আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ধামরাইয়ে বাসের ধাক্কায় চিতাবাঘ নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছে এক চিতাবাঘ। রোববার ১৫ (জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের  ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী। মানুষের ধারণা সুন্দরবন থেকে ঢাকার ধামরাইয়ে আমতা ইউনিয়নের  বাউখন্ড এলাকায় জিন্দাপী কালু-গাজীর দরাগাহে দরশন দিতে  এ বাঘটি এসেছে অথবা পাচারকালে বণ্যপ্রাণী পাচারকারি চক্রের হেফাজত থেকে চিতাবাঘটি পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিবছরই ঢাকার ধামরাইয়ে ২-৪টি বাঘ আটক কিংবা মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। জনশ্রুতি রয়েছে উপজেলার আমতা  ইউনিয়নের বাউখন্ড এলাকায় ইতিহাসখ্যাত জিন্দাপীর কালু-গাজীর দরগাহে তাদের ভক্ত সুন্দর বনের বাঘ জিয়ারত করতে আসে। আর ফিরে যাওয়ার পথে হয় তাদের মৃত্যু ঘটে না হয় জনতার হাতে আটক হয়।

এলাকাবাসী জানান,রোববার দিনগত রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে বাঘটি বাথুলী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে ঢাকা-আরি মহাসড়কের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্তে পার হচ্ছিল। ঠিক এসময় দ্রুতগতিসম্পন্ন ঢাকা-গামী একটি ঘাতক বাসের ধাক্কায় ওই চিতা বাঘটি মহাসড়কের ওপর পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। মহাসড়কের দুপাশ থেকেই থেমে যায় সবধরণের যান ও পরিবহণ। মানুষজন দ্রুত ওই বাঘটি রাস্তার পাশে নিয়ে সেবাযত্ন  করেন বাঁচানোর জন্য। কিন্ত শেষ পর্যন্ত ওই বাঘটিকে বাঁচানো গেলনা। বাঘটি এক দীর্ঘ্য নিস্বাস ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। বাঘ হিংস্র  প্রাণী হলেও তার প্রতি মানুষের মমত্ববোধের একটুও  কমতি ছিলনা। আর এসময় বাঘটিও মানুষের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দুচোখের পানি ফেলছিল। আর এদৃশ্য অবলোকন করে মানুষের দুচোখেও নেমে এসেছিল ছলছল পানি।

মোঃ আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন,বাঘটির মারা যাওয়ার করুণ দৃশ্য আমি আামর নিজ চোখে দেখেছি এবং তাকে বাঁচানোর জন্য সবধরণের চেষ্টাও করেছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম বাঘ। আমার বুকের ধন নয়নের মণি আমার ছেলেও কিছুদিন আগে এ মহাসড়কের শ্রীরামপুর এলাকায় দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মারা যায়। আজও আমি সে দৃশ্য ভুলতে পারিনি। তাই আমি এলাকার মানুষের সহায়তায় ওই বাঘটি বাঁচানোর চেষ্টা করি। আমার ছেলে আমাকে যেন দূর  থেকে বলছিল বাবা তুমি ওই বাঘটিকে বাঁচাও তাহলে আমার আত্মাও শান্তি পাবে।

ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান সবুজ বলেন,আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে শুনে আসছি প্রতিবছরই নাকি জিন্দাপীর কালু-গাজীর দরগাহে বাঘভক্তরা দরশন দিতে আসে। আর প্রতিবছরই জনতার হাতে ধরা পড়ে অথবা মৃত্যবরণ করে এবাঘ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাঘটি আলাউদ্দিনের সহায়তায় আমরা এলাকাবাসী বাঁচানোর সবধরণের চেষ্টা করেও সফল হইনি। শেষ পর্যন্ত বাঘটি মারা যায়। এলাকাবাসী বাঘটি মাটিচাপা দিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


আরও খবর



আজ থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবে জাতীয় পার্টি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

আজ সোমবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে, যা চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। দলটির মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৩০ হাজার টাকা।

গতকাল রবিবার রাতে দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৪ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিদিন দুই বিভাগের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ নভেম্বর, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ। ২৫ নভেম্বর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ। ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। ২৭ নভেম্বর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ। ২৮ নভেম্বর, জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সকল নেতাদের বকেয়া মাসিক চাঁদা পরিশোধ করে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




শেখ হাসিনার মতো কৃষিবান্ধব সরকার অতীতে কেউ ছিল না : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকের কষ্ট তিনি বোঝেন। কৃষকের বেদনা বোঝেন। শেখ হাসিনা কৃষকদের অনেক সুযোগ দিয়েছেন। কারণ শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে আগে। এই রকম কৃষি বান্ধব অতীতে আর কোন সরকার ছিলো না।

মন্ত্রী আজ শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ২৩-২৪ অর্থবছরে রবি ফসল ও বোরো হাইব্রীড ধান উৎপাদন বৃদ্ধির  লক্ষ্যে সরকারি প্রনোদণা কর্মসূচির আওতায় কৃষক/কৃষাণীদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও মানুষের জীবন ধ্বংস করে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের কাছে কৃষকরা কম টাকায় সারের দাবি করেছিলেন। সেই সরকার ভর্তুকি তো দেয় নাই কানসার্টে, ঠাকুরগাঁও, গাইবন্ধায় সারের জন্য পাখির মত গুলি করে ১৮ জন কৃষককে মেরে ফেলেছেন। তারা বিনা মূল্যে কীটনাশক দিত না, বীজ দিত না। ঠিক মত বিদ্যুৎ দিত না। আগে পানি সেচের জন্য বিদ্যুতের জন্য বসে থাকতে হতো। এখন আর বিদ্যুৎ যায় না। গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আর এই সব কিছু শেখ হাসিনা সরকারের অবদান। আর এই সব কিছু ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গরীববান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি গরীবের কষ্টটা বোঝেন। কৃষকদের জন্য বর্তমান সরকার শুধু সারের জন্য ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। আমরা টিএসপিতে এক কেজিতে ভর্তুকি দিচ্ছি ৫০ টাকা, এমপিও তে ৪১ টাকা, ডিএফপি ৭৯ টাকা, ইউরিয়ায় ৮২ টাকা, সব মিলিয়ে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। কীটনাশক, ধানের বীজ, সরিষার বীজসহ অন্যান্য চারা, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আগেও তো প্রধানমন্ত্রী ছিলো তারা কেন দেয় নাই। কারণ তার বড়লোকের প্রধানমন্ত্রী ছিলো। আর শেখ হাসিনা গরীববান্ধব প্রধানমন্ত্রী। এই দরদী মানুষ, এই দরদী প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আর হবে না শুধু শেখ হাসিনা ছাড়া।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মেদ সাব্বির সাজ্জাদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।


আরও খবর



জেলেদের জালে সামুদ্রিক বিষধর নীল ব্যান্ডেড সাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে একটি সামুদ্রিক বিষধর সাপ। এটি কর্ডাটা পর্বের ইলাপিডা পরিবারের বিষধর সামুদ্রিক সাপ, যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সামুদ্রিক সাপ বা নীল ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ বলা হয়।

গত মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার উপকূলের পেঁচার দ্বীপে এই সাপটি জেলেদের টানা জালে ধরা পড়ে। সাপটি এখন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) মেরিন স্পেসিমেন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।

কক্সবাজারের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমুদ্রবিজ্ঞানী তারিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের টানা জালে ধরা পড়া সামুদ্রিক সাপটি বিওআরআইর মেরিন স্পেসিমেন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এটি হাইড্রোফিস সায়ানোসিক্টাস; প্রধানত কর্ডাটা পর্বের ইলাপিডা পরিবারের বিষধর সামুদ্রিক সাপ। যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সামুদ্রিক সাপ বা নীল ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ বলা হয়। এদের গায়ে হলুদ ও কালোর মিশ্রণে ডোরাকাটা দাগ থাকে।

তারিকুল ইসলাম বলেন, ভারত মহাসাগরের ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং কোরিয়া, জাপান, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর, পারস্য উপসাগরের ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং নিউগিনি অঞ্চলে এ জাতের সাপ বিচরণ করে। এটি অগভীর উপকূলীয় জলে বসবাস করে। এটি প্রায়ই চিংড়ি ট্রলার বা উপকূলীয় অঞ্চলে জেলেদের টানা জালে দুর্ঘটনাক্রমে ধরা পড়ে। এরা বিভিন্ন সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। প্রজাতিটি সমুদ্রের সঙ্গে খুব অভিযোজিত।

এই সমুদ্রবিজ্ঞানী আরও বলেন, এটি উপকূলীয় অগভীর এবং গভীর সমুদ্রে ভালোভাবে সাঁতার কাটতে পারে। ম্যানগ্রোভ অঞ্চলেও এদের দেখা পাওয়া যায়। স্থলভাগে এদের চলাফেরার গতি অত্যন্ত ধীর। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক সাপের তুলনায় ভালো কাজ করে। তারা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করে, তবে হুমকিতে থাকলে বা আক্রান্ত হলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সাপটি বিষধর হলেও এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার অত্যন্ত কম। এটি সরাসরি একসঙ্গে ৩ থেকে ১৮টির মতো বাচ্চা জন্ম দেয়। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি প্রায় ২৮ সেমি লম্বা হতে পারে। এদের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৭ সেমি এবং নারীর দৈর্ঘ্য ১৬০ সেমি পর্যন্ত এবং দৈহিক ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম হতে পারে। বর্ষা-পরবর্তী মৌসুমে বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এদের নারীদের বেশি দেখা যায়। মেয়ে বাচ্চাটি পুরুষ বাচ্চার তুলনায় আকারে বড় হয়।


আরও খবর



২০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান কোহলির

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগের তিন সেমিফাইনালে রান না পাওয়ায় অনেকেই বলাবলি করছিল, বড় ম্যাচে বিরাট কোহলি চাপ নিতে পারেন না। নিন্দুকদের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন কিং কোহলি। পূর্বসূরি শচীন টেন্ডুলকার ২০ বছর আগে যে কীর্তি গড়েছিলেন, তা ভেঙে দিলেন তিনি।

চলতি বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ার নেশায় পেয়েছে বিরাট কোহলিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শচীনের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন বিরাট। এবার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও নিজের করে নিলেন ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ রান পূর্ণ করেই এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন কোহলি।

২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তোলার পথে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এক বিশ্বকাপে সেটিই ছিল কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেই সেই রান টপকে গেলেন তিনি।

আজকের ম্যাচের আগে ৯ ম্যাচে ৫৯৪ রান করেছিলেন কোহলি। গ্লেন ফিলিপসের করা ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে একটি রান নিয়ে শচীনকে ছাড়িয়ে যান তিনি। 

২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৬১.১৮ গড়ে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও হাঁকিয়েছিলেন ৬টি হাফ সেঞ্চুরি। বিরাট এক ইনিংস কম খেলেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন। ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি এই রান করলেন।

একই দিনে শচীনের আরও একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। ২০০৩ বিশ্বকাপেই ৭ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। এক বিশ্বকাপে সেটিই সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের রেকর্ড ছিল, যা পরবর্তীতে পুনরাবৃত্তি করে দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপে এর আগের নয় ইনিংসে সাতবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে সেই রেকর্ডও এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

২০০৩ বিশ্বকাপে শচীনের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসগুলো ছিল এমন - ৫২, ৮১, ১৫২, ৫০, ৯৮, ৯৭, ৮৩। সাকিব ২০১৯ সালে মাত্র ৮ ইনিংস খেলেই সাতবার পঞ্চাশ ছাড়িয়েছিলেন। তার ইনিংসগুলো ছিল এমন -  ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৫১, ৬৬, ৬৪।

আজকের আগে কোহলির সেই সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস হলো- ৮৫, ৫৫*, ১০৩*, ৯৫, ৮৮, ১০১*, ৫১।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হঠাৎ দুবাইয়ে সাকিব

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




স্বর্ণের দাম আরও বাড়লো

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বেড়ে‌ছে। তাই, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। সোমবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা।

গত ২৬ অক্টোবরও স্বর্ণের দাম বাড়নোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। ২৭ অক্টোবর থেকে সে সময় ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৯৮ হাজার ২১০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা।


আরও খবর
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ রোববার

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩