ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বরাবর আবেদন করেছে। রোববার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংক’-এর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস), ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারীর মতো দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন>> নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদে বিধ্বস্ত রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫
লাইসেন্সের
জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিতে গত ২১ জুন একটি ওয়েব পোর্টাল খোলা হয়। আবেদনের সময়সীমা
বেঁধে দেওয়া হয় গত ১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে কোনো আবেদন না পড়ায় সময় বাড়ানো হয় ১৭ আগস্ট
পর্যন্ত। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদনের লক্ষ্যে সব আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ
ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টিও বিবেচনা করে আবেদনপত্র
দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
১৭ আগস্ট আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ায় নতুন করে আর আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন মেজবাউল হক। এর আগে, চলতি বছরের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংক চালুর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৫ জুন নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
ডিজিটাল ব্যাংকে
প্রধান কার্যালয় ছাড়া অন্য কোনো শাখা থাকবে না। আমানত সংগ্রহ, ঋণ আবেদন ও ঋণ অনুমোদন
সবই অ্যাপভিত্তিক করা হবে। লেনদেনের সুবিধার্থে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড দেওয়া
হবে গ্রাহকদের। মালিকদের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা এবং মূলধন স্পনসরদের
কাছ থেকে আসতে হবে। প্রত্যেক স্পনসরের ন্যূনতম হোল্ডিং শেয়ার হবে ৫০ লাখ টাকা।