আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ডিমলায় তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রুহুল আমিন , ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

"তামাক চাষ বর্জন করি, ধুমপান মুক্ত দেশ গড়ি" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীর ডিমলায় তামাক চাষী কৃষকদের নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতা মূলক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ।

বুধবার (২১-সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার খোগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী'র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, তামাক হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে ক্ষতিকর একটি ফসল, এই তামাক সেবনের ফলে মানবদেহে ফুসফুসে ক্যান্সারসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জাত দ্রব্য ব্যবহার করার ফলে উঠতি বয়সের কিশোর ও যুবকদের অকালে মৃত্যুও হচ্ছে। তাই আসুন আমরা তামাক চাষ আবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য লাভজনক ফসল বেশি চাষ করি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, খোগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন আ"লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ, খগাখড়িবাড়ী ইউপি সদস্য জুয়েল হোসেন রব্বু, আবুল কালাম আজাদ।

উক্ত সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক-কৃষানীরা অংশ গ্রহণ করে আলোচনায় তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তামাক চাষ বর্জনের অঙ্গিকার করে বক্তব্য দেন বিগত সময়ের কয়েকজন তামাক চাষী কৃষক।


আরও খবর



সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ

ফাইনালে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে গেল বাংলাদেশ। রোববার ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতের কাছে ০-২ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের দলকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল ভারত।

ম্যাচের আট মিনিটে রক্ষণের ভুলে ভারতকে গোলের সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলকিপার নাহিদুল ইসলামের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান ভরত লাইরেনজম (১-০)। বাংলাদেশ ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল ১৭ মিনিটে।

সতীর্থের বাড়ানো বলে ভারতের গোলকিপার সুরাজ সিংকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড মুর্শেদ আলী। কোচ সাইফুর রহমান মনি মুর্শেদকে তুলে নেন।

৭২ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। ৭৩ মিনিটে লিভাইস জাংমিনলুম বাঁ-পায়ে শট নেন। বাংলাদেশ গোলকিপার ফেরানোর কোনো সুযোগই পাননি (২-০)। ভারতের প্রথম গোলের উৎস ছিলেন মিডফিল্ডার লিভাইস। সোমবার সকালে রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরবে কিশোররা।


আরও খবর



বাংলাদেশের পুরো ঋণ শোধ করেছে শ্রীলঙ্কা, দিয়েছে সুদও

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছর আগে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছ থেকে যে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তার পুরোটাই শোধ করেছে দেশটি। শ্রীলঙ্কা শেষ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার ও ঋণের সুদ বাবদ ৪৫ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার রাতে পরিশোধ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের মে মাসে এক বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে গত বছর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে তারা। সে কারণে কয়েকবার ঋণ পরিশোধে সময় নেয় দেশটি। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছে দেশটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কা প্রথম ৫ কোটি ডলার ফেরত দেয়। এরপর ৩১ আগস্ট ফেরত দেয় আরও ১০ কোটি ডলার। সবশেষে বাকি ৫ কোটি ডলার গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেরত দেয় তারা। অর্থাৎ, মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ডব্লিউ ডি লক্ষ্মণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ডলার চেয়ে চিঠি দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধার হিসেবে নয়, বরং ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান রুপি অদলবদল বা সোয়াপ করে এই অর্থ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে কিছু সুদও পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি জমা ছিল। বাংলাদেশ এর আগে ১৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ রুপি ফেরত দিয়েছে। এবার বাকি ৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রুপিও ফেরত দেবে।


আরও খবর
কমল সোনার দাম

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নিজেদের স্বার্থে বিদেশে সরকার পতনে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিভিন্ন দেশে সরকার পতনের কাজে সম্পৃক্ত থাকে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হলে দেশটি এমন কাজে সম্পৃক্ত হয়। দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন টিআরটি ওয়ার্ল্ডের ইনারভিউ প্রোগ্রামে এমন মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় সহায়তা করে আসছে। গত বছর সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও বোল্টন বলেছিলেন, অভ্যুত্থান বা সরকার বদলের পরিকল্পনাগুলোর নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ দেখা এবং অন্য দেশের প্রভাব কমানোই মূল উদ্দেশ্য।

বোল্টন প্রায় ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে কাজ করেছেন। সবশেষ তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। তবে মতের অমিলে তাকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। ওই সময় ট্রাম্প বলেন, বোল্টন বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বাধাতে ও বোমা ফেলতে চান।

টিভি সাক্ষাৎকারে বোল্টনের কাছে অভ্যুত্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে যেতে যাচ্ছি না। তবে তিনি তার বইতে ভেনেজুয়েলার বিষয়ে কথা বলেছেন। যদিও ওই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিল। এ জন্য তার বিরুদ্ধে দেশটির রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোকে হত্যা এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভেনেজুয়েলায় বিরোধী মিলিশিয়াদের সমর্থনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

হোয়াইট হাউসের দিনগুলো নিয়ে জন বোল্টনের লেখা দ্য রুম হয়ার ইট হ্যাপেন্ড: আ হোয়াইট হাউস মেমোয়ার (যে কক্ষে এটি ঘটেছে : হোয়াইট হাউস স্মৃতিকথা) নামের বইটি ২০২০ সালের জুনে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের আগে এতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য আছে বলে প্রকাশককে চিঠি দিয়ে হোয়াইট হাউস সতর্ক করে। ওই বইয়ে বোল্টন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভ্রান্তিকর ও অস্থির নীতির সমালোচনা করেন।

বইটিতে তিনি দাবি করেন, ভেনেজুয়েলা আক্রমণ করা আইনসম্মত হবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ’—এমন কথাও বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। 

আরও পড়ুন>> জাপান সাগরে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল

বোল্টনের এ কথার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যেরও মিল রয়েছে। তিনি গত ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের ওই সাক্ষাৎকারে বিদেশে সরকারের পতন ঘটানো যুক্তরাষ্ট্রের কাজ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বোল্টন বলেন, এটি নির্ভর করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ে। ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে মাদুরোর শাসনকে সমর্থন করেছিল কিউবানরা। আর আগে রাশিয়াও সমর্থন দিয়েছিল। এ ছাড়া এখানে চীনের উল্লেখযোগ্য সম্পৃক্ততা ছিল।

তিনি বলেন, মনরো মতবাদে বিশ্বাসী দেশগুলো বিদেশি প্রভাব থেকে দূরে থাকতে চায়। এ ক্ষেত্রে নীতি হলো ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া বা কিউবার জনগণ তাদের দেশ নিজেদেরই চালানোর সুযোগ করে দেওয়া।

ভেনিজুয়েলা, কিউবা, ইয়েমেন, সিরিয়া বা লিবিয়ায় অভিযান চালানো এবং সরকার উৎখাতের আহ্বান আপনার ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বোল্টন বলেন, বিষয়টি তেমন ছিল না। এটি কেবল ইরানে পরামাণু অস্ত্র পাওয়া থেকে আয়াতুল্লাহকে থামানোর জন্য।

তিনি সরকার বদলাতে চেয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয় দেশটির জনগণ সরকার বদলাতে চেয়েছিল। এ জন্য মাশা আমিনির হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে টানা বিক্ষোভ হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থেকে শুরু করে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের কোনো পর্যায়েই কি তিনি বিদেশে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বোল্টন জানান, তিনি অনেক সরকারি দায়িত্ব পালন করেছেন। সিএনএনের জ্যাক ট্যাপারের শোতে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে তিনি এখনো অবিচল আছেন।

বোল্টন বলেন, রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য যাতে প্রকাশিত না হয় সে জন্য ভেনেজুয়েলায় ভূমিকা নিয়ে আমার বইয়ের পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।

তার অভ্যত্থানের চেষ্টাগুলোর একটিও সফল হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বড় খেলা আছে। আমি জানি, আপনি কী নিয়ে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু আমি এ বিষয়ে আর কিছুই বলছি না।

ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার নাম উল্লেখ করে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এসব দেশের সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় কি না। জবাবে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের অধীন একীভূত হওয়া প্রয়োজন। 

আরও পড়ুন>> বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি

আপনি কি এখন আপনার মনোভাব বদলেছেন নাকি ওই সরকারগুলোর পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নে বোল্টন বলেন, লিবিয়ায় এখন সরকার নেই। এটিই এখন সমস্যার অংশ। ইরাকে ক্ষমতার পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সফল হয়েছিল। কিন্তু এরপর সেখানে ইরান মিলিশিয়া গোষ্ঠী সৃষ্টি করে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চেয়েছে। ইরানই ইরাককে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট থেকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, লিভার সিরোসিস জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়ার দেহে অন্য রোগ বেড়ে গেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হতে থাকে। ৪ সেপ্টেম্বরও তার অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এর ফলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক করে কিছু ওষুধে পরিবর্তন আনা হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপি নেত্রীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনয়ন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের অবস্থা আগের মতোই আছে। বরং উনার লিভারের জটিলতা কারণে অন্যান্য ফাংশনে প্রভাব পড়ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, আমি রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে এসেছি। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা হাসপাতালে আছেন। 

আরও পড়ুন>> নতুন আইন: আনসারে বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড

এর আগে, গত ৯ আগস্ট নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আগে গত বছরের জুনে বিএনপি নেত্রীর এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে: ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে তিনি এ মন্তব্য করেন। নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৈশভোজ শুরুর আগে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ-ফ্রান্সের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। আমি যদি পেছনে ফিরে তাকাই, আমরা দুঃসময়ে একে অপরের পাশে ছিলাম। এখন আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ৫২ বছর আগে আমরা অনুভব করেছি আমরা একই পরিবারের।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে নিজেদের অবস্থান তেরি করে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, সংস্কৃতিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বড় চ্যালেঞ্জ, সেটি মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন লেক, নদী-নালার সৌন্দর্য বিশেষ করে সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশ এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের নজর ছিল বন্ধুরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে। সেটি অক্ষুণ্ন রেখে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমরা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চাই।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা দুই দেশ দীর্ঘপথ একসঙ্গে পাড়ি দিতে চাই। দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন জোরালো করতে এবং সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সহায়তা চাই।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের পার্টনারশিপ বিভিন্ন সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।

রোববার রাত ৮টায় ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপতির যাত্রা।

জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।


আরও খবর
সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৬৯০ জন

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩