নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে (১৪) হত্যা করেন তার সাবেক কোচিং শিক্ষক আব্দুর রহমান রনি (২৫)।
আজ শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় এমনই জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে থাকা আব্দুর রহমান রনি। পরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘রনি মাঝে মাঝে ওই ভবনে যাওয়া আসা করত। ঘটনায় দিনও সে ওই ভবনে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীদের বাসায় কলিং বেল দিলে মেয়েটি দরজা খুলে দেয়। পরে তারা দুজন গল্প করে কিছু সময়। এক সময় মেয়েটি রান্না ঘরে গেলে রনি তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে। এ সময় রনি টেলিভিশনের ভলিউম বাড়িয়ে দেয়, পানির কল ছেড়ে দেয়। পরে মেয়েটিকে রান্নাঘর থেকে ড্রয়িং রুমে এনে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বালিশ দিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরলে সে মারা যায়। পরে ঘটনা ভিন্নদিকে নিতে ছুড়ি দিয়ে মেয়েটির হাতের রগ ও গলা কাটে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘরের আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে রনি।’
এর আগে শুক্রবার বিকেলে আবদুর রহিম রনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সন্ধ্যায় আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদ শুনানি শেষে আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি বাড়ির কক্ষ থেকে ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০), আবদুর রহিম রনি (২০) ও ইমাম হোসেনকে (৩৯) আটক করে। নিহতের মা বাদী হয়ে একাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রনি ও ইসরাফিল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অপর আটক সাঈদ ও ইমাম হোসেনকে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।