বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দাম না কমলে প্রয়োজনে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম কত হওয়া উচিত সেটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করতে হবে। গত বছরের এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে যায়।
আরও পড়ুন>> জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলে মনোনয়ন নয়
জুলাই পর্যন্ত
ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। এরপরই থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ডিমের
দাম। এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম
১৫ টাকা।
এদিকে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) নিত্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধির জন্য করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে। তাদের আশঙ্কা এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের দাম আরো বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন>> দুপুরের মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড় বইতে পারে
এমন পরিস্থিতিতে
ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে অভিযান চালানোর কথা জানায় ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে শনিবার অভিযান অভিযান চালায় সংস্থাটি। এরপরেও রাজধানীর
অনেক স্থানে ৬০ টাকা হালি দরে ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাম না কমলে
প্রয়োজনে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।