আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিবি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির লাশ মিলল হাসপাতালে

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জুন রাজধানীর বাউনিয়া থেকে আলাল দেওয়ান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়।

আদালতকে জানিয়ে গত ১০ জুন তাকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং গত শুক্রবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই জাতীয় হৃদরোগ থেকে ফোনে স্বজনদের জানানো হয় তিনি মারা গেছেন।

আলালের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, বাসা থেকে তাকে সুস্থ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল ডিবি। তাদের নির্যাতনেই আলাল মারা গেছেন।

ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আদালতকে অবহিত করা পর্যন্ত এই চারদিন আলাল কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন এ বিষয়ে ডিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আলালের বাড়ি রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া উত্তর পাড়ায়। তার বাবার নাম নূর উদ্দিন দেওয়ান। স্ত্রী পারভীন আক্তার ও দুই সন্তান রয়েছে আলালের। তুরাগ থানায় এক হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন তিনি।

স্বজনদের দাবি, গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে সুস্থ আলালকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান। ডিবি আটকের পর তার ওপর নির্মম নির্যাতন করে পা ভেঙে দেয়। কিন্তু অসুস্থতার বিষয়ে আলালের পরিবারকে কিছুই জানায়নি ডিবি। স্বজনরা বলছেন, আলালের মৃত্যুর এ ঘটনায় তারা বিচারের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

ডিবি উত্তরা বিভাগের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, ডিবি হেফাজতে আলালের মৃত্যুর অভিযোগ সত্য নয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, 'তুরাগ থানা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল উদ্দিন। হত্যা করার সময় ওই নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পায়ে আঘাত পান আলাল। তাকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকারও করেন।'

তিনি বলেন, আলাল হত্যাকাণ্ডের সময় পায়ে যে আঘাত পান তাতে পা ফুলে যায়। তখন কোর্টের নির্দেশে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ব্লাড প্রেশার হঠাৎ বেড়ে গেলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চার ঘণ্টা থাকার পর মৃত্যু হয় আলালের।

আলালের ডেথ নোটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা উল্লেখ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটি থেকে ১০ মিনিট তিনি আলাল উদ্দিনকে পরীক্ষা করেন। এ সময় তার পালস (নাড়ির স্পন্দন) ও বিপি (রক্তচাপ) ছিল না। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর এই চিকিৎসকই আলালকে প্রথম পরীক্ষা করেছেন।

জানা গেছে, গত ৬ জুন রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া আদর্শপাড়ার একটি বাড়ির দোতলায় খুন করা হয় ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩৩) নামের এক গৃহবধূকে। ওই বাসার কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন আলাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ফাতেমার ভাই মুরাদ মিয়া তুরাগ থানায় মামলা করেন। মামলার আসামি করা হয় ফাতেমার স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে। এ মামলার তদন্তে নেমে ডিবি উত্তরা বিভাগের পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আলালকে আটক করেন।

আলালের বড় ভাই মো. লিয়াজ উদ্দিন বলেন, মৃত্যুর পরে জানতে পেরেছি ১০ তারিখ সকালে তাকে পঙ্গু হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ছয়দিন ছিল। হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় সে।

আজ রাত আটটার দিকে আলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের সঙ্গে সুরতহাল প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি বলে মর্গ সূত্র থেকে জানা গেছে।


আরও খবর



ইউনিক পরিবহনের ছিল না ফিটনেস, রুট পারমিট, এমনকি ট্যাক্স টোকেনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন, সেই বাসটি ফিটনেস ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাচল করছে।

এমনকি যেই ঢাকা-মাগুরা রুটে দুর্ঘটনাটি হয়, সেই রুটে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) চলাচলের অনুমোদনও ছিল না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।

কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই দূরপাল্লার এই বাসটি চলাচল করেছে।

অন্যদিকে যে পিকআপের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়, পণ্য পরিবহনের সেই পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকে আহতও হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের (যশোর-ন ১১-১৩৩৯) যাত্রী ছিলেন।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক ফিটনেস ছাড়পত্র নেয় এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ফিটনেস ছাড়পত্র ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করে, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন নিয়ে গাড়ি চালালে কোনো ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

বাসটি চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুট পারমিটের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাসটির মালিক কে?

বিআরটিএর নথি অনুযায়ী, ইউনিক পরিবহনের সেই বাসটির মালিক ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে শামসুল হুদা।

শামসুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি নাজমুল হোসেন নামে একজনের কাছে বাসটি বিক্রি করেছেন।

কিন্তু বাসটি শামসুল হুদার কোম্পানি ইউনিক পরিবহনের ব্যানার ব্যবহার করছিল।

নতুন মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে, অনেক বাস এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা জানান, তিনি বাসটির নতুন মালিককে বিক্রয় রশিদ দিয়েছেন। কিন্তু নতুন মালিক কেন বিআরটিএতে গিয়ে মালিকানা দলিল পরিবর্তন করেননি, তা তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাসটির রুট পারমিট বা ফিটনেস ক্লিয়ারেন্স না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।

টেলিফোনে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করব এবং তখন সবকিছু প্রকাশ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি বাসটির বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



কুবিতে শিক্ষক সমিতির দাবি বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) উপাচার্যের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপস্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে উপাচার্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং অতিদ্রুত করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকীকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতির যে-সব যৌক্তিক দাবি আছে সেগুলা বাস্তবায়নে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসন করা হবে। তাই শিক্ষক সমিতির নেতাদের আলোচনায় বসতে আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর