বছরের শেষদিকে
এসে একের পর এক ভূমিকম্পের মুখে পড়ছে দক্ষিণ এশিয়া। চলতি মাসে প্রথমে নেপালে আঘাত হানে
প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। এরপর কেঁপে ওঠে শ্রীলঙ্কা ও ভারত। এবার ভূমিকম্পের মুখে পড়লো আফগানিস্তান
ও পাকিস্তান।
ভারতের জাতীয়
ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান
সীমান্তে আঘাত হেনেছে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫
দশমিক ২।
তবে মার্কিন
ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে আঘাত
হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। এর উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী
শহর এশকাশেম থেকে ৩১ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৫ কিলোমিটার
গভীরে।
এই কম্পনের
প্রভাব অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তানেও। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে
কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ৩ নভেম্বর নেপালে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প। এতে প্রাণ হারান দেড়শর বেশি মানুষ, আহত হন আরও প্রায় ৪০০ জন।
আরও পড়ুন>> আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
এর রেশ কাটতে
না কাটতেই গত ৬ নভেম্বর আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হিমালয়সংলগ্ন দেশটি। ৫ দশমিক ৬ মাত্রার
ওই কম্পন অনুভূত হয় ভারতের দিল্লিতেও।
এরপর গত মঙ্গলবার
(১৪ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল
ছিল কলম্বো থেকে ১ হাজার ৩২৬ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে
মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর কয়েক ঘণ্টা
পরেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারত। এনসিএস জানায়, বাংলাদেশ সময়
দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে লাদাখের কার্গিল অঞ্চলে অনুভূত হয় ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে এর
মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
তার আগে, গত
২২ অক্টোবর নেপালে আঘাত হেনেছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর
একদিন পরে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারও। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের
মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।
এসব ঘটনায় তেমন
কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পে ব্যাপক
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।