আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না’

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে যে কারও বিরুদ্ধে বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এখন হুট করে মামলা করা যায় না।

বুধবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ওকাব আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আগে যে কারও বিরুদ্ধে যে কেউ মামলা করতে পারত। এখন চাইলে পারেন না। বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে এখন সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে পুলিশের অনুমতি লাগে এবং সেটি এত সহজ নয়। এখন দেখা যাচ্ছে যে, এই মামলার হারগুলো অনেক কমে গেছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা অনেক কমে গেছে। অহেতুক কোনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যখন এরকম কোনো মামলা হয়, অনেক প্রতিষ্ঠান করে, দেখা গেল একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। সেটি সত্য এবং সেক্ষেত্রে দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বিষয়টি যখন আমার নোটিশে আসে আমি চেষ্টা করি তিনি যেন জামিন পান। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়।

মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে বা সংবাদ মাধ্যমের হয়ে যদি তিনি মোবাইলে সাংবাদিকতার কাজ করেন সেটি তো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যে কেউ এসে একটা মোবাইলে ছবি তুলে, ফেসবুকে একটা পেইজ খুলে সেখানে নিউজ করা-সেটা কিন্তু সাংবাদিকতা নয়। সেটির সঙ্গে তো মূলধারার সাংবাদিকতার অবশ্যই পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য টানা তো এতো কঠিন কাজ নয়। এই ধরণের কাজগুলোকে অনেকে আছে যে তারা দেখা যায় শুধুমাত্র নিজে পপুলার হওয়ার জন্য কিংবা আলোচনায় থাকার জন্য এ রকম করে এবং দেখা যায় অনেক ভুয়া সংবাদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো গণমাধ্যম নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের মধ্যে তো পার্থক্য আছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমকে গুলিয়ে ফেলেন, সেটি তো সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম একটি মাধ্যম। যেখানে সবাই মত প্রকাশ করতে পারেন। সেটি একটি জিনিষ। কিন্তু এটিকে পত্র-পত্রিকা, কনভেনশনাল গণমাধ্যমের সঙ্গে তো গুলিয়ে ফেলা যাবে না। সুতরাং যারা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে এ ধরণের সংবাদ প্রচার, অপপ্রচার, এগুলো করেন সেটি আসলে সমীচীন নয়। আমি আসলে সেটিই বলতে চাইছি।


আরও খবর



আসামি ছিনিয়ে নেওয়া যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরকে (৩৫) ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাগর মাদবর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের টেকেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। সাগর বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও র‍্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ আরিফ মাদবর ও সবুজ মাদবরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাগর মাদবর ও তার লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদকসহ আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সাগর মাদবরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সাগর মাদবর। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


আরও খবর



‘জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি ভিত্তিহীন’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে যে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে, তাতে জিম্মি ২৩ নাবিকের জীবন আরও শঙ্কায় পড়ছে বলে মনে করছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আটক জাহাজ মুক্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। তবে নানা জটিলতায় এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এমভি আব্দুল্লাহকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় মুক্ত করা গেছে বলে প্রকাশিত সংবাদটি গুজব।

এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই খবর ভিত্তিহীন।

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নির্ভরশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবিকেরা জানিয়েছেন, মিডিয়ায় জিম্মি জাহাজ মুক্তির খবর দেখে তাঁরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাবিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সোমালিয়ার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইউরোপ আর ভারতীয় দুই যুদ্ধজাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের থামতে বলে। ওদের ডেকে আনা হয়েছে এমন ধারণা থেকে জলদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ব্রিজে জড়ো করে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখে বেশ কিছু সময়। এ সময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে দূরে সরে যাওয়ার বেতার বার্তা পাঠাতে বাধ্য করে। ফলে নৌবাহিনীর জাহাজ দুটোও পিছু হটে। এরপরই এমভি আবদুল্লাহকে আরও উত্তরদিকে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। যাচাইবাছাই ছাড়া কোনো ধরনের খবর প্রকাশ না করার জন্য নাবিকদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জনানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও জিম্মি হওয়া জাহাজ নিয়ে সতর্ক হয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে নাবিকদের স্বজনদের আহাজারি ও সরকারের এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ও তৎপরতা প্রতিনিয়ত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখছে জলদস্যুরা। এতে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রভাব পড়তে পারে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।

জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তাঁরা।


আরও খবর



ভেড়ামারায় আগুনে পুড়ছে পানের বরজ, শত কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পানের বরজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন আশপাশ এলাকার দুই কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট।

ভেড়ামারা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রিমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রেণে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, কুমারখালী, মিরপুর, ঈশ্বরদীসহ আশপাশের অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছ। আগুন দুই কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এই পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আশপাশ অঞ্চল থেকে মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে অনেক পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বাহাদুরপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রায়টা থেকে শুরু করে বাহাদুর পর্যন্ত কয়েক বিঘা পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু তারা আগুন নেভাতে পারছে না।

স্থানীয় সংসদ সদস্য কামারুল আরিফিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির ওপরে। এখন পর্যন্ত আগুন যেভাবে জ্বলছে এটা নিয়ন্ত্রণে না আসলে ২০টি গ্রাম আক্রান্ত হতে পারে। যা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এখন আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করছি।


আরও খবর



ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এ সময় তিনি দেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবার মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় বলেও মন্তব্য করেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। সে সময় আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা দিতে পারেননি, পেরেছেন দেশের চিকিৎসকরাই।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা যে মেধাবী, তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে বসে আছেন, সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলবো। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই যেন দেশের  মানুষ চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। তার জন্য প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, তাদের সময় দেওয়া এবং ধৈর্য ধরে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরাই হলো দেশের ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না। হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে গেলে হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাবো। মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের দেশের মানুষ, যারা হাসপাতালে আসে, তারা কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না। শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতা-মাতা-ভাই-বোনের স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি ভালো চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখনই কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



টিকটক নিষিদ্ধে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে দেশটির স্থানীয় সময় আজ বুধবার একটি বিল পাস হয়েছে। এ বিল পাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ অ্যাপ নিষিদ্ধে মোটামুটি সর্বশেষ ধাপে পৌঁছাল। এখন মার্কিন সিনেটে এই বিল পাস হতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে জানিয়েছেন, সিনেটে এই বিল পাস হলে তিনি এ বিল আইনে পরিণত করতে স্বাক্ষর করবেন। এই বিল সিনেটে পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের সব অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলা হবে বা বাইটড্যান্সকে তাদের এ শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে।

টিকটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই অ্যাপটি তার ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে সেসব তথ্য চীন সরকারের হাতে তুলে দেয়। কিছু কিছু গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বেগ যে, অ্যাপটি সরকারি ডিভাইসে ডাওনলোড করার কারণে স্পর্শকাতর তথ্য অন্যের হাতে চলে যেতে পারে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টিকটক বলছে, তারা এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য কখনোই অন্য কাউকে দেয় না। টিকটক আরও বলছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে তারা অন্যান্য সোশাল মিডিয়া কোম্পানির মতো একইভাবে কাজ করে।

এর আগে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি উল্লেখ করে অ্যাপটিতে অ্যাকসেস সীমিত করার জন্য আমেরিকান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দাবি, টিকটকের মালিক বাইটড্যান্সের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। তবে বাইটড্যান্স এবং টিকটক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন অ্যাপটি নিষিদ্ধের চেষ্টা করেছিলেন।


আরও খবর