বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা, আর শেখ হাসিনার জন্ম না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হতোনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মৎস্য ও প্রাণীর
সম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর
জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা, আর শেখ হাসিনার জন্ম না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হতোনা। ডিজিটাল
বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) পিরোজপুর
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পর্যায়ে দুই দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্বোবনী মেলার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইসতেহার ছিলো নির্বাচিত হতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত করার।
তখন কেউ কেউ বলত, ডিজিটালটা কি? তারা নানা ভাবে বিদ্রুপ করতেন। যারা বিদ্রুপ করতেন
আজ কিন্তু ডিজিটাল সুযোগ তারাই নিচ্ছেন, আমরা সবাই নিচ্ছি। এখন কিন্তু তাদের স্পষ্টভাবে
বলতে শুনিনি অন্তঃন্ত এই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে। একটি দল সরাসরি ডিজিটাল ব্যবস্থার
বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে কথা বলত। সেই দলের দন্ড প্রাপ্ত আসামীর বিদেশে বসে ডিজিটাল সংযোগে
এ দেশে রাজনীতি করছে।
মন্ত্রী বলেন,
রাষ্ট্রে যারা থাকবেন তাদের দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে
আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো। আপনারা দেখছেন অতি সম্প্রতি মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন আমাদের পরবর্তী পদক্ষে হচ্ছে “ক্যাশ লেস ষ্টেট”। অর্থাৎ আমাদের ক্যাশ
টাকা বহন করতে হবে না। চীন, আমেরিকা, সুইজার ল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে এখন
আর ক্যাশ টাকা বহন করতে হয় না। দেশে ক্যাশ লেস সোসাইটির কথা বলছি সেটার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে
শুরু হয়ে গেছে।
এসময় তিনি আরও
বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের
মাধ্যমে দ্রুত গতিতে দেশ জুড়ে প্রসারিত হচ্ছে ডিজিটাল সেবা। শহর থেকে শুরু করে দূর্গম
প্রান্তিক এলাকায় জনসাধারণের জীবনের লেগেছে ডিজিটাল স্পর্শ। প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রাম-শহরের
দূরত্ব কমেছে যার ফলে সবাই এর সুফল ভোগ করছেন। করোনা কালীন সময়ে যদি ডিজিটাল পদ্ধতি
না থাকতো, আমাদের দেশটা স্থবির হয়ে যেতো। আমাদের সকল সেক্টরে ভার্চুয়ালী যোগাযোগের
মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোবনী মেলায় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর,
পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুল কাদের,
সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুনিরা পারভীন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) মাধুরী রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর
রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু প্রমুখ।
১৮ ও ১৯ নভেম্বর
দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের
উদ্যোগে ডিজিটাল পণ্য এবং ডিজিটাল সেবা নিয়ে মোট ৪০ টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।