আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশু এক যুগ পরে পেল পিতৃপরিচয়সহ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর পিতৃপরিচয়সহ ১২ বছর আগে নিজের ওপর হওয়া অপরাধের বিচার পেলেন এক নারী। ২০০৮ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হন তিনি। 

সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান।

আদালত ওই রায়ে তরুণীকে ধর্ষণের কারণে তার গর্ভে জন্ম নেয়া আসামি শফিকুলের ছেলেকে উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ২১ বছর বয়স পর্যন্ত তার সমস্ত ব্যয়ভার প্রয়োজনে আসামির সহায় সম্পদ বিক্রি করে প্রদান করার আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর পীরগাছা উপজেলার ওই নারীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আসামি শফিকুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে আসামি শফিকুল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করে। আদালত মেয়েটির গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে আদালতের নির্দেশে উভয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে গর্ভজাত শিশু ডিএনএ টেষ্টে শিশুটি আসামি শফিকুলের বলে প্রমাণিত হয়।

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মামলার বিচারকালে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ শেষে আসামি শফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মামলায় অপর দুই আসামি মজিরন বেগম ও মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত।

বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ২ এর বিশেষ পিপি অ্যাড জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালত ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সন্তানের স্বীকৃতি ও তার ভরণপোষণের জন্য সম্পদ বিক্রি করার আদেশ দেবার মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারীর উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আহত লিটন (১৯) আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে লিটন নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে বিএসএফ।

এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



কক্সবাজারে নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় রিনা আক্তার (৪০) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানি বলেন, তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। এসময় বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বাড়ির কেয়ারটেকার এবং দোতলার আরেকটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকা এক রোহিঙ্গা নারীকেও হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, যে দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে, সেটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, মোদির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে সে দেশের রাজপথ। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন তার স্ত্রী।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তারের গুঞ্জন বাতাসে। সত্যি যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আরও উত্তপ্ত হবে ভারতের রাজনীতি।

এদিকে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারতের রাজধানী। দফায় দফায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনওরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।''

তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়।

এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন জেল থেকেই তিনি রাজ্য চালাবেন। দুদিন আগে জেল থেকেই নিজের প্রথম সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এবার ফের একবার ইডি হেফাজত থেকেই নিজের দ্বিতীয় সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভারদ্বাজ জানালেন, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল। সৌরভ এদিন বলেন, দিল্লিবাসীর যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্যেই নিজের কাজ ইডি হেফাজতে থেকেও চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।

স্বাস্থ্য পোর্টফোলিওর দায়িত্বে থাকা সৌরভ ভারদ্বাজ একটি প্রেস মিটে বলেন, তিনি ভিতরে বা বাইরে যেখানেই হোন না কেন, যখনই কোনও আন্ডার প্রিভিলেজ ব্যক্তি ওষুধ নিতে সরকারি হাসপাতালে যায়, তখনই তার তা পাওয়া উচিত। একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ওষুধ কিনতে পারেন, কিন্তু দিল্লির লক্ষাধিক আন্ডার প্রিভিলেজ পরিবার ওষুধের জন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারি হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। এই ওষুধগুলির মধ্যে কিছু আজীবন খেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী কিছু মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধার সমস্যা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। তাই তিনি আমাকে নিশ্চিত করতে বলেছেন যে সমস্ত হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকগুলি যেন বিনামূল্যে পরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করে।

এই বিতর্কের মাঝেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গি মুক্তির বিনিময়ে খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের থেকে ১৩৪ কোটি টাকা নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! এমনটাই দাবি করে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন শিখস ফর জাস্টিস প্রধান। পান্নুনের ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে আম আদমি পার্টি।

কেজরিকে বিপাকে ফেলে খালিস্তানি জঙ্গি নেতার অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত খলিস্তানি সংগঠনগুলির থেকে মোট ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৩.৫৪ কোটি টাকা। অবশ্য পান্নুনের এহেন দাবি পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে আপের তরফে। তাদের বক্তব্য, আম আদমি পার্টি কখনও দেশবিরোধী কাজ করে না। তবে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।


আরও খবর