ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় বায়ু ও শব্দ দূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ, পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ, খোলা অবস্থায় বালুবাহী ট্রাক চলাচল, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা, পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়ু ও শব্দদূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে চার লেনের উন্নয়ন চলছে। এতে মারাত্মকভাবে বায়ুদূষণ তৈরি হয়েছে। মহাসড়কের ধামরাই, ইসলামপুর, ঢুলিভিটা, জয়পুরা, কালামপুর বাইপাস, কাওয়ালীপাড়া, সূতিপাড়া, শ্রীরামপুর, বাথুলি, বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণ হচ্ছে। পরিবহন চলাচল করায় ওইসব এলাকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ ধুলা উড়ে অন্ধকারের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ধামরাই উপজেলা হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া বালুবাহী ট্রাকগুলো থেকে বাতাসে বালু মিশে বায়ুদূষণ হচ্ছে। এতে বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড (পশ্চিম ) থেকে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধুলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণের ফলে বায়ুদূষণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ইটভাটা তো রয়েছেই। অন্যদিকে উপজেলায় ড্রাম ট্রাক ও পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শব্দ দূষণ বেড়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ চললেও বায়ুদূষণ রোধে সড়কে পানি ছিটানো হয় না। উপজেলায় অবাধে কৃষিজমি ও বংশি নদী ,ধলেশ্বরী নদী, গাজীখালী নদী থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের ফলে মারাত্মক বায়ুদূষণ হচ্ছে। এতে আঞ্চলিক ও মহাসড়কে বালুবাহী পরিবহন চলাচলের সময় বালু উড়ে বায়ুদূষণ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অব্যাহতভাবে মনুষ্যসৃষ্ট বায়ুদূষণের ফলে চরম ক্ষতি হচ্ছে। এক দিকে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া ও সড়ক-মহাসড়কে ধুলার কারণে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ হচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে শিশুসহ অসংখ্য মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাবে।
ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বায়ুদূষণের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। দূষিত বায়ু শ্বাসনালী দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে রোগ থেকে বাঁচতে। ইটভাটা ও পরিবহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ার কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে। এছাড়া সড়কে ধুলার কারণেও বায়ুদূষণ হচ্ছে। বিআরটিএ বা প্রশাসন যদি পরিবহনের কালো ধোঁয়া বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে বায়ুদূষণ অনেকটা রোধ করা সম্ভব।