সিলেটে ট্রাফিক
পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দিনভর
অনির্দিষ্টকালের পরিবহন কর্মবিরতি (ধর্মঘট) চলার পর রাতে স্থগিত করা হয়েছে। ধর্মঘটের
কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ ছিল। এতে
সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এদিন সন্ধ্যায়
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত ১০টায় এই
সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি করেছেন সিলেটের ছয়টি রেজিস্টার্ড সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রশাসন
আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে পরিবহন
কর্মবিরতি (ধর্মঘট) স্থগিতের অনুরোধ করেন বিভাগীয় কমিশনার। ওনার আশ্বাসের ভিত্তিতে
আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
এর আগে রাত ৮টায়
সিলেট সার্কিট হাউসে এ বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিভাগীয়
কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক
জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সাধারণ
সম্পাদক জাকারিয়া আহমদসহ পরিবহন নেতারা।
গত কয়েকদিন ধরেই
পাঁচ দফা দাবিতে নগরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো। দাবি
পূরণ না হওয়ায় আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের
পাঁচ দফা হলো- সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ও উপ-কমিশনারকে (ট্রাফিক) অপসারণ এবং ট্রাফিক
পুলিশের হয়রানি বন্ধ, রেকার-বাণিজ্য ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করা, সিলেটে শ্রমিক
লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটানো শ্রম আদালতের প্রতিনিধি নাজমুল আলম ওরফে রোমেনকে
প্রত্যাহার করা, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা
সড়ক দ্রুত সংস্কার, নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রি করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন
দেওয়া। এছাড়াও অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি
চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।