ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাইয়ে গাংগুটিয়া বাজারে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মারামারি দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মোঃ ফরহাদ হোসেন (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মোঃ জাকারিয়া নামে একজনকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে কাছে সোপর্দ করছেন জনতা।
শুক্রবার (২০ মে ) সন্ধায় ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুনালাই গ্রামের গাংগুটিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরহাদ হোসেন অর্জুনালাই গ্রামের মৃত ধনু বেপাড়ী ছেলে ।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, অর্জুনালাই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে জাকারিয়া এবং একই গ্রামের আঃ ছালামের ছেলে মতিউর রহমানের সাথে মাটির ব্যাবসা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সংঘর্ষ চলে আসছিল। সেই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাকারিয়া মতিউর রহমানকে মারার জন্য তার বাহিনী নিয়ে গাংগুটিয়া বাজারে যায়। সেখানে মতিউর রহমান মতিকে মারার জন্য দেশিয় অস্ত্র হাতুরি দিয়ে আঘাত করেন। মতিকে মারধর করা অবস্থায় একই গ্রামের ফরহাদ হোসেন সেই মার থামাতে যায়। তখন জাকারিয়া ফরহাদ হোসেনের মাথা বরাবর হাতুরি দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে ফরহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পরপর জাকারিয়া তার হাতের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফরহাদকে বুকের মাঝে আরেকটি আঘাত করে। তখন ফরহাদ শুধু ঘোনরাইতে থাকে। এই সময় বাজারের লোকজন দৌড়িয়ে এসে জাকারিয়াকে আটক করে এবং ফরহাদকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমরা শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংগুটিয়া বাজারে বসে আলাপ করছিলাম। এই সময জাকারিয়া তার বাহিনী নিয়ে মতিউর রহমানকে মারতে গেলে আমি ও ফরহাদ থামাতে যায়। সেখানে জাকারিয়ার হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে ফরহাদের মাথা আঘাত করলে ফরহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর ফরহাদকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, গাংগুটিয়া ইউনিয়নে মাটির ব্যবসাকে কেন্দ্র জাকারিয়ার আঘাতে ফরহাদ হোসেন নিহত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকারিয়াকে আটক করে থানায় আসি। লাশের ছোরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার প্রস্ততি চলমান।