্প্রতি সেলফি পরিবহনের দুর্ঘটনা বেড়েছে। অহেতুক ওভারটেকিং, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো
ও অদক্ষ চালকদের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব পরিবহনের চালকরা কাউকে তোয়াক্কা করে
না। দ্রুত সেলফি গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা উচিত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক নিয়োগের পর সেলফি গাড়ি চলাচলের
অনুমতি দেওয়া উচিত।
সেলফি পরিবহনের
পরিচালক মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ থেকে ১২৫
টি গাড়ি চলাচল করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমাদের চালকদের আরো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
করা হচ্ছে।
বরংগাইল হাইওয়ে
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে
পুলিশ কাজ করছে। স্পিড মিটারে নির্ধারিত গতিসীমা পার হলে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সেলফি
বাসগুলোকেও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি চলাচল করায় একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি
সেলফি পরিবহনের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে এসব বিষয় জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা জহুরা বলেন, জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ-এর
পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সেলফি পরিবহনের বাসগুলোকে নানা
কারণে সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন কমিটির সভায় সেলফি
গাড়ির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বাসগুলোকে যথোপযুক্ত আইন মেনে চলার কথা জানানো হয়েছে। ব্যবস্থাপনা
কমিটির সদস্যরা চালকদের আরো প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।