আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধামরাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্পের জৌলুস, ঐতিহ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোর অন্যতম বাহক মৃৎশিল্প। অনেকের মতে, এটি শুধুমাত্র শিল্প নয়, আবহমান গ্রাম-বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। ভালো নেই এ এলাকার মাটির কারুশিল্পীরা। পূর্ব পুরুষের পেশা ইতোমধ্যেই ছেড়েছেন অনেকেই। নেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সংকট তৈরি হয়েছে এ কাজের কাঁচামাল এঁটেল মাটি। ঋণ চাইলেও সাড়া দেয় না সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি সংস্থাও নিয়েছে মুখ ফিরিয়ে। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে শূন্যতা।

প্রাচীন সভ্যতার অপূর্ব উপকরণ মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তি পথে। পূরুষ ও বউদিদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় মাটি হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধরণের সৌখিন সামগ্রী। তাদের বলা হয় পাল সম্প্রদায় এ শিল্পের প্রাণপুরুষ পালদের বর্তমানে চলছে চরম দুর্দিন। মৃৎশিল্প মানুষের উদ্ভাবিত প্রারম্ভিক শিল্পকলার একটি। বাংলাদেশের লোকজ কারুকাজে মৃৎশিল্পের কারিগরিদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। মাটি দিয়ে তৈরি নানা রকম বাহারী নজরকাড়া ভৈজয়পত্র আমাদের নান্দনিক জীবন ও সাংস্কৃতিকে করেছে আরো বিকশিত। আবহমান বাংলার লোক শিল্পের বিকাশ ঘটে প্রধানত মৃৎশিল্পের তৈরি পন্যের মাধ্যমে।

অনুমানিক প্রায় দশহাজার বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম মৃৎশিল্পের অবিভাব ঘটে। এরপর প্রথমে মিশরে কুমারের চাকা আবিস্কারের কথা জানা গেলেও কুম্ভকারের আদিনিবাস পৃথিবীর কোন আঞ্চলে ছিল কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবে অনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে বাংলাদেশে এক বিশেষ শিল্প হিসাবে বিকাশ লাভ করে। কিন্তু আজ সেই মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে।

এরপর মৃৎশিল্পের জন্য যে কাদা মাটি ব্যাবহার করা হয় তা একটু আলাদা ধরনের। যেমন নদীর অববাহিকাতেই এই মাটি বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই মাটি পাওয়া যায়। এই মাটি দিয়ে তৈরি হত আমাদের নান্দনিক জীবনের প্রয়োজনীয় সকল কাজের পাত্র হিসাবে। কিন্তু আজ আর সেই কাজের জন্য মাটির প্রাত্রের প্রয়োজন হয় না। যার কারণে মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

ঢাকা থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে উত্তর পশ্চিম দিকে ধামরাই উপজেলার অবস্থান। এই ধামরাই উপজেলায় এক সময় ছিল মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত। কারণ বংশী নদীর কোল ঘেষে পাল সম্প্রদায়ের বসবাস। সেখানে মৃৎশিল্প তৈরি করতে সুবিধা ছিল। কারণ নৌকা দিয়ে মাটি আনতে ও পৌছাতে ছিল সুবিধা, যার কারনে বেশির ভাগ পাল সম্প্রাদায়ের বসবাস হয় নদীর তীরে। আবার সেখান থেকে নদী পথে যাতায়াত বা মালামাল এদিক সেদিক নিতেও ছিল অনেক সুবিধা। এই কারনে বেশির ভাগ পালদের নদীর পারে কাজ করতে দেখা যায়, আর সেটা ছিল ধামরাই পালপাড়া বংশী নদীর পাড়ে, গাজীখালী নদীর পাড়ে বেলিশ্বর পাল পাড়া।

গুকুল পাল ও ধীরেন পালেরা পূর্বপুরুষ থেকে এই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা এক সময় এই ব্যাবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ সুখে দিন কাটাতেন। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকায়নের ফলে বাজারে টিকে থাকতে পারছেনা। কারণ বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের সওলাব হওয়ার কারনে মাটির তৈরি পণ্য আর কেউ ক্রয় করতে চায় না। আবার এই কাজের জন্য অনেক পুঁজির প্রয়োজন। বর্তমান বাজারে সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বগতির জন্য অল্প টাকায় এই ব্যবসা এখন আর হয় না। সেজন্য কাজের তুলনায় প্রয়োজনীয় পুঁজিস্বল্পতার কারণে এই পেশার নৈপুণ্যতা হারাতে বসেছে বলে জানান পাল সম্প্রদায়ের লোকেরা।

ইতোমধ্যে অনেকেই জীবিকার তাগিদে ভিন্ন পেশায় চলে গিয়েছে। ফলে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। ধামরাই কাগজিপাড়া ও বেলীশ্বর পালপাড়া এই বিশাল দুটি এলাকায় মৃৎশিল্পের কাজ হয় বেশি। কারণ এই এলাকায় প্রায় ১০০টি হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত।

এদের মধ্যে সন্তোষপাল ও গদাপাল বলেন, বর্তমানে আমরা মৃৎশিল্পের কাজ করে আমাদের সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ বর্তমান বাজারের সাথে টিকে থাকতে আমাদের যা দরকার সেটা নেই। আবার আধুনিকায়ন হওয়ার কারণে আমরা বাজারে টিকে থাকাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। যার কারণে পাল সম্প্রদায়েরা মৃৎশিল্প বাদ দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। এজন্য মৃৎশিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে বলে জানান তারা। এরমধ্যে অনেকেই আছে যারা অন্য কোন পেশায় কাজ করতে পারে না, তারা আজ খুবই কষ্টে দিন যাপন করছেন বলে জানান পাল সম্প্রদায়ের লোকেরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস. এম. হাসান, বলেন যে কোনো দুর্যোগে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পের মাধ্যমে ধামরাই উপজেলার প্রান্তিক পেশাজীবী মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসা, আদি পেশা টিকিয়ে রাখা ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস (বিএসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকেরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।


আরও খবর



আজ থেকে যথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা আগের মতোই বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারবেন।

গত বুধবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমে বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। গত বছরের ঈদেও বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল।

নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনের বন্ধ। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার থেকে যাথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল।

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়। দিনের শেষ ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।

নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এ দিকে, অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে হোসেন (১৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ওয়ারেন এলাকার রায়ান রোডের নিজ বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হোসেন পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করলে তারা ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই বাসায় পৌঁছালে তিনি পুলিশের দিকে নিজের হাতে থাকা বন্দুক তাক করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে।

হোসেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আতিক হোসেনের বড় ছেলে। তারা সপরিবারে মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে বসবাস করেন। এই ঘটনায় মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্কে ১৯ বছরের যুবক উইন রোজারিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।


আরও খবর



ভোটের আগে পিটার হাসের ‘আত্মগোপন’ প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় বেশ জোরালোভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছিল।

এমনকি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে দেওয়া হয়েছিল ভিসা-বিধিনিষেধসহ অন্যান্য নানা পদক্ষেপের হুমকিও। বাইডেন প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ছিলেন এ বিষয়ে সক্রিয়।

তবে নির্বাচনের আগ দিয়ে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান তিনি। আর এ নিয়ে সম্প্রতি একটি দাবি সামনে এসেছে, আর সেখানে বলা হচ্ছে- ভোটের আগে ভারতের চাপেই পিটার হাস আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন।

আর এই বিষয়টিই উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। তবে নির্বাচনের আগে ভারতের চাপে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন- এমন দাবি নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভোটের আগে পিটার হাসের আত্মগোপন নিয়ে ভারতের এক কূটনীতিকের দাবি সম্পর্কে জানতে চান।

তিনি বলেন, এটা কি সত্য যে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচনের ঠিক আগে ভারতের কথিত চাপের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন? নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের একজন সিনিয়র কূটনীতিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি নয়াদিল্লিতে প্রতিটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখি না।

তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেন, কিন্তু না, এটি (ভোটের আগে ভারতের চাপে পিটার হাসের আত্মগোপন) সঠিক নয়।


আরও খবর