ধর্মঘট প্রত্যাহার
করে আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এর আগে গতকাল
রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ
আহসানের সঙ্গে চা শ্রমিকদের বৈঠক হয়। এ সময় চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী
কথা বলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত
করে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, চা শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে পরম শ্রদ্ধা করেন। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আজকের এই সিদ্ধান্ত। চা শ্রমিকরা
প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন এবং কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন।
বাংলাদেশ চা
শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক।
তিনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নেব।’
সভায় নেওয়া
সিদ্ধান্তগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ
চা শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে যোগদান করবেন। আপাতত
চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তী সময়ে মজুরির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে
নির্ধারিত হবে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।
তা ছাড়া আসন্ন
শারদীয় দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য
চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
উপস্থাপিত হবে। চা শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল
করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর সময় বিবেচনা জানাসহ তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। বাগানমালিকরা
বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরি শ্রমিকদের পরিশোধ করবেন।
সভায় পুলিশ
সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন
গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত
২০ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা শ্রমিক ও সরকারের
সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় ১৪৫ টাকা। এরপর চলমান কর্মবিরতি
প্রত্যাহার করার কথা জানান চা শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সাধারণ চা শ্রমিকদের তোপের মুখে
পড়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন চা শ্রমিক ইউনিয়ন।