ঢাকাসহ দেশের
সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। তাই ওইসব
এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২
মে) সন্ধ্যায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো.
শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা এবং
সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে
বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর
সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের
অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ
অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর
সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পশ্চিম দিকে
অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ক্রমাগতভাবে নিম্নচাপ, সুস্পষ্ট
লঘুচাপ ও লঘুচাপে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় অন্ধ্র উপকূলীয় এলাকা ও পার্শ্ববর্তী
এলাকায় অবস্থান করছে।
পশ্চিমা লঘুচাপের
বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় শুক্রবার (১৩ মে)
সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়
এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সাথে বিজলি
চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের
কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য
বৃদ্ধি পাবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫
কি.মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কি.মি. পর্যন্ত উঠে যেতে
পারে।
শনিবার নাগাদ
বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হাস পাবে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়া সামান্য
পরিবর্তন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৬৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।