আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিবিপ্রধান হারুনের বাড়িতে খেলেন দুই মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নিজ বাড়িতে দুই মন্ত্রীকে দুপুরের খাবার খাওয়ালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গতকাল বুধবার মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুরে গ্রামের বাড়িতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে দুপুরের খাবার খাওয়ান তিনি।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হারুন অর রশিদ লেখেন, আজ (বুধবার) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে আসেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের এমডি মন্ত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে অতিথিরা আমার গ্রামের বাড়িতে আসেন।

তিনি আরও লেখেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আমার আত্মীয়। সেই সূত্রেই আমার বাড়িতে পারিবারিক মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন। আর রাষ্ট্রীয় কাজে কিশোরগঞ্জ সফরে থাকা পরিকল্পনামন্ত্রী আমার আমন্ত্রণে কিছু সময় আমার বাড়িতে অবস্থান করেন ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।

এ সময় সময় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৯ জুলাই বিএনপির কর্মসূচিতে পুরান ঢাকায় পুলিশের হামলার শিকার হন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পরে তাকে পুলিশ নিয়ে যায়। সেদিন মিন্টো রোডে ডিবির হারুনের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। হরেক পদের খাবার দিয়ে গয়েশ্বরকে আতিথেয়তা করা হয়।

পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীকে আপ্যায়ন করান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, নিতাই রায় চৌধুরী ব্যক্তিগত কাজে ডিবি অফিসে হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন তিনি। পরে তারা দুজনে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটেও ভিড় নেই যাত্রীদের। ঘাটে আসার পরপরই যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠে নদী পারাপার হচ্ছে।

তবে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে এ ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এ পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর কমেছে ভোগান্তি; স্বস্তি ফিরেছে ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীদের।

এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এ নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনটি ঘাট প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিনদিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন। কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



স্বামী পরকীয়া করছেন সন্দেহে দুই সন্তানসহ ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে দুই শিশু সন্তান হত্যার পর ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। দুই শিশুসন্তান হলো আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চর দুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পূর্ব লাড়ুয়া গ্রাম থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি- তার আরিফ পরকীয়ায় লিপ্ত আছেন বলে স্ত্রী সন্দেহ করতো।

ওসি আরও বলেন, আমাদের ধারণা পরকীয়া বিষয়টি কেন্দ্র করেই এ আত্মহত্যার ঘটনাটি হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।

সীমার বাবা হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, ছয় বছর আগে আরিফের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাই যান। একমাস আগে বাড়িতে এসেছেন। তার মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে কি না- এমন কথা মেয়ে কখনো জানায়নি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের।


আরও খবর



নাবিকদের মুক্তি : প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তির খবরে শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নাবিকদের মুক্তির সংবাদটি যখন প্রধানমন্ত্রীকে দেই, তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে হয়েছে, আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়স্বজন নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত। আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব মেরিটাইম সেক্টরে যারা যারা আছেন, সবাই যোগাযোগ রেখেছেন বিষয়টি ফায়সালা করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে তৎপর ছিলাম।

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তৎপরতার মধ্য দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এখন তারা আরব আমিরাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর