টানা শৈতপ্রবাহ চলছে দিনাজপুরে। মৃদু থেকে মাঝারি, এরপর তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরে তা আরও কমে নিচে নেমে আসে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ জেলার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। কথা হয় নিম্ন নগর বালুবাড়ি এলাকার কৃষক কলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমন ঘন কুয়াশায় জীবনে প্রথম দেখলাম। ঠান্ডায় কাজ করা খুবই কষ্ট। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। এতে সংসার চালাতে অনেকটা হিমসিম খেতে হচ্ছে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, দিনাজপুর জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের সময় রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার সংক্রমণ হয়। শিশুদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়াও বয়স্ক ও শিশুদের শীতজনিত শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাবধানে থাকতে বলেন তিনি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় তীব্র শৈত্য প্রবাহ বইছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ %।