ভারতের রাজধানী
নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক
এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ধারণা
করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আলাপ-আলোচনা
করবেন।
এর আগে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার স্থানীয়
সময় দুপুর ১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দেড়টা) নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লিতে
পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার
এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের
সময় ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। কৃষি গবেষণা,
সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে লেনদেনের সরলীকরণ বিষয়ে তিনটি
সমঝোতা স্মারক সই হবে।
মোমেন বলেন,
‘ওয়ান
আর্থ’ এবং
‘ওয়ান
ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারীর
পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের মতো প্রয়োজনীয়
পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা
তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরো বলেন, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।