আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ধর্মপাশায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে বজ্রপাতে পলাশ মিয়া (১৫) ও তোহাসিন (২২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইউনিয়নের ছাতরা হাওরের কান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন>> সাতক্ষীরায় ট্রাকের ধাক্কায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকেলে হরিপুর বনাম শান্তিপুর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হরিপুর গ্রামের শফিকুলের ছেলে পলাশ মিয়া ও শান্তিপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে তোহাসিন দুপক্ষের হয়ে খেলছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে দুজনেই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে।

জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘট আজ থেকে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে পেট্রোল পাম্পের মালিকদের একাংশ ধর্মঘটে যাচ্ছে। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা। বিপিসির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এই ধর্মঘট হচ্ছে। তবে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা অন্য অংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

মালিকরা বলছেন, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরনো ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

হরতাল আহ্বানকারী অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করে শুধু সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সৎভাবে বেঁচে থাকার দাবি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

ধর্মঘট প্রত্যাহার জানিয়ে অন্য অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ আহমেদ তপন ও হুমায়ুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবিদাওয়া বাস্তবায়নে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব ধরনের দাবিদাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।

মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, তারা ধর্মঘটে যাবেন। এই ধরনের আশ্বাস ২০২০ সাল থেকে তাদের দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তারাই বৃহত্তর অংশ। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের একাংশের মালিক-শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে রয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের সদস্য সাড়ে চার হাজারের মতো। আজ তাদের সঙ্গে বিপিসির কোনও বৈঠক হয়নি বলে জানান তিনি।

অন্য অংশ ধর্মঘট থেকে সরে গেছেন, এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ধর্মঘট ভেঙে দেখাক পারলে। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাত ৯টার পর তাদের একটি দাবি কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করা মেনে নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে কি ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে কি না, জানতে চাইলে মিজানুর রহমান রতন বলেন, শুধু একটি দাবি মেনে নিয়েছে। মোট দাবি তিনটি। প্রধান দাবি উপেক্ষিত। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাতের মধ্যে যোগাযোগ করা কঠিন, কাল ধর্মঘট থাকবে। হয়তো পরশু থেকে প্রত্যাহার হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: পেট্রোল পাম্প

আরও খবর
সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৬৯০ জন

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইউক্রেন থেকে শস্য কেনা নিষিদ্ধ করল ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের তিন দেশ। শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনের প্রতিবেশী পাঁচ দেশে শস্য রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দিনে দেশ তিনটি এ ঘোষণা দেয়। ইউক্রেনের প্রতিবেশী ওই দেশ তিনটি হলো পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটি আক্রমণের পর থেকে এর শস্য রপ্তানি কমে গেছে। আরও একটি কারণ হলো রাশিয়া কৃষ্ণসাগর ইউক্রেনে শস্যবাহী জাহাজের জন্য করিডর বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটি খুব বেশি বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে পারছে না। ফলে বিশ্বজুড়েই খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে।

কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইউক্রেনের শস্যের অবাধ আমদানির কারণে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের দাম কমে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এ কারণেই দেশ তিনটি ইউক্রেন থেকে শস্য ক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন থেকে কিছু শস্য রপ্তানি বৈধ ছিল। সেই শর্ত হলো যে দেশ ইউক্রেনের শস্য কিনবে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও সেই শস্য বিক্রি করবে।

কিন্তু শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি নিজ নিজ উদ্যোগে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কিস শুক্রবার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানির বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা। কিন্তু পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি সেই আহ্বান না মেনে ইউক্রেনীয় শস্য আমদানিতে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে দেশগুলো তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় পণ্য পরিবহণ করতে দেবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামের শিল্পকলায় সম্প্রীতির উৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল অব টলারেন্স’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিক গঠনের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বির্নিমানে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রীতির উৎসব। রোববার শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উৎসব উদযাপিত হয়।

বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাস এবং আইসিটি বিভাগের সহায়তায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি) প্রকল্পের ডাইভার্সিটি ফর পিস এটুআই- এসপায়ার টু ইনোভেট, ইউনেস্কো, একশনএইড বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ আয়োজনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, কুপমুন্ডকতায় ভরা পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজের বীজ রোপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এক বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা হতে দেয়নি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সহনশীলতা ও মুক্ত চিন্তার জন্য এ উপমহাদেশ বহু আগে থেকেই বিখ্যাত। আমাদের যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বহু শতকের ঐতিহ্য তা ধংস করা হয়েছে উপনিবেশিকতার মাধ্যমে। তারা আমাদের মূল্যবোধের উপর অন্য মূল্যবোধ চাপাতে চেয়েছিল৷ আমাদের মুক্তিযুদ্ধও ছিল সম্প্রীতি রক্ষা ও বৈচিত্র্য রক্ষার এক সংগ্রাম। আমাদের সরকার সবসময় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির উদ্যোগ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছেন। আমরা পার্বত্য অঞ্চলের ভাইদের সাথে বহু যুগ ধরে সহাবস্থান করছি। মুক্তিযুদ্ধে আমরা একসাথে যুদ্ধ করেছি৷ হ্যাঁ, চুক্তি হয়ত এখনো শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও আছে।


শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাকে পছন্দ করে না। কারণ আমি বিভিন্ন সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। অনেক ক্লিপ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টা করে। তারা সংখ্যায় কম। দেশে সাধারণ মূল্যবোধের মানুষ সংখ্যায় অনেক বেশি। তবে প্রতিক্রিয়াশীলরা সংগঠিত। কর্ম জগতে নারীদের প্রবেশ ঠেকাতে অতিরক্ষণশীল মতবাদ তারা প্রচার করছে। এদের প্রচারণায় আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রভাবিত হয়ে যায়। সম্প্রীতি দুয়েকজন ক্রিকেটারও এমন প্রচার করেছে, নারীদের কাজে যোগদান বিষয়ে৷ আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ এর পরে সেই শক্তি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। উদার পশ্চিমের (লিবারেল ওয়েস্টের) অনেক দূতাবাসের কর্তারাও অনেক সময় এ ধারণার প্রচারকারীদের সাথে বৈঠক করে। যেহেতু গণতন্ত্র বিষযে তাদের একটা অবস্থান আছে। তা তারা করতে পারে। তবে আমাদের সহনশীল সমাজকে যারা অস্থির করতে চায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে আমরা নিজস্ব উপায় সচেষ্ট আছি। থার্ড জেন্ডারের বিষয়টি যখন পাঠ্যপুস্তকে আসলো তাদের প্রতিক্রিয়া আপনারা দেখেছেন। এ ধরণের পরিস্থিতিতে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করতে হয়।

তিনি বলেন, সহনশীলতা ও ভিন্নতাকে গ্রহণের মানসিকতা অবশ্যই আমাদের তরুণদের থাকতে হবে৷ কারণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এটাই। আমরা বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ স্লোগান আমরা ব্যবহার করি। সেখানেও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি আক্রমণ করে। ট্রল করে। পার্বত্যবাসীর প্রতি দীর্ঘদিন যে অবিচার হয়েছিল, সে অন্যায়কারী গোষ্ঠী এখনো বেশ সক্রিয়। সামরিক শাসকরা সমতল থেকে বাঙালিদের জোর করে ধরে নিয়ে সেখানকার জনমিতি বদলে দিতে চেয়েছিল। তারা শান্তি চুক্তির দিনও এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছিল। এরকম জটিল মাত্রা ও সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিততে আমাদের কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের গত ১৪-১৫ বছরের অর্জনকেও বিবেচনা করতে হবে এই প্রেক্ষাপটে যে, সমাজে অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিহত করেই আমাদের এগুতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চলছে। সচেতন থাকতে হবে। বৈচিত্র্যকে গ্রহণে সামাজিক মানসিকতা বদলে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা দেখুন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা এখন সামাজিক স্বীকৃতি পায়। একসময় তাদের অন্তরালে রাখা হত।

 নওফেল বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় যেন কোনো হুমকি না আসে সে বিষয়ে আমরা সচেতন। বাংলা হবে আফগান এ স্লোগান যারা দিয়েছিল তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই। সেটা না করলে দেশ আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পথে এগিয়ে যাবে। যে সব দল ও সামাজিক শক্তি সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সাথে আছেন তাদের নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করব। পশ্চিমা কূটনৈতিকদের বলি, দেশে বৈশ্বিক মানদণ্ডে যে অগ্রগতি হয়েছে তা অবশ্যই আমরা ধরে রাখব। গণতন্ত্র রক্ষার নামে সরকার ও দলকে যখন আক্রমণ করা হয়, তা দু:খজনক। ইউরোপ আজকের অবস্থানে একদিনে আসেনি। ৫০০ বছর অন্ধকার যুগ কাটিয়ে, উপনিবেশ করে, সারা বিশ্ব থেকে সম্পদ আহরণ করে তারা এখানে এসেছে। গণতন্ত্র আমাদের এ ভূখন্ডের মানুষের মজ্জায়। প্রতিষ্ঠান দুর্বল হচ্ছে বলে, যে অভিযোগ করা হয় তা ঠিক নয়। আমাদের বাস্তবতা কি? আমাদের চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। রাষ্ট্রের বিরোধীতকারীদের এখানে বছরের পর বছর পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে৷ যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই স্বীকার করে না তাদের নিয়ে দেশ চালানো অনেক কঠিন। বিভিন্ন অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা যা দেখছি, তা যেন কমে। আমাদের সংগ্রাম আমাদের মতই হবে। বাইরে থেকে যত কম হস্তক্ষেপ হবে ততই ভালো হবে।

বিশেষ অতিথি নরওয়ের রাষ্ট্রদূত স্পেন রিকটার এসভেনডসেন বলেন, অসাধারণ এক ধারণা সম্প্রীতির উৎসব। সম্প্রীতি ও সহনশীলতা এত সহজ নয়। ভিন্নতাকে মেনে নেয়া হলো সহনশীলতা, এটা কঠিন। অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। আমরা দ্বিধায় ভুগি টলারেন্স নিয়ে। সবার ভিন্ন মতে আমরা এক মত হব তা নয়। কিন্তু অন্যের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিতে হবে। ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়া যোগাযোগের অবারিত সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু মিথ্যা তথ্য ছড়ানো সহ নানা কারণে তা সংকটেরও জন্ম দেয়। অন্তর্ভুক্তিমূ্লক সমাজ থাকলে নানা বৈষম্য ও প্রতিহিংসা ছড়ানো বন্ধ করা সম্ভব। তারুণ্যের শক্তিই সবসময় এগিয়ে যেতে পারে এ কাজে।

বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, জাতির জনকের আশা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সকল ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষের জন্য। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।

বিশেষ অতিথি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সম্প্রীতির উৎসব বেশি করে হওয়া দরকার। ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। এখানে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। জাতির পিতা অসম্প্রাদিয়ক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের নীতি অনুসরণ করছেন। এই প্রযুক্তির যুগে মিস ইনফরমেশন অহরহ দেখতে পাই। যে কোনো তথ্য সোশাল মিডিয়াতে আসলেই সেটাকে সত্য বলে ধরে নেয় মানুষ। যা নানা দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। সব ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

বিশেষ অতিথি চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ছড়ানো হয়। যারা এসব করে, তারা সংখ্যায় অল্প। কিন্তু তারা মনে করে তাদের সঙ্গে সংখ্যাগুরুরা আছে। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। আমরা চাকমা সার্কেল চেষ্টা করছি সকল সম্প্রদায়ের সঙ্গে সকল ধর্মের মানুষের যাতে সহবস্থান হয়। পাহাড়ে বাঙালিসহ, সকলেরই সম্প্রীতির বন্ধনে রাখার চর্চা অব্যাহত আছে। কিন্তু আগে থেকেই যদি বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়ানো হয় তাহলে সহাবস্থান নিশ্চিত হয় না। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি ইউনেস্কোর অফিসার ইন-চার্জ সুসান ভাইজ বলেন, ছোটবেলায় রূপকথার গল্পে শেখানো হয়, আমাদের মত নয় তাই খুব বিপদজনক। তাই স্বত:স্ফূর্তভাবে আমাদের মধ্যে থেকে সম্প্রীতি আসবে না। ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ভাবতে হবে ও সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছি। নবীনদের বৈচিত্র সম্পর্কে সচেতন করতে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ও নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিরাপদ করতে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক গড়তে আমাদের সাথে কাজ করছে।

আইসিটি ডিভিশনের পিটিআইবি প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, আমাদের মূল ফোকাস সাইবার বুলিং থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখা। সব শাখার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এমন আয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবার জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের মহাপরিকল্পনায় সম্প্রীতির উৎসব এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারাত্নে। বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গর্ভনিং বডির সদস্য নিরুপা দেওয়ান, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এর নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, ইউনাইডটেড থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন (উৎস)র নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা।

উৎসবের উদ্বোধনী পর্বের সমাপনী বক্তব্য রাখেন পিটিআইবি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রবার্ট স্টোলম্যান।

উদ্বোধনী পর্বে চাকমাদের উবগীত, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গীত, মেয়েদের মার্শাল আর্ট, পাপেট শো এবং ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্যদের গীতিনাট্য পরিবেশ করা হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে সহনশীলতার প্রতি দরুণ ভাবনা শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ, শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা কিভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে সে সম্পর্কে তরুণদের মতামত নেয়া হয়। ইউএনডিপির সিনিয়র গর্ভনেন্স স্পেশালিস্ট শীল তাসনিম হকের সঞ্চালনায় এই পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক এর রিসার্চ ম্যানেজার আবু সাইদ মো. জুয়েল মিয়া।

সমাপনী পর্বে নাটক- সম্প্রীতির বাংলাদেশ মঞ্চস্থ হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করে টঙের গান ও সাওতাল ব্যান্ড আংরা। দিনব্যাপী আয়োজনে আরো ছিল চিত্র প্রদর্শনী, পাপেট শো ও এম্পেথি গেম।


আরও খবর



চেহারা বদলের বিষয়ে মুখ খুললেন এমি জ্যাকসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চেহারায় নতুন লুক এনে সম্প্রতি বেশ সমালোচিত হয়েছেন ব্রিটিশ মডেল-অভিনেত্রী এমি জ্যাকসন। যুক্তরাজ্যের পারফেক্ট ম্যাগাজিনের পার্টিতে নতুন লুকে অংশগ্রহণ করেছিলেন এমি।

নেটিজেনদের অনেকে মনে করছেন সার্জারি করেই এই হাল হয়েছে এমির। কেউ ভাবছেন এটা ডায়েটের ফল। নতুন লুকে এমিকে অনেকে আইরিশ অভিনেতা কিলিয়ান মারফির সঙ্গে তুলনা করছেন। কারও কারও ধারণা, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির লুক নিতে গিয়েই এমন দশা হয়েছে এমির। নেটিজেনদের কাছে তিনি যেন এখন লেডি কিলিয়ান মারফি। এই বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। 

আরও পড়ুন>> ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা, আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন কমল হাসান

এমি বলেন, আমি একজন অভিনেত্রী, আমি আমার কাজ বুঝেই করি। গত এক মাস ধরে যুক্তরাজ্যে নতুন একটি প্রজেক্টের শুটিং করছি। যেই চরিত্রটিতে অভিনয় করছি, সেটার জন্য আমাকে ওজন কমাতে হয়েছে। সেই চরিত্রের প্রতি আমি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার বিষয়টি দুঃখজনক। আমার পুরুষ সহকর্মীরা সিনেমার জন্য নিজেদের লুক বদলে প্রশংসিত হয়েছেন। যখন কোনো নারী কাজটি করেন, তখন তাকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার করা হয়। তারা মনে করেন আপনাকে নিয়ে ট্রোল করার অধিকার তাদের আছে।


আরও খবর



নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: রওশন এরশাদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করি বলেই কখনও নির্বাচন বয়কট করিনি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হলেও উদ্বেগ কাটেনি। এরই  মধ্যে এটি পাস হয়েছে। তার আগে সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের মতামত নেওয়া যেত। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মান দিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক কিছুর দাম বেড়েছিল। কিন্তু বিশ্ব বাজারে এখন দাম কমেছে। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির দীর্ঘলাইন এখন সাধারণ চিত্র। এখানে যুক্ত হচ্ছে মধ্যবিত্ত। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পদক্ষেপ ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি পদক্ষেপ জরুরি। তা নাহলে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে। অস্থিরতা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারের দোহাই দিয়ে অর্থনীতির সংকটের কথা বলার অবকাশ এখন নেই। দেশে ডলার সংকট দীর্ঘদিনের। অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাত বারবার আলোচনায় আসছে। ডলার সংকট কাটাতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।


আরও খবর