আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ঢাকায় গণপরিবহণে ভাড়া সন্ত্রাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তেলের দামের কারণে ঢাকার গণপরিবহণে ১৬.২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে দূরত্বভেদে দ্বিগুণেরও বেশি আদায় করা হচ্ছে। বেশি ভাড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহণে ভাড়া সন্ত্রাস চলছে। ন্যায্য ভাড়া দিতে চাইলে হুমকি দিয়ে ভাড়া আদায় করা হয়। কখনো কখনো বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এদিকে মালিক সমিতি গত বুধবার ওয়েবিল প্রথা বন্ধের ঘোষণা দিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। স্থানে স্থানে চেকিং করা হচ্ছে। আর এ সুবাদে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। পাশাপাশি স্টপেজ বাদেও খোলা থাকছে বাসের দরজা। চলছে যাত্রী ওঠানামা। সিট হিসাব করেই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ প্রায় প্রতিটি বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ভাড়ার তালিকাও সুবিধাজনক স্থানে না টানিয়ে চালকের সামনে টানিয়ে রাখা হচ্ছে। এদিকে নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর গ্যাসচালিত গাড়িগুলো এখন দেখা যাচ্ছে না। এসব গাড়িও তেলের গাড়ির মতোই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।

ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বর্ধিত ভাড়া সারা দেশে কার্যকর হয়েছে। শুধু ঢাকা মহানগরীতে একটু সমস্যা আছে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকর ও ওয়েবিল চেক বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা রাখি শিগগিরই একটা শৃঙ্খলায় আসবে। অন্য সময়ের চেয়ে এবার নৈরাজ্য কম বলে দাবি করেন তিনি।

আর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার চাইলে পরিবহণ নৈরাজ্য থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে পারে। দেশ ডিজিটালাইজেশন হলেও পরিবহণ সেক্টরটি এখনো এনালগ পদ্ধতিতে চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাড়া বৃদ্ধি ও আদায়ের ব্যবস্থা করা হলে নৈরাজ্য থাকত না।

তিনি বলেন, বিআরটিএ দুয়েকটি অভিযান করছে। কিন্তু অবস্থার কেনো পরিবর্তন নেই। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দেশে ২০ শতাংশ গণপরিবহণ গ্যাসে চলে। আর মালিক সমিতির দাবি ৫ থেকে ৭ শতাংশ গাড়ি গ্যাসে চলে। যদি ৫ শতাংশও গ্যাসে চালানো হয়, তবে সেই গাড়িগুলো কোথায়? মূলত সেই গাড়িগুলোও তেলে চালিত গাড়ির মতোই ভাড়া আদায় করছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি ওয়েবিলের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়কারী গণপরিবহণের রুট পারমিট বাতিলেরও ঘোষণা দেনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তবে রোববার বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, তেলের দাম বাড়ানোর পর ৭ আগস্ট বিআরটিএ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে গণপরিবহণের ভাড়া বর্ধিত করে। দূরপাল্লার বাস ভাড়া ২২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত বাস ভাড়া ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ হয় মিনিবাসে ৮টাকা, বাসে ১০ টাকা। এতে মহানগরীতে মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটারে আগের ভাড়া ২ টাকা ০৫ পয়সার স্থলে বর্ধিত করে ২ টাকা ৪০ পয়সা, বাসে ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

গত শনি ও রোববার নগরীর বিভিন্ন রুটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নতুন ভাড়ার পরিবর্তে বাসগুলো অনেক বেশি আদায় করছে। প্রতি মাইলে ভাড়া আদায় করা হয়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। নতুন তালিকা ধরে ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়নি। শনিবার খিলক্ষেত থেকে বসুমতি পরিবহণের বাসে কালসী মোড়ে নামেন আমান উল্লাহ। সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে তাকে ভাড়া গুনতে হয় ৩০ টাকা। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া আসে ১৩ টাকা ২০ পয়সা। আদায়ের হিসাবে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। শুধু বসুমতিই নয়, এ রুটে চলাচলকারী প্রজাপতি ও পরিস্থানসহ অন্য পরিবহণগুলো একই হারে ভাড়া নিচ্ছে।

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কুড়িল চৌরাস্তার দূরত্ব সাড়ে ৭ কিলোমিটার। রোববার রাজধানী পরিবহণের বাসে এ দূরত্বে ভাড়া আদায় করা হয় ৩০ টাকা। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া আসে ১৮ টাকা। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ২০ টাকা ভাড়া দিতে চাইলাম, নেয়নি। ৩০ টাকা না দিলে নামিয়ে দিতে চায়। পরে বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়েছি। তিনি জানান, অছিম, নূরে মক্কাসহ এ রুটে চলাচলরত অন্য পরিবহণগুলো এরকম ভাড়া আদায় করছে।

এখানেও প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ভাড়া আদায় হচ্ছে ৪ টাকা করে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কে প্রকাশ্যে এমন ভাড়া সন্ত্রাস দেখার কেউ নেই। মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড় থেকে কলাবাগান পর্যন্ত দূরত্ব ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। এ দূরত্বে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। দিশারী, বাহন, ট্রান্স সিলভা, সাভার পরিবহণ, মৌমিতা পরিবহণে এ দূরত্বে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা করে। মালিবাগ মোড় থেকে মধ্য বাড্ডার দূরত্ব ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এ দূরত্বে ভিক্টর, রাইদাসহ বিভিন্ন পরিবহণে ভাড়া আদায় করা হয় ১৫ টাকা। অথচ এ দূরত্বে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১০ টাকা ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ এ দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪০ পয়সা হিসাবে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রামপুরা ব্রিজ থেকে কুড়িল ফ্লাইওভারের দূরত্ব ৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার। এ দূরত্বে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২০ টাকা। অথচ সরকার নির্ধারিত ভাড়া আসে সাড়ে ১৫ টাকা ৮৪ পয়সা। এ দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩ টাকার বেশি।

এদিকে প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ভাড়ার চার্ট টানানোর কথা থাকলেও অনেক বাসেই তা দেখা যায়নি। আবার যেসব বাসে তা দেখা গেছে, সেখানেও রয়েছে ফাঁকি। মিনিবাসগুলোতে টানানো হয়েছে বাসের ভাড়ার চার্ট। সূত্রমতে, বাস ও মিনিবাসের ভাড়ার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। মিনিবাসে যেখানে নিম্নতম ৮ টাকা, সেখানে বাসের ১০টাকা। আর কিলোমিটারে ভাড়া মিনিবাসে যেখানে ২ টাকা ৪০ পয়সা সেখানে বাসের ভাড়া ২টাকা ৫০ পয়সা।


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




উত্তপ্ত বান্দরবান: থানচি বাজারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি বাজারে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। বাজারে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কাদের গোলাগুলি চলছে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।

রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচি বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি চলছিল।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।


আরও খবর



সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ঈদের দিন থাকবে ঝকঝকে, নেই বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে আজ দিনের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক। রাতের তাপমাত্রাও থকবে প্রায় একই। আজকের মতো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদের দিনেও আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকতে পারে। আশঙ্কা নেই বৃষ্টিপাতের। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই বলছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় আজকের মতোই অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ওইদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে ঈদের পরের দিন শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থকে ২ ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে। সে. বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে।


আরও খবর