আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে অন্যদের বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ হারুনের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে অনেক সময় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। যদি অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডিবি পরিচয়ে কাউকে গ্রেফতার করে তাহলে ডিবি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পরে ডিবি পরিচয়ে আটকের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। আমরা আগেও অনেকবার একটা কথা বলেছি, আমাদের ডিবি সদস্যরা যদি কাউকে আটক করে সেটি আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় মামলা, ওয়ারেন্ট অথবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে অনুযায়ী গ্রেফতার করতে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা হলো, তাদের আইডি কার্ড ঝোলানো থাকবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আধুনিক যে জ্যাকেট রয়েছে সেটি তাদের শরীরে থাকবে।

তিনি বলেন, এছাড়া কেউ ডিবির কথা বললে বিশ্বাস করবেন না। এটা বলার পরেও দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ সাদা পোশাকে এসে ডিবির নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোকজন আমাদের কাছে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারি না। কারণ আমাদের কাছে নেই। কারা নিচ্ছে সে তথ্য আমাদের কাছে থাকলে আমরা সেটি প্রকাশ করতে পারি।

ডিবিপ্রধান বলেন, তাই আমি বিনীত অনুরোধ করবো, যারাই ডিবির নাম ব্যবহার করেন, তারা ডিবির নাম ব্যবহার না করে যারা গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থা, তারা নিজ নিজ পরিচয় দেবেন। তবে অনেক সময় আছে কিছু অপরাধী অপহরণের উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। তারাও ডিবির নাম ব্যবহার করে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে অন্য কেউ যদি ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যায় তাহলে সেটি আমরা জেনে যাই। এর আগেও ডিবি পরিচয়, র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



মোজাম্বিকে নৌকা ডুবে ৯০ জনের বেশি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ১৩০ জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেছে। 

নামপুলার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে নিহতরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ, তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক, পেসার জ্যাসন বেহেরেনডর্ফ ও অলরাউন্ডার ম্যাট শর্টের।

দলে জায়গা পেয়েছেন ২০২২ সালের পর আর টি-টোয়েন্টি না খেলা অ্যাস্টন অ্যাগার। প্রত্যাশিতভাবে আছেন মার্কাস স্টয়েনিস, টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।

১৫ সদস্যের দলটিকে নেতৃত্ব দিবেন মিচেল মার্শ। গেল ১২ মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা থেকে পূর্ণকালিন অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে।

এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া আছে বি গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ওমান, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড। ৫ জুন বার্বাডোজে ওমানের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল:

মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, টিম ডেভিড, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইঙ্গলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়েনিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা।


আরও খবর



সদরঘাটে ৫ জনের মৃত্যু

গ্রেপ্তারকৃতদের সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারদেরকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিএমএম) তোলা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের চার চালকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ১১ নং পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মা-সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। নিহতরা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘাটে বাঁধা টিপু-১৩ ও তাশরিফ-৪ লঞ্চের মাঝ দিয়ে ঢুকতে যায় ফারহান-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ সময় ফারহান ধাক্কা দেয় টিপুকে। আর টিপুর ধাক্কায় তাশরিফের রশি ছিঁড়ে যায়। রশির বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার বেতুয়ায় যাতায়াত করে থাকে।


আরও খবর



সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধ কবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তিতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ঙ্কর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর