আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৯৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ১৪ নম্বরে। বায়ুর এই মান সহনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির স্কোর ১৪৭। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ১৫মিনেটে দূষণের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ১৪১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি। এছাড়া শীর্ষ তিনে ১৪১ স্কোর নিয়ে রয়েছে বসনিয়া-হারজিগোভিনার সারায়েভো। ১৩৭ স্কোর নিয়ে চারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও ১২৮ স্কোর নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ভালো বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে মধ্যম মানের ও ১০১-১৫০ হলে বিপদসীমায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১-৫০০ হলে বিপজ্জনক বলা হয়।


আরও খবর



সেনাবাহিনী বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর



সিগারেট বাকি না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে কাগজীপাড়া এলাকায় গভীর রাতে চিপস-সিগারেট বাকি না দেওয়ায় মোশারফ হোসেন (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছোট ভাই মো. রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার অভিযুক্ত রুবেলকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশে দোকান থাকায় সে প্রতিদিন রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই রুবেল তাকে ডাক দিয়ে চিপস-সিগারেট বাকি চায়।

সে বাকি দেবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশারফকে দোকান থেকে টেনে বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে স্থানীয়রা মোশারফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, চিপস সিগারেট বাকি না দেয়াকে কেন্দ্র করে মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার ছোট ভাই রুবেল মিয়া (৩৫)।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাজারীবাগে টিনশেড বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসে বেলা ১২টার দিকে। খবর পেয়ে হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের দুটি, লালবাগের দুটি, মোহাম্মদপুরের দুটি ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের একটি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর