আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দিনে-দুপুরে মাইকিং করে ছয় হাজার নারীকে নকল ভ্যাকসিন!

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ ছয় হাজার নারী জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর জানা গেল সেটা ছিল নকল। একটি প্রতারক চক্র এই ভ্যাকসিন দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

নকল এই ভ্যাকসিন নিয়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একজন তো ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়ি ফিরেছেন। যারা এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের একজন রাজধানীর আজিমপুরের গভর্ণমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউমেন সায়েন্সের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমাদের বাসা মানিকদী। সেখানে মাইকিং করা হচ্ছিল, যারা জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন নেননি তাদের স্বল্পমূল্যে দেওয়া হবে। পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিনও দিচ্ছে। এই শুনে আমি ও আমার ছোট বোন মানিকদী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন নেই। আমার খালা নিয়েছেন হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর জ্বর এসেছিল। জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিয়েছে। আর হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনের জন্য খালার কাছ থেকে নিয়েছে ৩০০ টাকা। তারা আসলে মিরপুর দারুস সালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, দক্ষিণখানের আল নূর ফাউন্ডেশন ও চেরাগ আলীর পপুলার ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের কথা বলছিল। যে কারণে আমাদের সন্দেহ হয়নি।

কীভাবে এই চক্রের সন্ধান পেলেন জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের (ডিবি) উপকমিশনার গোলাম সবুর বলেন, ঢাকার একটি জায়গায় ভ্যাকসিন দিতে আসা লোকদের আটকে রেখেছে নারীরা। ওই ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আমরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে এতদিন ধরে নকল ভ্যাকসিন দিয়েছে। তখন আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। সর্বশেষ গত সোমবার এই চক্রের হোতা হিমেলকে আমরা গ্রেপ্তার করি। ঢাকার দক্ষিণখানে ও কেরানীগঞ্জে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ভ্যাকসিন বানানো হচ্ছিল। আমরা খুব শিগগিরই পুরো চক্রকে ধরে ফেলব।

নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টি জানিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেনসাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল আহম্মেদ, আল আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিন বছর ধরে বাংলাদেশে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্স আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এটাকে সুযোগ হিসিবে কাজে লাগায় প্রতারক চক্রটি। হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুল খুলে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি। তাদের চোরাইপথে ভারত থেকে এই ভ্যাকসিন আনতে অ্যাম্পুল প্রতি খরচ হয় ৩৫০ টাকা। একটি অ্যাম্পুল খুলে ১০টি অ্যাম্পুল বানানো হয়। পরে সেগুলোতে লাগিয়ে দেওয়া হয় জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের লেবেল। লেবেল লাগানোর পর জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের প্রতিটি অ্যাম্পুল বিক্রি করা হয় আড়াই হাজার টাকা করে।

পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সবুর বলেন, প্রায় ছয় হাজার নারীর কাছে জনপ্রতি তিনটি করে ১৮ হাজার অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে, ঢাকা ও আশপাশের প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে নকল টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কাছে নকল ভ্যাকসিনের তিনটি করে ডোজ বিক্রি করেছে।

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই ধরনের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানও আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। ফলে আমরা এসবের কিছুই জানি না।

শিক্ষার্থীসহ প্রায় ছয় হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চিঠিতে ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সব জেলার ঔষধ প্রশাসনকে। এতে বলা হয়, সেরাভিক্স ভ্যাকসিন নকল পাওয়া গেছে। আন-রেজিস্টার্ড হেপাটাইটিস-বি এর ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে খালি ভায়ালে আংশিক ভরে সেরাভিক্স ভ্যাকসিনের লেবেল লাগিয়ে একটি চক্র নকল করছে। গত ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুস সালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নকল ভ্যাকসিনের প্রচারণা করা হয়েছে।

চিঠিতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের ভ্যাকসিনেশন করতে হলে এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন থাকা আবশ্যক। পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



অবশেষে অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ। রবিবার (১০ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। এরপর মৃতদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। বৃষ্টির পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে। ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন।

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এখনো তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।


আরও খবর



বিবিএসের জরিপ : দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। মোট ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাথ ৯০ হাজার বেশি।

রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

সভায় জানানো হয়, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে দেশে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।


আরও খবর



ঈদে ট্রেন যাত্রার তৃতীয় দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩য় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিন বিক্রি করা হবে আগামী ৫ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

এসময় পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। পরে দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ রেলওয়ে

আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাই এর আগে নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে গেছেন।

আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে  বিএ পাস করেন। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

আব্দুল হাই সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের শৈলকুপার আসন। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়।

এছাড়া তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ও ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ পরপর চারবারে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আব্দুল হাই (এমপি)। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো ওই আসন থেকে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



রপ্তানির তথ্য এখন শুধুই অনলাইনে দিতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে রপ্তানিসংক্রান্ত সব তথ্য এখন থেকে অনলাইনে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন অনলাইনের পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রিন্ট আকারে রপ্তানির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা কাগজবিহীন করা ও লেনদেন তথ্য নিয়মিত তদারকি করতে এ উদ্যোগ।

এর মাধ্যমে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা ব্যবসায় পরিবেশ সহজীকরণ গতি পাবে। এজন্য অনলাইন ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএক্স ড্যাশবোর্ড) চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ড্যাশবোর্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার তদারকি ও প্রতিটি লেনদেন সহজেই আরও নিবিড় তদারকির আওতায় আনতে পারবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রপ্তানিসংক্রান্ত তথ্য যেমনরপ্তানির পরিমাণ, আয়, বকেয়া হলে তার কারণ, মামলার বিষয়, রপ্তানি বিল, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি ইত্যাদি এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইনে জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি আয় প্রত্যাবসনের সার্টিফিকেটও (সনদ) দিতে হবে অনলাইনে।

নির্ধারিত সার্ভারে রপ্তানিসংক্রান্ত কোনো অতিরিক্ত তথ্য থাকলে তাও জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বকেয়া হওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওইএমএস) জমা দিতে হবে। রপ্তানি আয় বকেয়া হওয়ার কারণ ও তা দেশে আনতে ব্যাংকের পক্ষ নেওয়া উদ্যোগগুলোও জানাতে হবে।

অনলাইনে জমা দিলেও ব্যাংকের কাছে ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে রপ্তানি আয়ের সব তথ্য ও কাগজাদি (ডকুমেন্টস) সংরক্ষণ করতে বলা হয়।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪