আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ডিজিটাল প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

ভয়ঙ্কর সব প্রতারণা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যাও। বদলাচ্ছে প্রতারণার ধরন। প্রতারকরা নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করছে মানুষকে।

সম্প্রতি মোনার্ক (monarch.compan) নামের দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি দেশজুড়ে ডিজিটাল প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতেছে। ইউনাইটেড টোকেন নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তাদের পকেটে নিয়েছে। যদিও মোনার্কের বাংলাদেশে এ বাণিজ্যের কোনো বৈধতা নেই। এমনকি এখানে তাদের কোনো অফিসও নেই। অবশ্য অফিস না থাকা এবং এদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের বৈধতা না থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদের নেতৃত্বে একটি চক্র মোনার্কের এজেন্ট হিসেবে দেশজুড়ে প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ পেতেছেন। চক্রের প্রথমসারির অন্য দুই সদস্য- রিপন আহম্মেদ ও কালাম। এছাড়া তাদের সাথে রয়েছে মনির হোসেন নামে একজন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছে বলে জানা যায়।

তারা এমএলএম ব্যবসার আদলে দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করছে। বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের দ্বিগুণ, তিনগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অভিজাত রেস্তোরাঁয় নিয়ে সেমিনারের মাধ্যমে ব্যবসার পলিসি দেখিয়ে আকৃষ্ট করছে। এমন কয়েকটি সেমিনারের ভিডিও ফুটেজ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

ওই ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর মোনার্কের প্রতিনিধি মার্টিন কারুস দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসে। ওইদিন থেকে তিনি ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভিন্ন অভিজাত রেস্তোরাঁয় সেমিনার করে কয়েকশ মানুষকে তাদের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা তাদের পকেটে নিয়েছে। এসব টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হচ্ছে। মোনার্কের ডিজিটাল ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যে যুক্ত হতে তারা ২৫০ ইউরো থেকে সাড়ে ১২ হাজার ইউরো পর্যন্ত কয়েকটি প্যাকেজে ইউনাইটেড টোকেন কেনার অফার দিচ্ছেন। কেউ লগ্নি করতে আগ্রহী হলে তার কাছ থেকে সমপরিমাণ টাকা নগদ পেমেন্ট নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট অ্যাপে একটি আইডি খুলে দেয়া হয় এবং তাদের একটি ইন্টারন্যাশনাল ভিসাকার্ড দেয়াসহ ওই কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো লেনদেন করা সম্ভব বলে প্রলোভন দেয়া হয়। এমনকি সাড়ে ১২ হাজার ইউরোর ইউনাইটেড টোকেন কিনলে সাথে সাথে তার ওই অ্যাপে তার আইডিতে ৩০ হাজার ইউরো ব্যালেন্স চলে আসে। যা দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয়ের প্রলোভন দেখানো হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ইউনাইটেড টোকেন কেনাবেচা চলে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে। নির্দিষ্ট এক্সচেঞ্জে ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ইউনাইটেড টোকেন কিনতে হয়, সেখানেই তা জমা থাকে। ওয়ালেটের আইডি এবং পাসওয়ার্ড থাকে, যা ব্যবহার করে তা খুলতে হয়। ওই মুদ্রা বিক্রি করতে হলে ক্রেতাকে ডিজিটাল চাবি (আইডি ও পাসওয়ার্ড) জানাতে হয় বিক্রেতাকে। তবে লগ্নি করার একমাস পর ছাড়া ওই টোকেন বিক্রি করার সুযোগ নেই। এছাড়া ইউনাইটেড টোকেনের কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও নেই। তাই এতে লগ্নি করে অর্থ মার গেলে কারো কাছে অভিযোগ জানানো যায় না।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নিজের পরিচয় গোপন রেখে গত মঙ্গলবার এ প্রতিবেদক প্রথমে কথা বলেন প্রতারক চক্রের সদস্য মোনার্কের বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিপন আহম্মেদের সঙ্গে। এসময় মোনার্কের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি পর দিন বুধবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আমন্ত্রণ করেন এবং সেখানে বিজনেস পলিসি নিয়ে কথা হবে বলে জানান। তার আমন্ত্রণে গত বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলের ৩২৭নং কক্ষে কথা হয় মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ ও বাংলাদেশে অবস্থানরত দুবাই থেকে আসা মার্টিন কারুসের সাথে। এ সময় তাদের সঙ্গে আলাপকালে অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

মোনার্কের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মুজাহিদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির অফিস না থাকা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যের বৈধতা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্যবসায় লাভ করতে হলে ঝুঁকি থাকবেই, এটা জেনে-বুঝে এখানে লগ্নি করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা লগ্নি করতে কাউকে বাধ্য করছি না।

মোবাইলফোনে কথা হয় মনির হোসেনের সাথে, তিনিও অকপটে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এখনো তার কোনো বৈধতা নেই। আপনি একজন আইনজীবী অথচ আপনার সম্পৃক্ততায় চক্রটি অবৈধভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে  বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখবেন- এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানী ঢাকায় ছয়টি মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেছে। সবশেষ ১১ অক্টোবর আরেকটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন। আর ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের চারটি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন কয়েকজন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আইনে ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশি-বিদেশি কোনো অ্যাপের মাধ্যমেই ভার্চুয়াল লেনদেন করা যাবে না। তবে বাংলাদেশের অনেকে ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এমন চারটি মামলার বিচার চলমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে অনেকে দেশ থেকে অর্থপাচার করছেন। ইতিমধ্যেই তারা চারটি চক্রকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সবশেষ প্রজ্ঞাপন বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা যাবে না। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। সুতরাং এই মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃতও নয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক, বীমা বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে ই-ট্রানজেকশন করা অপরাধ। এই অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের অভিযোগে ১০ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরা থেকে গোলাম কিবরিয়া এবং এস এম আরিফুল বারী ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি বলছে, কয়েক বছর ধরে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর



মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় মা রশিদা খানমকে জবাই করে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ মার্চ) বেলা ১২টা দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জেবুন্নেসা ওরফে জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নিয়নের জুয়া খেলার নেশা ছিল। জুয়া খেলে অনেক টাকা ঋণ হওয়ায় বিভিন্ন সময় মায়ের কাছে অর্থ দাবি করতেন তিনি। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিয়ন তার মাকে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ বাড়িতে মা রশিদা খানমকে (৬৫) বিছানার ওপর ফেলে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে গাজীপুর থেকে নাহিদ ইমরান নিয়নকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর নিয়ন মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে। দীর্ঘ সাক্ষী প্রমাণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।


আরও খবর



সাকিবকে টপকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তামিমের

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগেই জানিয়েছিলেন বিপিএলের পরেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও একবার অবসরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেও বিশ্বকাপের ফ্লাইটে চড়া হয়নি। এরপরই তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। বলা হচ্ছিল তামিম শেষ হয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন। সেই বুড়ো তামিমই কিনা হলেন এবারের বিপিএলের সিরিজ সেরা তারকা।

ফাইনালের আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন তামিম। ফরচুন বরিশালের জার্সি গায়ে ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেরা ব্যাটারের দৌড়ে তামিমের প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লার তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। এ দুজনের মাঝে রানের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬। সেখান থেকে হৃদয় আজ ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ১০ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস। তাই খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি হৃদয়।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে খেলেন ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এতে করে ১৫ ম্যাচ থেকে তামিমের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। এতে করে হৃদয়কে টপকে হয়ে যান ২০২৪ বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর ম্যাচ শেষে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিজের করে নেন তিনি।

২২ গজে ব্যাট হাতে যে তামিম ফুরিয়ে যাননি বিপিএলের এবারের আসরে সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন। টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটির দেখা পান তিনি। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ ফাইনালে নামার আগে তামিমের সামনে দুটি রেকর্ডের হাতছানি ছিল। তার মধ্যে একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই টুর্নামেন্টে খেলে যাচ্ছেন তামিম। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিত মুখ। বিপিএলের হয়ে যাওয়া দশটি আসরে আটটি আলাদা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দেশসেরা এ ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এ ক্রিকেট আসরে দুই সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছেছেন। বিপিএলের ফাইনালেও রয়েছে তার সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার হাঁকানো ১৪১ রানের দাপুটে ইনিংস দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রেকর্ড।

বিপিএলের ২০১৬ আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৭৬ রান। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়ে করেন ৪৬৭ রান। এ টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার এই দুই ইনিংস ছিল তিন ও চার নম্বরে। আজকের ফাইনালে সেটাকেই টপকে গেলেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচের আগে ১৪ ম্যাচে তামিমের ছিল ৪৫৩ রান। ফাইনালে ২৬ বলে ৩৯ রান করায় ১৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। যা চলতি আসরে রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া তার ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের দিক দিয়ে আট বছরের পুরোনো রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়েন। এর মধ্যে বিপিএলে এক মৌসুমে তামিমের ৪৯২ রানেই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি হিসেবে তার সামনে আছেন কেবল নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি ২০২৩ সালের নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান সংগ্রহ করেন।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল শিরোপা নিশ্চিতের দিনে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও পেলেন তামিম। বয়স বাড়লেও তামিম যে ফুরিয়ে যাননি তাই যেন প্রমাণ করলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




রাজধানীর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে র‍্যাব-৩। এ সময় চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত।

র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, র‍্যাব-৩ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে নানাভাবে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নানা দুর্ভোগে ফেলছে। সাধারণত রাজধানীর বিভিন্ন নামকরা সরকারি হাসপাতালের দালালদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা এ সকল হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এসে প্রতারিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, এ সকল অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত না হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করে। অদক্ষ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, নার্স ও আয়াদের মাধ্যমে ভুল চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের নানা ধরনের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। তাছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এবং নমুনাসমূহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সংরক্ষিত হয় যাতে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়।’

এ ধরনের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খিলগাঁও এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে সীমান্তিক ক্লিনিকের মালিক মো. সামসুদ্দীনকে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ল্যাব টেকনিশিয়ান মাহবুব আলমের শিক্ষাগত সনদ না থাকায় ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই হাসপাতালে পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্র নেই। ওষুধ রাখার স্টোর নোংরা, ওটি ও এক্স-রে রুম অস্বাস্থ্যকর এবং ডিউটি ডাক্তার ১৫ জনের বদলে ১০ জন, নার্স ৩০ জনের বদলে ১২ জন ও ফায়ার লাইসেন্স ছিল না।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, একই এলাকার পিপলস্ হসপিটালের মালিক মো. মনোয়ারুল হককে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। এই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স না থাকা এবং পরিবেশ ও নার্কোটিক্স ছাড়পত্র না থাকা, ওটি ও এক্স-রে রুম অস্বাস্থ্যকরসহ অপ্রতুল ডাক্তার ও নার্স দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে।’

আজ বিকেলে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফ্রেন্ডস কেয়ার হাসপাতালে’ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালের মালিক শফিকুর রহমান এবং সাকুর আহমেদকে ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে র‌্যাব। তাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল। মুগদার সুরাইয়া হাসপাতালে’ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালের মালিক মো. সিরাজুল ইসলামকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর



সমুদ্রের নিচে মিলল বুর্জ খলিফার তিনগুণ উঁচু পর্বত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমুদ্রের নিচে অন্তত চারটি নতুন পর্বত খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেগুলোর উচ্চতা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসাবে বিখ্যাত দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার তিনগুণ।রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের (মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান) গবেষকরা গুয়াতেমালার উপকূলে সমুদ্রের বেড ম্যাপ করার সময় চারটি পর্বত আবিষ্কার করেন। যেগুলোর গুলোর উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৮১ মিটার পর্যন্ত। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার উচ্চতার তিনগুণ বেশি। চারটি পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা ২ দশমিক ৫ কিলোমিটারেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকদের একজন জন ফুলমার বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে স্যাটেলাইট অলটাইমেট্রি ডেটাতে মাধ্যাকর্ষণ অসঙ্গতিগুলো ব্যবহার করে আমরা একটি সুবিধাজনক ম্যাপিং রুট পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়েছি।

শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জরিপ করেছেন। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গুয়াতেমালা উপকূলে ১৬০০ মিটার উঁচু আরও একটি পর্বত খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। এ ছাড়া ওই অঞ্চলগুলোতে মোট ২৯টি পাহাড়, পর্বত এবং গভীর খাদ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজ ট্যাগ: বিজ্ঞানী

আরও খবর