আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে ফের আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কেপ টাউনে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে এ নিয়ে প্রায় ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। প্রথমবার আগুন লাগার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানানো হয়। খবর বিবিসি, আল জাজিরা। সোমবার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। দমকল বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

এর আগে গত রোববার আগুনে পার্লামেন্ট ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। পুলিশ এই ঘটনার পর সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পার্লামেন্ট ভবনে ওই ব্যক্তি অগ্নিসংযোগের পর চুরি করে থাকতে পারেন।

কর্তৃপক্ষ এর আগেই জানিয়েছিল যে, কার্পেট এবং কাঠের মেঝের কারণে আবারও আগুন লাগতে পারে। পার্লামেন্টের মুখপাত্র মোলোতো মাথাপো জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী আগুন নেভানোর জন্য সারারাত কাজ করেছেন।

ওই ভবনের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ তলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বছর ১৭ আগে মুরগির খামার শুরুর পর ভালোই চলছিল বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেনের। কিন্তু ব্যবসায় বিপত্তি শুরু হয় করোনা মহামারীকালে। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি।

সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। কিন্তু এবার সব শেষ। বিদ্যুৎ যায় আসে। যে গরম পড়ছে তাতে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। টিনে পানি দিতে হয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে আরো বেশি স্ট্রোক বেড়েছে। ওষুধ খাইয়েছি, তবু মুরগিগুলোকে রক্ষা করা যায়নি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

সেলিনার মতো অন্য খামারিদের একই হাল। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে মড়ক। প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। অনেক খামারি লোকসান গুনে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা গেলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাদের কাছে কেউ যাচ্ছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।

খামারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার পর থেকে পোলট্রি খাতে দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পোলট্রিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার গুটিয়ে নেন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রায় ৪০ শতাংশ খামারি। এছাড়া খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দামের পাশাপাশি এখন পোল্ট্রি খাতের অন্যতম নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তন। গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহে খামারগুলোয় ব্যাপক হারে ব্রয়লার মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ডিম উৎপাদনও। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খামারিরা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও ব্যাহত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পাঁচদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে, আবহাওয়ার পরিভাষায় যাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। গতকালও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ায়ও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এ তাপপ্রবাহ আরো বেড়ে সামনে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো বেশি শঙ্কায় রয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

তীব্র গরমে খামারে মড়ক লাগলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, গরমের সময় খামারে বারবার পানি স্প্রে ও টিনের চালে ছালার চট ভিজিয়ে রাখার পরামর্শসহ একাধিক গাইডলাইন দেয়া হয়েছে বিভাগের প্রত্যেক মাঠ কর্মকর্তাকে। তারা খামারিদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে গরমে মুরগির মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের অবহিত করা হয়নি এখনো।

চট্টগ্রামের খামারিরা জানিয়েছেন, ওষুধ ও পানি স্প্রের মাধ্যমে হিটস্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটনের খামারে দেড় কেজির বেশি মুরগি ছিল প্রায় চার হাজার। কিন্তু গত দুদিনের গরমে প্রায় এক হাজার মুরগি মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট মুরগি মারা যায় কম। কিন্তু এক কেজি ওজনের বেশি মুরগি প্রচুর মারা যাচ্ছে। আমার বড় মুরগির খামারে গত দুদিনে ২৫ শতাংশই মারা গেছে। আশপাশের সবার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। যত ভালো খামার ব্যবস্থাপনাই থাকুক এ গরমে মুরগি মারা যাবেই। তবে এ বছর মৃত্যুটা বেশি।

একই কথা জানান রাউজান উপজেলার অর্ণব পোলট্রি ফার্মের স্বাত্বাধিকারী দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমার খামারের বেশকিছু মুরগি মারা গেছে। আরো কিছু মুরগির অবস্থা সংকটাপন্ন। লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমে গেছে। স্যালইন, ভিটামিন সি খাওয়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্প্রে করে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে গরমের কারণে ভূগর্ভস্থ পানিও তোলা যাচ্ছে না। এ কারণে পানিরও সংকট আছে। এভাবে গরম পড়তে থাকলে খামার রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না। কম দামে তখন বিক্রি করে দিতে হতে পারে।

চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় চার হাজার ব্রয়লার ও পাঁচ শতাধিক লেয়ার মুরগির খামার আছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মুরগি খামারের উপপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, অনেক বেসরকারি পর্যায়ের খামারে গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে সরকারি খামারগুলোয় এখন কোনো মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। খামারগুলোয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

যশোরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বোচ্চ। আগের দিন ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে ১০ হাজারের মতো মুরগি মারা গেছে। শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার খামারি সানজিদা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমার খামারে ৭০০ মুরগি ছিল। এখন আছে ২৫০টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মুরগি খামার রয়েছে ১ হাজার ৫৩৪টি। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার জানান, তার অধীনে ২৪৯টি ব্রয়লার ও ২৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে মুরগির হিটস্ট্রোক বেড়ে গেছে। খাওয়া কমে গেছে। তবে কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে তার হিসাব নেই।

তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রংপুরের খামারিরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। লোডশেডিং তাদের আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলায় লেয়ার মুরগির খামার আছে দেড় শতাধিক এবং ব্রয়লার চার শতাধিক।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গরমে সাধারণত ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে সহনীয় ধরা হয়। এর ওপরে গেলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বলা হয়, যা সব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। হিটস্ট্রোকসহ নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ মুহূর্তে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো বেড়েছে খামারিদের। এ গরম চলতে থাকলে মুরগির মৃত্যু আরো যে কত বাড়বে তা নিয়েই আতঙ্কিত তারা।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশি ছিল। কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় বেশি গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। এর সঙ্গে নগরায়ন ও গাছপালা কেটে ফেলার কারণে খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়া।

পোলট্রি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা বেশি থাকে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। এ কারণে বড় আকারের মুরগি হিটস্ট্রোকে বেশি মারা যায়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমে তুলনামূলক ব্রয়লার মুরগি বেশি মারা যায়। কারণ তাদের সহ্যক্ষমতা কম। গরমে ব্রয়লার মুরগি খাবার কমিয়ে দেয়। সে কারণে তার খাবারে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টিনের চালে পানি বা ভেজা বস্তা দিতে হবে যেন শেড ঠাণ্ডা থাকে।


আরও খবর



গরমে বারবার গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। একইসঙ্গে পরিবেশে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাবও বিরাজমান থাকবে।

হাঁসফাঁস করা এ গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই একাধিকবার গোসল করছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার গোসল করা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না ক্ষতিকর এমন প্রশ্নও অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দিনে একাধিকবার গোসল করা মোটেই ক্ষতিকর নয় গরমে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার গোসল করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং স্বস্তি পাওয়া যায়। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। তাই গরমকালে সময় পেলে গোসল করতেই পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করা যেতে পারে। যারা গরমে বাইরে কজ করছেন, তারা সময় পেলেই গোসল করতে পারেন। তবে শর্ত একটাই ঘর্মাক্ত অবস্থায় কখনই গোসল করবেন না। তাতে ঠান্ডা গেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তবেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। এতে তাপজনিত সমস্যা দূর হবে।

অনেকেই আবার গরমে বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করেন। এটি ঠিক নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। এতে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। যাদের বাত, অ্যাজমা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায় বরফ দেওয়া পানিতে গোসল করলে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানিতেই গোসলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নবায়নে সৌদির তাগিদ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট নবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছে সৌদি সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের সৌদি সরকারের তাগিদের কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৪ সালের দিকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাসপোর্ট নবায়ন করবে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল। কারণ, ১৯৭৪ সালের পর ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাদের ওই দেশে কেউ কাগজপত্র ছাড়া থাকতে পারে না। সৌদি আরবে অবস্থান করা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্টের নবায়ন নেই। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গাদের তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দিব। এ বিষয়ে আমরা স্লো যাচ্ছি কেন কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি-না সেটা দেখার জন্য তারা এসেছিলেন। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব কিন্তু ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার কাউকে ফেরত পাঠাবে না। আবার তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বও দেবে না। তবে কীভাবে থাকবে? সেজন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে সববিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদিতে থাকা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দিব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সৌদি যদি এই চুক্তি করে তবে ভাল হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আনসার পাঠানোর কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।


আরও খবর



পেপসি, কোকাকোলা বয়কটের মধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ‘প্যালেস্টাইন কোলা’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজায় নির্বিচারে গণহত্যার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীজুড়ে। ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ সমর্থন দিয়েছে ফিলিস্তিনের মানুষদের। এমনটাই দেখা যাচ্ছে বিগত মাসগুলোতে। সেই সাথে অভিযুক্ত দেশটির তৈরি বিভিন্ন পণ্য বয়কট শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। ইসরায়েল কোমল পানীয় কোকাকোলা এবং পেপসি বয়কট করছে মানুষ।

এ অবস্থায় কোকাকোলা ও পেপসির বিকল্প হিসেবে প্যালেস্টাইন কোলা নামে আরেকটি পানীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত সুইডিশ তিন ভাই এই ব্র্যান্ডটির মালিক। এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম দ্য ন্যাশনাল এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চার-পাঁচ মাস আগেও পেপসি ও কোকা-কোলার বিকল্প তৈরি করা রীতিমত অসম্ভব ছিল। কারণ- বাজারে এই দুই পানীয়র চাহিদা প্রচুর। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ায়, পানীয়টি বাজারে আসার মাত্র দুই মাসের মধ্যেই বিপুল মুনাফা পান তারা। দুই মাসের মধ্যে বিক্রি প্রায় চার মিলিয়ন ক্যান পৌঁছেছে।

নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে প্যালেস্টাইন কোলাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ স্বাগত জানিয়েছিলেন। প্যালেস্টাইন কোলার ক্যানের নকশাটিও বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক প্রতীক জলপাইয়ের ডাল ও কেফিয়াহর নকশা দেখা যায়। আর ক্যানটিতে সবার জন্য স্বাধীনতা বার্তা লেখা আছে ।


আরও খবর



জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি আর নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি আর নেই। ক্যানসার আক্রান্ত এ শিল্পী সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার ভাগিনা ফয়সাল আহমেদ। সব শেষ তিনি ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

রুমির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিনেতা অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ভারতের চেন্নাইয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়। পরে দেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

অভিনয় জীবনের তিন দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।

গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। রুমির জন্ম বরগুনায়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রুমি।

তার অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের এখনও ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন।

এরপর থেকে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন রুমি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো- সাজেশন সেলিম, বোকাসোকা তিনজন, মেকাপ ম্যান, ঢাকা টু বরিশাল, ঢাকা মেট্রো লাভ, বাপ বেটা দৌড়ের উপর, আমেরিকান সাহেব, জার্নি বাই বাস, বাকির নাম ফাঁকি, রতনে রতন চিনে, আকাশ চুরি, চৈতা পাগল, জীবনের অলিগলি, মেঘে ঢাকা শহর ইত্যাদি।

এছাড়া তিনি জমজ’ নাটকে অভিনয় করে বেশ দর্শক প্রশংসা লাভ করেন।

তার মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশেষ করে নাটক পাড়ায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে বেশ।

অভিনেতা জিয়াউল হক অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অলিউল হক রুমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার প্রথম জানাজা সকাল ৯টায় শহীদবাগ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা হবে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনায়।


আরও খবর