আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
ধর্ষণ ও হত্যা মামলায়

দিহানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি রাতে ফারদিন ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা

রাজধানীর কলাবাগানে লেভেলের শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি দিহানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল না করে সময়ের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন। কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দিহান। ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি রাতে ফারদিন ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।

গত ৭ জানুয়ারি সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর আনুশকাকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ জানুয়ারি সকালে আমার স্ত্রী ও আমি বের হয় হই। পরে আমার মেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।


আরও খবর



অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খন্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কতো দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন: ঢাকা মহানগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নজরদারিতে ছিল। কুমিল্লা জেলা পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। গত তিন দিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তারা এ সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল।

গতকাল শনিবার রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করার বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন অবন্তিকা। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টের পর কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।


আরও খবর



পুরোনো সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরলেন ঐশ্বরিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে ঐশ্বরিয়া রায়কে নতুনভাবে ফিরতে দেখে স্বস্তি পেলেন তার অনুরাগীরা। পুরোনো সম্পর্ক যে আজও এভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন অভিনেত্রী, তা বুঝতে পেরে খুশি সবাই। এক প্রসাধনী সংস্থার বহু পুরোনো মুখ তিনি। সেই শ্যাম্পু-কালার ব্র্যান্ডে মাঝে দেখা গিয়েছিল নতুন মুখকে। সম্প্রতি আবারও সেখানে যুক্ত হলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ঐশ্বরিয়া দিলেন এক বার্তাও।

তিনি বলেন, না, কোনো আপস নয়। সেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি আজকের নারী। যে অল্পেতে সন্তুষ্ট নয়। আমি আপসে বিশ্বাসী নই। এগিয়ে চলাই আমার কাছে উল্লেখযোগ্য। তাই চুলের ক্ষেত্রেও বা কেন এত ব্যতিক্রম হবে? তাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে অবাক তার অনুরাগীরা।

সবাই বলছেন, অ্যাশকে যেন চেনাই যাচ্ছে না। হুট করে যেন বয়স খানিক কমে গিয়েছে তার।

গত কয়েক মাস ধরেই বলিপাড়ায় ঐশ্বরিয়া রায় ও অভিষেক বচ্চনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন তুঙ্গে। এ বিষয়ে তাদের কেউ মুখ না খোলায় আরও জোরালো হয়েছে গুঞ্জন। সম্প্রতি আম্বানির ছেলের প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদেরকে একসঙ্গে দেখে খানিক স্বস্তি পেলেও নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউই।

বচ্চন পরিবার যদিও বরাবরই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিজেদের মধ্যেই রাখতে চান। তাই এ নিয়ে জনসমক্ষে কেউই মুখ খোলেননি। তবে অনুরাগীদের অনুরোধ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি ঝামেলাও হয়, তাও যেন অতি দ্রুত মিটে যায়। আবারও যেন কাছাকাছি আসেন তারা।


আরও খবর



কুবি উপাচার্যের প্রকাশনা সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের চরম মিথ্যাচার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

২০০৬ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক পরিবেশ নিয়ে প্রশংসা করার মত ছিলনা কোন উল্লেখযোগ্য উপাদান। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়টি নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে হত্যা, টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্যে ছাত্র শিক্ষকদের জড়িত থাকার কারণে। হয়নি মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি।

এই অবস্থায় দেশ বিদেশে পড়াশোনা ও শিক্ষকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড: এ এফ এম আবদুল মঈন। যোগদানের পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। এজন্য সর্বপ্রথমেই উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, মানবকল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরী করেন, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরিক্ষার আয় থেকে মানসম্পন্ন প্রবন্ধ প্রকাশনায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি শুরু করা, শিক্ষকদের প্রকাশনার জন্য Editorial Support সহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করা, গবেষণার মান বৃদ্ধিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি প্রচলন করা, ক্রীড়ায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য স্পোর্টস বৃত্তি প্রচলন করা, কেন্দ্রীয়ভাবে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করে সেশন জট দূর করা, যে সকল শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি করার পরেও বিদেশে থেকে পদ ধরে রাখার কারণে এখানে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাদের ৯ জনের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা বাবদ ১.৭৮ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে পদগুলো শূন্য করে নূতন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, মশাবিহীন, স্বাস্থ্যকর, নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধমে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা, সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন (ডি-নথি, ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ইআরপি, ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক, পেমেন্ট গেটওয়ে) সেবার ব্যবস্থা করা, এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেমন, দুর্নীতিমুক্ত প্রকিউরমেন্ট ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ করা।

এই সকল ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে তার ইমেজ বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। যেমন, এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক AD ইনডেক্স এর গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মাত্র ৫জন শিক্ষকের সংখ্যা ছিলো, তা এই দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া, বর্তমান উপাচার্য ২০২২ সালে যোগদানের পূর্বে এপিএতে যেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিলো, তা দুই বছরে উন্নীত হয়ে ১০ম স্থানে এগিয়ে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সকলেই যখন গর্বিত, তখন হঠাৎ করেই এই অর্জন ও অগ্রযাত্রা বাঁধার মুখে পড়ে। সম্প্রতি ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন শিক্ষক নেতারা। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ফুল দেওয়ার তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে উপাচার্য ও শত শত শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে দুইজন শিক্ষক কে অপমানিত করে। এছাড়া উপাচার্যকে কটাক্ষ করে নব্য আলী জিন্নাহ বলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান৷ ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও তাঁকে ডাস্টবিন বলেও সম্বোধন করেন। এর আগে প্রো-উপাচার্যকে স্টেজ এ রেখে মেহেদী হাসান এক বক্তৃতায় উপাচার্যকে আমদানিকৃত পঁচা মাল বলে অভিহিত করেন। ৬ই মার্চের বাকবিতণ্ডায় উপাচার্যকে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে গুণগতমানের প্রকাশনার শর্ত তুলে নেয়ার দাবিতে মেহেদী হাসানসহ শিক্ষক সমিতির  আরেক নেতা কাজী কামাল উপাচার্যের কোনও Q1 জার্নালে প্রকাশনা নাই বলে দাবি করেন, এমনকি তার Q4 এ কোন প্রকাশনা থাকিলে কাজী কামাল পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন।

উপাচার্যকে হেয় করার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ এফ এম আবদুল মঈন যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে University Of Stirling U.K থেকে Strategic Management বিষয়ে  পি.এইচ.ডি  পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার Top-ranking বিশ্ববিদ্যালয় Australian National University তে Post-Doctoral Fellow হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর এবং অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ বছর (২০০৭-২০২০) শিক্ষকতা করেছেন।

একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে, তিনি বাংলাদেশে বহু-দাতা সংস্থা (World Bank, UK-Aid, SIDA এবং Swiss Agency for Development and Corporation) এর অর্থায়নে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা প্রচার প্রকল্পে কারিগরি উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা এবং ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি Social Responsibility research Network (SRRnet) একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি একটি গবেষণা-ভিত্তিক বই পৃথিবী বিখ্যাত Springer Nature প্রকাশনা থেকে সহ-সম্পাদনা করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে, গবেষণা-ভিত্তিক বই এবং সম্মেলনের কার্যক্রম নিয়ে ৩৯ টি উন্নত মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ইদানীং কালে প্রকাশিত প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় উপাচার্যের Q1 মানসম্পন্ন ২ টি, Q2 মানসম্পন্ন ৩ টি, এবং Q3 মানসম্পন্ন ১টি প্রকাশনা রয়েছে।


আরও খবর



ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ট্রি অব পিস পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজারবাইজানের বাকুতে ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামের শেষ দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্য ট্রি অব পিস পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

রায়ে তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



হবিগঞ্জে পিকআপ ভ্যান উল্টে নিহত দুই

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে কাঠ বোঝাই পিকআপভ্যান উল্টে জহুর মিয়া ও নুরুল আমিন নামে দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুরুতর আহত ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার পুটিজুরী ইউপির ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শেওড়াতুলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার ২ নম্বর পুটিজুরী ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে মাওলানা মিজান মিয়া পিকআপভ্যান বোঝাই দিয়ে নিজ ঘরের দরজা জানালার কাঠ নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। পিকআপভ্যানটি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শেওড়াতলী নামক স্থানে আসা মাত্রই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে উল্টে যায়।

এ সময় পিকআপভ্যানে থাকা উপজেলার হিলালপুর গ্রামের চন্দু মিয়ার ছেলে জহুর মিয়া, মোস্তফা মিয়ার ছেলে মাওলানা মিজান মিয়া, উপজেলার অলুয়া গ্রামের সিজিল মিয়ার ছেলে মো. নুরুল আমিন এবং উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের গোলগাও গ্রামের ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া গুরুতর আহত হয়।

তাৎক্ষণিক পথচারীরা এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জহুর মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল আমিন, ফজলু মিয়া ও মিজান মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল প্রেরণ করা হয়। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে নুরুল আমিনের মৃত্যু হয়।

বাহুবল থানার ওসি মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরও খবর