আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন
২০২১ শুরু হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকায় এই সম্মেলন হচ্ছে। আজ শনিবার রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
সম্মেলনে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, নোবেল বিজয়ী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক,
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন। এতে বিশ্বের
৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন প্রতিনিধি সশরীরে আসবেন। বাকি
৪০ জন প্রতিনিধি ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন।
সম্মেলন নিয়ে গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) এক
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সম্মেলনে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের
ওপর আলোচনা হবে। দুই দিনব্যাপী আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে। সম্মেলনে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব
বান কি মুন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
গোহ চক তং, পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোসে রামোস-হর্তা, বুলগেরিয়ার সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরিনা বোকোভা, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
ড. সৈয়দ হামিদ আলবার, ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর ফ্রান্সিসকো রোজাস আরাভেনাসহ আরও
অনেকে অংশ নেবেন।
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা শান্তিতে বিশ্বাসী। সে কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যা আমরা শান্তিপূর্ণভাবে
সমাধান করেছি। আমরা কোনো গুলি ছাড়াই শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা সারা বিশ্বেই শান্তির
বার্তা দিতে চাই।’
‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি
সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি হবে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা
শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি বিশেষ ডকুমেন্ট পাবে, যা ভবিষ্যতে
বাংলাদেশের সব শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক বৈশ্বিক উদ্যোগের রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।’