ভারতের হিমাচল প্রদেশের পর্বতনগরী ধর্মশালা ছবির মতো সুন্দর। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলে যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল সেটা এই সুন্দরের ছোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়া থেকে কিছুটা দূরে সরে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছেন।
তবে শীতল হিমাচলে বসেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। হিমাচলে সাকিব আল হাসানের দল ২২০০ কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশে তাদের নিয়ে উন্মাদনার উষ্ণতা টের পাচ্ছে।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা ঘরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। বাইরের উচ্ছ্বাস টের পাওয়ার উপায় নেই। তবে দূর থেকে সমর্থন দিয়ে দলকে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে তারা। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানও সাকিবদের অতি চেনা। নিজেদের সপ্তম ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ১১টায় বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে টাইগাররা।
অধিনায়ক সাকিব বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে থেকে এখন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। যদিও একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। কিন্তু সর্বজনীন মিডিয়ার সামনে নিজের পরিকল্পনা জানানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।
প্রথম ম্যাচের আগের দিনও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে কোচ জানান, ‘ভালো বিশ্বকাপ কাটানো, ম্যাচ জেতা আমার লক্ষ্য। আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা। এটা স্বপ্নও হতে পারে, লক্ষ্যও হতে পারে। এতে কোনো ফারাক পড়ে না।’
আসল লড়াইয়ে নামার আগে গুয়াহাটিতে দুই প্রস্তুতি ম্যাচের একটিও খেলতে পারেননি সাকিব। অনুশীলনে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলেন। কিন্তু শঙ্কা কেটেছে আগেই। পুরো ফিট সাকিব সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বকাপে কখনো আফগানিস্তানের কাছে হারেনি টাইগাররা। ২০১৯ বিশ্বকাপে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আফগানদের একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। পাঁচ উইকেটের সঙ্গে করেছিলেন ৫১ রান। ৮৩ রান করে জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিমও। দুজনই আছেন এবার।
ধর্মশালার উইকেটে শুরুতে পেসাররা সুবিধা পান। শুরুতে উইকেটে আর্দ্রতা থাকে। বলও ধীরে আসে। সময়ের সঙ্গে রান করা সহজ হতে পারে। এই মাঠে রান তাড়া করে জেতা কঠিন।
সূচি প্রকাশের পরই আইসিসি জানিয়েছিল বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে চোখ রাখতে। তার মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।