ঢাকার ধামরাইয়ে
সড়ক মহাসড়ক গুলো পিচঢালা কার্পেটিং হলেও দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এগুলো পাকা সড়ক। ড্রামট্রাক
ও মাহিন্দ্রায় করে ইটভাটায় নেওয়া মাটি পড়ে সড়ক মহাসড়ক গুলো কাদায় পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের
অনুপযোগী হয়ে পরেছে ।
সোমবার (২০মার্চ)
সকালে বৃষ্টির পর থেকে সড়কগুলোতে কাদা মাটি ভিজে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে
চলাচল একেবারেই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে মোটরসাইকেল
ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা।
উপজেলার বিভিন্ন
সড়কগুলোর এখন একই অবস্থা। কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে সড়কগুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটে যেতেও চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয়দের
অভিযোগ, অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে মাটি বহনের ফলে রাস্তার এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বছরের
পর বছর ধরে উপজেলার বেশিরভাগ ইটভাটার মাটি অবৈধভাবে চলা মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর-ডাম্পার,
ট্রলি, ট্রাকে করে নিয়মিত মাটি নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় যায়। এর ফলে পাকা রাস্তায় চলাচল
করার সময় এসব যানবাহন থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর
গুলো, এবং উপজেলার কিছু অসৎ কর্মকর্তার স্বার্থ হাসিলের কারণে আজ ধামরাইয়ের রাস্তাগুলোর
এমন হাল।
ইটভাটার ট্রাকসহ
বিভিন্ন যানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। সেই মাটি থেকে ধুলোর
সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বেশকিছু দিন ধরে ধুলো বালিতে বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল।
এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে
দুর্ভোগ। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে এসব সড়কে এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের
কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
রাস্তায় চলাচল
করা মটরসাইকেল আরোহী মামুন মিয়া সহ আরোও ৪-৫ জন জানান, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী
যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর বর্ষায় কাঁদা
হয়ে থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল
করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ
করা না হয় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা
মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের
দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।
অটোরিকশা চালক
মন্টু বলেন, রোদ আর বৃষ্টি আছেনা আমাগো কাছে তিন যায়গায় কিস্তি দেই। গাড়ি না চালাইতে
পারলে না খাইয়া মরতে অইবো। আমরা গরিব মানুষ আমাগো কথা কে শুনবো। এই ইটখোলার মাটির ট্রাকের
কারণে ঠিক মত টিপ মারতে পারি না। উলটাপালটা গাড়ি চালায় ওরা। বেশির ভাগ ড্রাইভার ছোট
ছোট পোলাপান। সাবধানে না চালালে জীবন শেষ। আজকে দেখেন রাস্তার কি অবস্থা গাড়ি নিয়া
যাওয়া যায় না। যত জ্বালা গরিব মানুষের।
এ বিষয়ে জানতে
চাইলে ধামরাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার বলেন,
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।