আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

দিনে কতটুকু পানি পান করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে কেন আমাদের নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এমনকি যখন আমরা তেমন তৃষ্ণার্ত থাকি না তখনও? আমাদের শরীর ঘাম এবং প্রস্রাবের মতো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত পানি হারায়। এছাড়াও পানি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপে ভূমিকা পালন করে। যেমন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করা, হজমে সহায়তা করা, আমাদের কোষে পুষ্টি পরিবহন করা, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা এবং ইলেক্ট্রোলাইটের সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা। সুতরাং, এটি স্পষ্ট যে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে পানির ঘাটতি পূরণ করতে হবে, কিন্তু কতটা?

আট-গ্লাস পানির নিয়ম

প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ আপনিও নিশ্চয়ই শুনেছেন? কিন্তু সবার জন্যই কি এক নিয়ম হতে পারে? আপনার প্রয়োজনীয় পানির আদর্শ পরিমাণ আপনার জীবনধারা, লিঙ্গ, বয়স, কার্যকলাপের স্তর এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর নির্ভর করতে পারে। আপনার দিনে কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। আপনি যদি দিনের বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কাজ করেন এবং বেশি না ঘামেন, তাহলে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি পান করলে অতিরিক্ত হাইড্রেশন হতে পারে। 

আরও পড়ুন>> ইতিহাসে আজকের এই দিনে

পুষ্টিবিদরা পানির ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিন ২.৫ লিটার পান করার পরামর্শ দেন। ডিহাইড্রেশন গুরুতর মাথাব্যথা এবং মেজাজ পরিবর্তনের মতো সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে এমনটা ঘটতে পারে। যারা বেশি পরিশ্রম করেন যেমন ক্রীড়াবিদ বা রিকশাচালক, তাদের ঘামের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশি পানির প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আট গ্লাস পানি পানের নিয়ম বা সকালে চার গ্লাস পান করার শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর পরিবর্তে প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনের জন্য ৩৫ মিলি পানি পান করার পরামর্শ দেন তারা।

কখন পানি পান করবেন

মর্নিং হাইড্রেশন: ঘুম থেকে ওঠার পর সকালে পানি পান করলে তা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে সক্রিয় করতে এবং শরীরকে পুরো দিনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।

পোস্ট-ওয়ার্কআউট: ব্যায়াম করার পরে হাইড্রেটিং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।

খাবারের আগে: খাবারের আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ হয়।

খাওয়ার পরে: একই নিয়ম প্রযোজ্য। খাবার হজম করার জন্য আপনার শরীরকে আধা ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত এবং তারপরে পানি পান করা উচিত।

স্বাস্থ্য সমস্যা: শরীরে পানির ঘাটতি হলে তা নানাভাবে প্রকাশ পায়। প্রস্রাবের গাঢ় হলুদ রং ডিহাইড্রেশন নির্দেশ করতে পারে। শুকনো ফাটা ঠোঁট ডিহাইড্রেটেড শরীরের অন্যতম লক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে আরও পানি পান করার চেষ্টা করুন।

অসুস্থ বোধ করলে: শরীরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং দ্রুত সেরে ওঠার জন্য অসুস্থ হলে সঠিক হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্লান্ত বোধ করলে: ক্লান্ত হয়ে পড়লে পানি পান করুন। এটি আপনার সিস্টেমকে পুনরায় শক্তি জোগাতে সাহায্য করতে পারে এবং একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বুস্ট প্রদান করতে পারে।

যেভাবে পানি পান করবেন

* বসে পানি পান করুন। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের তরল পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যদি বসে পান করেন তবে আপনার পেশীগুলো আরও ভালো উপায়ে উপকার পায় এবং তা আরও শিথিল হয়।

* এক নিঃশ্বাসে অনেকটা পানি পান করবেন না। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় ধীরে ধীরে পানিতে চুমুক দেওয়া ভালো।

*ঠাণ্ডা পানির বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন। ঠাণ্ডা পানি হজমের জন্য ভালো নয়। গরমের দিনে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা মাঝারি ঠাণ্ডা পানি পান করুন। হালকা গরম পানি আরও ভালো কারণ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

নিউজ ট্যাগ: পানি পান

আরও খবর



মাদারীপুরে স্কুল-কলেজের পাশেই ময়লার ভাগার, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের শিবচর-জাজিরা আঞ্চলিক সড়কের চান্দেরচরে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দূর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন স্কুল - কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশেই ময়লার স্তূপ। বিপরীত পাশে রয়েছে অজিফা কিন্ডারগার্টেন, উমেদপুর অজিফা রফিকুল্লাহ লাইসিয়াম, উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ৮ নং উমেদপুর সফরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নূরুল আমিন ডিগ্রী কলেজ ও মসজিদসহ জনবহুল ও শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত এলাকাটি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। ময়লার ভাগারের কারণে ওই সমস্ত পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন ওই এলাকায় চান্দেরচর বাজারসহ আশপাশের ময়লা এনে ফেলে চলেছে ময়লার স্তূপ। পাশেই ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে আসা যাওয়ার সময় ময়লার উৎকট দূর্গন্ধ সয়ে চলাচল করতে হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নরকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে হচ্ছে। ওই স্থান দিয়ে যাতায়াতের সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীদেরও রয়েছে অভিযোগ, প্রতিদিন রাতে চাঁন্দেরচর বাজারের মত পঁচা গন্ধ যুক্ত ময়লা আবর্জনা সব শিবচর -শরিয়াতপুর জাজিরার আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ ময়লার স্তূপ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় চাঁন্দের চর হাটের বাজার কমিটির লোকজন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা জনবহুল এলাকায় এভাবে ময়লার ভাগার রাখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়, উমেদপুর অজিফা রবিউল্লাহ লাইসিয়ামের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি যখন স্কুলে আসি তখন রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ থেকে প্রচুর দগ্ধ পাই।


উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, আমার বিদ্যালয় আট শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে রয়েছে, আমার এলাকায় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে কমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত রয়েছে কিন্তু চাঁন্দের চর বাজারের যত ময়লা আবর্জনা আছে সব ময়লা আবর্জনা ফেলে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশ থেকে ময়লার স্তূপ সড়িয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি।

উমেদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমার স্কুলের পাশে ময়লার স্তূপ তৈরি হচ্ছে কিছু দিন পর আরো বড় আকারে ধারণ হলে দুর্গন্ধে খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ময়লার বাগারটির কারণে আশপাশের লোকজনের রোগ বেয়ে যাবে।

নূরুল আমিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান বলেন, এখানে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন ভাবেই ময়লার স্তূপ রাখা খুবই বেমানান, কোন মতেই রাস্তার পাশে এত গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন ভাবেই ময়লার স্তূপ রাখা উচিত নয় অতিদ্রুত এই ময়লার স্তূপ সড়িয়ে নেওয়া উচিত না হলে শিক্ষার্থীদের মানবদেহে প্রবেশ করবে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি।

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফাতেমা মাহজাবিন বলেন, যেখানে সেখানে ময়লার স্তূপ পরিবেশ দূষণ করে। তার উপর জনবহুল এলাকায় এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেললে নানা রোগবালাই হতে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ পানি ও বায়ু বাহিত রোগের ঝুঁকি আছে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেহেতু যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে স্থানীয় ও পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই ওই স্থানটি থেকে ময়লার স্তূপ সরানোর ব্যবস্থা করবো। হাটবাজার ও আশপাশের মানুষের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে ময়লা ফেলানোর জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হবে।


আরও খবর



দেশবাসীকে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের চলমান সংকটকালে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। বঙ্গভবনে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি আশা করি, পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে আসবেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অসহায় এসব লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি জীবন ধারণের জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ বহুমুখী সহায়তা প্রয়োজন।

সরকার বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাও তাদের সাধ্যমতো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবাই দেশকে এগিয়ে আসতে একযোগে কাজ কারার আহ্বান জানান।

শ্রীকৃষ্ণকে হিন্দু ধর্মের একজন পরোপকারী ও মানবদরদী মানুষ এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সব নাগরিকের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমরা সবাইকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সব ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের বন্ধনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হোক এবারের জন্মাষ্টমীর অঙ্গীকার। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণু ও সহনশীল আচরণ করতেও সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে সব অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিপর্যয়ের মুখে পর্যটন খাত, সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি ২০২৪ সাল যেন একেবারেই ভালো কাটছে না দেশের পর্যটন খাতের। বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনপরবর্তী উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এরপর দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, এমনকি দুই ঈদুৎসবের সময়ও মন্দার মুখে ছিলো এ খাত। তার ওপর জুলাই ও আগস্টজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় আরও বিপর্যয় নেমে এসেছে খাতটিতে। জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা বললেই চলে; নেই ভ্রমণপিপাসুদের কোলাহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এ খাতকে ঘিরে অন্তত ১৬ ধরনের পরিষেবা দেয়া লোকজনের জীবিকা।

জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে বিগত সরকারের নেয়া ইন্টারনেট শাটডাউনের পদক্ষেপেই ট্যুরিজম খাতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির স্বীকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেশকিছুদিন দেশের রাজনীতিতে সৃষ্টি হওয়া অনিশ্চয়তার প্রভাবও পড়ে পর্যটন খাতে। এরপর আসে বন্যা। বৃহত্তর সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রিয় বেশ কিছু পর্যটন স্পটেও পড়ে বন্যার প্রভাব।

এ খাতের ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা বলছেন, ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীল পরিবেশ। এতদিন সেই পরিবেশটাই ছিলো না। কিন্তু এখন যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, তাই তাদের প্রত্যাশা, অচিরেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার মাধ্যমে সুদিন ফিরবে পর্যটন খাতে। তবে এর জন্য এই খাতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা।

এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট রিলেটেড স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কেয়ার ট্যুরিজমের প্রোপাইটার মো. সোরওয়ার্দি হোসেন সারওয়ার বলেন, ‌এবার পর্যটনের মৌসুম এমনিতেই ছিলো মন্দার মধ্যে; তবে এর ভেতরেও টাঙ্গুয়ার হাওড়, সাজেক, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানসহ হাওর এলাকাগুলোতে বর্ষার সময় পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং তার পরের এই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন সেই ব্যবসাটাও নেই। বিশেষ করে বর্ষার সময় সিলেটসহ পার্বত্য অঞ্চলের ঝরনাগুলোর প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে।

কিন্তু বন্যা ও রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে সেসব এলাকায় পর্যটকরা যাচ্ছেন না। আগে যেখানে এই সময় টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পর্যটকদের ঢল নামতো, এখন সেখানে পর্যটক নেমে এসেছে তিন ভাগের একভাগে। আর পাহাড়েও কেউ যাচ্ছেই না বন্যার কারণে। এটা দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের অবস্থা। আবার আগে ভারতে যে বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটাও কমে গেছে। ফলে এ পর্যটকদের ভিসা ও অন্যান্য সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে যেসব ট্যুর অপারেটর কাজ করতেন তারাও বর্তমানে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এই পরিস্থিতির সঙ্গে আছে চলতি বছরের বাজেটে আমাদের ওপর আরোপ করা ১৫ শতাংশ ভ্যাট, যা অনেকটাই মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘার মতো। আমরা পর্যটকদের যেসব সেবা দিই, সেখানে বাসের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলের রুম ভাড়া, এমনকি খাবারের ওপরও নির্ধারিত ভ্যাট দিই। এরপর হয়তো আমরা সামান্য লাভ করি, সব মিলিয়ে যা ৫ শতাংশের বেশি না। কিন্তু এখন যদি এর ওপরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, তবে অনেক ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানই পথে বসবে। সরকারের প্রতি বিষয়টি ভেবে দেখার আহ্বান জানাই।

বিগত সরকারের কাছেও ভ্যাটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন খাত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সরকার সে সময় এ দাবি মানেনি। এখন তাদের প্রত্যাশা, গণ অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন চাপিয়ে দেয়া এ ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করে। টোয়াবের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানো হবে বলে জানান মো. সোরওয়ার্দি হোসেন সারওয়ার।

রয়েল বেঙ্গল ট্যুরস-এর পরিচালক ও টোয়াবের হিল ট্রাকস রিলেটেড স্টিয়ারিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, ‌ট্যুরিজম খাতটা খুবেই স্পর্শকাতর, রাজনৈতিক অস্থিরতা বলেন, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলেন, সবার আগে বন্ধ হয় আমাদের এই খাত, আবার খোলেও সবার পরে। বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতে দুধরনের পর্যটক রয়েছেন, যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসেন তাদেরকে ইনবাউন্ড ট্যুরিস্ট বলা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে ট্যুরিজমের উদ্দেশ্যে যান তাদের আউটবাউন্ড ট্যুরিস্ট বলা হয়।

সাম্প্রতিক এই সঙ্কটগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইনবাউন্ড ট্যুরিজম। কারণ দেশের এ পরিস্থিতিতে বিদেশি পর্যটকরা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ইচ্ছে থাকলেও আসার সাহস পাচ্ছেন না। আমার জানামতে বাংলাদেশের যতগুলো ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর ব্যবসা করছেন, তাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত যত ট্যুর হওয়ার কথা ছিলো তার বেশিরভাগই ক্যানসেল হয়ে গেছে। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় তো নিরাপত্তার সমস্যা কারণে এই পরিস্থিতির আগে থেকেই বিরাজ করছে।

এসবের পাশাপাশি সরকারি কিছু নিয়ম-কানুনও পর্যটন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, ‌‌‌সরকার পোশাক রফতানিকারকদের প্রণোদনা দিচ্ছে, কারণ তারা বিদেশ থেকে ডলার আনছেন। একই ভাবে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও বিদেশি পর্যটকদের দেশে আনার মাধ্যমে ডলার আনছেন। গার্মেন্টসের থেকে আয় হওয়া ডলারের একটি বড় অংশ আবার কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি বাবদ বিদেশেই চলে যায়। কিন্তু বিদেশি পর্যটকরা এসে যেসব ডলার খরচ করেন, দেশেই থেকে যাচ্ছে তার প্রায় পুরোটা।

শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশটি কিছুদিন আগেও বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলো। আবার মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সম্পূর্ণভাবে তাদের ট্যুরিজমের ওপর ভর করে। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেরও ট্যুরিজম খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

টোয়াবের কমিউনিটি বেসড ট্যুরিজম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও স্পিড হলিডেস-এর প্রধান নির্বাহী মেসবাউল আলম বলেন, কোভিডের সময় পর্যটন খাতে যে ধাক্কা লাগে সারা বিশ্বের সঙ্গে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। সেটা সামলে উঠে যখন দেশের পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই খাত প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। ট্যুর অপারেটররা কর্মচারীদের বেতন ও অফিস খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে বিশ্ব দরবারে এই বার্তা দিতে হবে যে, দেশে এখন আন্দোলন সংগ্রাম শেষ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল। বিদেশিরা নির্ভয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এই বার্তাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। তাহলেই মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে, তারা বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত হবেন।

নিউজ ট্যাগ: পর্যটন

আরও খবর



সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ আওয়ামী লীগ নেতা আটবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে জয়ী হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশেনে ১নং প্যানেল স্পিকার হিসেবে স্পিকারের আসনে বসে সংসদ পরিচালনাও করেছিলেন আ স ম ফিরোজ।

নিউজ ট্যাগ: আ স ম ফিরোজ

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চাটমোহরে গভীর রাতে মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দিরের ৩টি মূর্তি ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বত্তরা। গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা মন্দির কর্তৃপক্ষের।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমসহ পুলিশ সদস্যরা।

জানা গেছে, সোমবার রাতে আসন্ন দূর্গা পুজা উপলক্ষে হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দিরের সামনে প্যান্ডেল বানানোর কাজ করছিলেন মন্দির কমিটির লোকজন। রাত ১১টার দিকে মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে বাড়িতে যান সবাই। মঙ্গলবার সকালে বন্দনা রানী নামের একজন নারী মন্দির পূজা দিতে গেলে মন্দিরের ভেতরের মহাদেবসহ তিনটি মূর্তি ভাঙচুর করা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়।

পরে খবর পেয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও রেদুয়ানুল হালিম, চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্যসহ অন্যরা।

সবার ধারণা, মন্দিরের গ্রীলের তালা ভাঙতে না পেরে লোহার রড বা বাটাম দিয়ে মূর্তিগুলো ভাঙা হয়েছে।

হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুটিশ্বর দেব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়েও এই মন্দিরসহ আমাদের এলাকায় পূজার্চনা চলেছে। আমাদের এলাকায় কখনোই মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার না পেলে দূর্গাপূজা করা থেকে বিরত থাকবো।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ হিন্দুরের মনোবল ভাঙতে দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। নইলে আগামীতে দূর্গাপূজা করা থেকে বিরত থাকার চিন্তা ভাবনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪