আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধানমন্ডির সপ্তক স্কয়ারে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (৫ মে)। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনি বলেছেন, রবিবার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড আজ সোমবার ভাঙার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকম।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ওয়েবসাইটটির পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত, দাবদাহসহ আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল হলেও গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই চলছে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ। এর আগে ২০১৯ সালে একটানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের ওপর মাঝারি থেকে ভারি এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এ মেঘ থেকে আজ সন্ধ্যার পূর্বে শুধু সিলেট বিভাগে জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম বা নাই বললেই চলে। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া ডটকমের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার দেশের সাতটি বিভাগের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ছয়টার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান এই তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান তাপপ্রবাহের সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের থেকে ধীরে ধীরে তাপ-প্রবাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন জেলায় তাপমাত্রা কেমন হতে পারে :

অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা।

তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ঢাকা শহরসহ ঢাকা শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সব জেলা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া) ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া)।

মধ্যম তাপপ্রবাহ: ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের উত্তর দিকের সব জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী।

মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: রংপুর বিভাগের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।

৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সিলেট বিভাগের জেলাগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র দুইটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখি হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।


আরও খবর



রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নিলক্ষা গ্রামের রাজিব সরকারের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার সকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ও হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজিব ও তার সমর্থকরা। বুধবার সকালে রাজিবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের গোলা-গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগর মিয়ার মৃত্যু হয়। পুলিশি গ্রেপ্তারসহ আইনি জটিলতা এড়াতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ববিরোধসহ বালু ব্যববসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর