আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

প্রকাশিত:রবিবার ০১ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ঘোষিত শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ৮ টা থেকে রোববার (০১ আগস্ট) বেলা ১২ টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্তের পর থেকে মহাসড়কটিতে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে রবিবার থেকে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর শনিবার সকাল থেকেই মহাসড়কটিতে ঢাকামুখি মানুষের ঢল নেমেছে। চাকরি বাঁচাতে লোকজন খোলা ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলযোগে কয়েকগুন বেশি ভাড়ায় ঢাকার দিকে রওনা দেয়। পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেকেই।

এদিকে যানজটের কারণে চরম ভোগান্তি যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।

তবে যানজটের বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি সফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



ঈদে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে ডিএমপির ১৪ পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ফলে আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ঢাকা। এ সুযোগে বিভিন্ন চক্র চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করতে পারে। এছাড়া নিজেদের সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরামর্শগুলো হলো

১. গ্যাস ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে প্রথমেই ঘরের দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।

২. বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।

৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।

৫. রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করতে হবে।

৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম ব্যবহার করতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।

৭. দেশের বা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না।

৮. যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে।

৯. আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দেওয়া যাবে না।

১০. ভুল করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে- এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।

১১. লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার বা ডলার পাঠানো হবে- এ রূপ ফোনকল পেলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।

১২. অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই।

১৩. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়।

১৪. সস্তায় হোটেল ভাড়া করা, বিমানের টিকিট কাটা কিংবা কম খরচে ইউরোপ ও কানাডা কিংবা আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা অ্যাপসে পাঠালে বিশ্বাস করবেন না।


আরও খবর



পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশ দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের। বছরে দূষণের কারণে দেশে অকাল মৃত্যু হচ্ছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস নামে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণ বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘর ও বাইরের বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কাঠের জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।


আরও খবর



তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের সাজা স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।

সোমবার সাজা স্থগিতের এই রায় দেয় আদালত। ইমরানের তার স্ত্রী বুশরা বিবির সাজাও স্থগিত করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের

ইসলামবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের আপিলের শুনানিতে রায় স্থগিতের আদেশ দেন।

আদালতে ইমরানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আলি জাফর। এ সময় পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর প্রসিকিউটর আমজাদ পারভেজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক মামলার রায়ে গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত ইমরান ও বুশরার বিবিকে এই সাজা দেয়। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় অনুসারে, ইমরান ও বুশরা  বিবিকে দশ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং তাদের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনের (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। শনিবার সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেকেন্ড হোম গড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় সেকেন্ড হোম গড়া বাংলাদেশিদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। দেশটির সংসদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম গড়েছেন বলে জানিয়েছেন দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং।

সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‌‌সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ দেশটির সংসদকে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন।

মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।

নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। দেশটির সরকার তখন বলেছিল, প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর এমএম২এইচ কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছর থাকতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য শর্তাবলি পর্যালোচনা করে কর্মসূচিতে সমন্বয় করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর কিংবা তার বেশি নির্ধারণ করা হয়।

তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবেদনকারীদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।


আরও খবর