মঙ্গলবার (১৯
এপ্রিল) বিকেলের মধ্যে ঢাকা কলেজের সব হল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষের
কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে নিউমার্কেটের
ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল
থেকে ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের সকল হল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের
সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান বলেছেন, দুঃখের সাথে বলছি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ে মারামারি-সহিংসতা-সংঘর্ষ হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পুলিশ আহত। চরম ধৈর্য
সহকারে কাজ করছে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হবে। যারা ঘটনা ঘটালো, তাদের
আইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার সকাল
থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর ৫ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত
হয়েছেন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪০ জন। সকাল থেকেই হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন সকালে নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়
পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় তারা। সকাল থেকে ব্যবসায়ীরাও দোকানপাট খোলার জন্য
জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের রূপ নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে পুলিশ রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তাদের। মধ্যরাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির হামলার প্রতিবাদে ৩ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এখন আবার সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় সে কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি।