দিনাজপুর জেলা সদর উপজেলার কাউগাঁ এলাকায়
মাটি কাটার সময় শ্রমিকেরা রাঁধাকৃষ্ণের সদৃশ্য যুগল মূল্যবান মূর্তি দেখতে পান। পরে
এটি উদ্ধার করে নিশ্চিত হওয়া গেছে মূর্তিটি কষ্টি পাথরের তৈরি।
শুক্রবার সকালে দিনাজপুর সদর কোতোয়ালী
থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুর সদর
উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পুকুর ভরাট করার সময় পুরাকৃতি দুর্লভ
মূর্তিটি শ্রমিকের নজরে আসে।
শ্রমিকরা মূর্তিটি দেখতে পেয়ে পুকুরের
মালিক আব্দুল মালিককে অবহিত করেন। পুকুরে মালিক এই তথ্য পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যানকে এবং কোতোয়ালি থানায় পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানান।
এরপর শ্রমিকরা মালিকের তত্ত্বাবধানে মূর্তিটি
পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন। মূর্তিটি প্রথিমকভাবে পরীক্ষা করার জন্য পুলিশের সহাতায় দিনাজপুর
শহরের চকবাজার সোনাহার পট্টির জুয়েলারি ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র ও আরও কয়েকজনের ঘটনাস্থলে
এসে মূর্তিটি পরীক্ষা করেন। তারা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে মূর্তিটি কষ্টি পাথরের মূল্যবান
মূর্তি হিসেবে শনাক্ত করেন।
কোতয়ালী থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর মোতালেব
হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
উপস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মূর্তিটি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় জব্দ করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন দেবতার মূতি তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত
আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছেন।
দিনাজপুরে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ
জানান, উদ্ধারকৃত মূর্তিটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সাথে আলোচনা করে মূর্তিটি সংরক্ষণের পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।