আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

দক্ষিণাঞ্চলে দখল হচ্ছে খাল দূষণ হচ্ছে নদী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখল ও দূষণে নাব্যতা হারিয়ে ক্রমেই অস্তিত্ব হারাতে বসেছে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা নদী ও খাল। দখলকারীদের রাক্ষুসে থাবা এখনই থামানো না গেলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে নদী মাতৃক এ অঞ্চলের অধিকাংশ নদী ও খাল।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কীর্তনখোলা নদীকে ঘিরে গোড়াপত্তন হয়েছিল বরিশাল শহরের। আজ দখল-দূষণে জৌলুস হারাচ্ছে সেই কীর্তনখোলা। নদীর দুই তীরে ডকইয়ার্ড, গোডাউন, কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনার কারণে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে নদী। এতে নদী তার স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি হারাতে বসেছে। অপরদিকে নগরবাসীর উন্মুক্ত জায়গায় ফেলা বর্জ্য ড্রেন, নালা হয়ে খালের পানিতে গিয়ে মিশছে। সেই খালের পানি যাচ্ছে কীর্তনখোলায়। এতে নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর খালগুলোর অবস্থাও খারাপ। ময়লা-আবর্জনা ফেলা ও সংস্কারের অভাবে ক্রমশ সরু হয়ে গেছে এসব খাল।

বিশ্লেষকরা বলছে, এসব থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, ধান-নদী-খালের দেশ বরিশালের সামনে বড় বিপদ আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনে যে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে বরিশালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এ বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হলে খাল-নদী দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বরিশালকে বাঁচাতে দখলদারদের প্রতিরোধ এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

সূত্রমতে, কীর্তনখোলা নদীবিধৌত বরিশাল নগরীতে ইতোমধ্যে ২২টি খাল দখল-দূষণে মরে গেছে। যে কয়েকটি টিকে আছে, তাও স্থানীয়রা নর্দমা হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে ক্রমেই নদী মরে গিয়ে পরিবেশ হুমকির মুখে পরেছে। শুধু নগরীর মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালগুলো নয়, এবার পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পরেছে খোঁদ কীর্তনখোলা নদী। নগরীর পাশ ঘেঁষে বহমান এ নদী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে। কিন্তু নদীর তলদেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক বজ্যের আস্তরণ পরার কারণে নদীর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নদী ড্রেজিংয়ের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, নদীর তলদেশের বেশ কয়েকটিস্থানে পলিব্যাগের আস্তরণ পরেছে। মূলত নগরীর ভেতরকার খাল থেকে এসব পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা কীর্তনখোলায় নির্গত হয়। এছাড়া বড় একটি অংশ বিলাস বহুল নৌযান কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের অসচেতনার কারণে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বুড়িগঙ্গার মতো করুণ পরিণতি হতে পারে শান্ত-স্নিগ্ধ রূপবতী কীর্তনখোলার।

একইভাবে জেলার গৌরনদী উপজেলার মধ্যদিয়ে বহমান খরস্রোতা পালরদী নদী দখল ও দূষণে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে গৌরনদীর ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ আড়িয়াল খাঁ নদীর শাখা পালরদী নদী। নাব্যতা হ্রাসের কারণে নদীর কোথাও এখন হাঁটু পানি। ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ এখন আর গৌরনদী হয়ে তার শেষ গন্তব্যস্থল দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীক বন্দর টরকীতে যেতে পারছেনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর উভয় তীরে জেগে ওঠা চর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ঘর-বাড়ী, দোকান-পাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। তারা জাল কাগজপত্র তৈরী করে সরকারি খাস জমির মালিকানা দাবি করছেন। এমনকি কয়েকজন প্রভাবশালীরা গৌরনদী, টরকী বন্দরসহ বিভিন্নস্থানে নদী দখল করে পাকা দালান তৈরী করেছেন। ময়লা আবর্জনা ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে। সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বিভাগের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় অর্ধশতাধিক কৃষক গণস্বাক্ষর দিয়েও রক্ষা করতে পারছে তাদের কৃষি কাজে ব্যবহারিত হওয়া একটি খাল। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে  খালটি দখল করে স্থাপনা নির্মান করছে উপজেলা কৃষি অফিসের এক উপ-সহকারী কর্মকর্তা। সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বটতলা বাজারে শতবছরের পুরাতন একটি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মান করছে কাঠালিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খোকন। যদিও তার দবি  একটি ঘর এখানে অর্ধশত বছর আগ থেকে ছিলো, এখন সেটি মেরামত করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় কৃষকদের দাবি খালটি দখল করার ফলে তাদের কৃষিকাজ বাঁধাগ্রস্থ হবে। এদিকে দখলের বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিস বাঁধা দিলেও তা মানেননি খোকন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সম্প্রতি ঐ এলাকার ৪২ জন কৃষক উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর গণস্বাক্ষর দিয়ে খালটি রক্ষার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ করছে।

অভিযোগে জানাগেছে, বটতলা এলাকার শতবছরের পুরাতন খালের একাংশ দখল করে ঘর নির্মান করছে কৃষি অফিসের উপ-সহকারী আসাদুজ্জামান খোকন। খাল দখলের ফলে শত শত একর জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শুধু খাল দখলই নয় প্রভাব দেখিয়ে সাধারণ মানুষের জমিজমা মিথ্যা দলিলপত্র তৈরি করে দখল করারও অভিযোগ রয়েছে তার (খোকন) বিরুদ্ধে। বর্তমানে সরকারী খালটি নিজেদের দাবি করে খালের মধ্যে পাকা স্থাপনা করেছেন তিনি। খালের পানি চলাচলের গতিপথ নষ্ট করে দিনে দুপুরে অতিরিক্ত লোক নিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন খোকন ও তার সহযোগীরা।

কৃষক মিলন, সেলিম, জামাল, আলআমিন, তপন শীল ও মোঃ ফারুকসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, তার হুমকি ও দাপটে কেউ মুখ আছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

এবিষয়ে কাঠালিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান চঞ্চল বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে শিগ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাল দখলকারীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আউরা (গুদিকাটা) হয়ে কাঠালিয়া থানার সম্মূখ দিয়ে ফকির বাড়ি হয়ে বড় কাঠালিয়ার সাথে মিলিত হয়েছে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল। এক সময়ের খরস্রোতা এই খালটি আজ দখল ও দূষণে মরা খালে পরিণত হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখল ও দূষণে নাব্যতা হারিয়ে ক্রমেই অস্তিত্ব হারাতে বসেছে কাঠালিয়া থানা সম্মূখের এক সময়ের খরস্রোতা খালটি। এখনই দখলকারীদের রাক্ষুসে থাবা এখনই থামানো না গেলে কাঠালিয়া উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে খালটি।

খালের উভয় তীর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ঘর-বাড়ী, দোকান-পাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। পাশাপাশি খালটি ময়লা আবর্জনা ফেলে দূষণ করা হচ্ছে। খালের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এখন ময়লার ভাগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিকাংশ খাল। সেই সাথে বাসাবাড়ির বাথরুমের মলমূত্রের ট্যাংকি খালের মধ্যে দেয়ায় পানির সঙ্গে মলমূত্র মিসে দূষিত হচ্ছে খালের পানি। তবে অধ্যাবদি সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় প্রশাসন। ফলে জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

খাল দখলকারীরা যতো বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের।

অপরদিকে বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী জেল খালসহ অধিকাংশ খাল কতিপয় প্রভাবশালীর আগ্রাসী থাবায় দখল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া খালের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এখন ময়লার ভাগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিকাংশ খাল।

নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতারা বলেন, নদী ও খাল দখলকারীরা যতো বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নতুবা খুব শীঘ্রই নদী ও খালের জেলা বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ নদী ও খাল মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বরিশাল

আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যুব‌কের মর‌দেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবকের মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ট্রেন চলাকালে কোনো গা‌ছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লে‌গে হা‌নি‌ফ (৩০) না‌মের ওই যুব‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ধারণা কর‌ছে রেলও‌য়ে পু‌লিশ।

মৃত হানিফ জয়পুরহাটের আমতলী উপ‌জেলার আমতলী গ্রামের হান্নানের ছেলে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মর‌দেহটি উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশ‌ন মাস্টার মো. শাহীন বলেন, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে আসার পর ছা‌দের ওপর ওই যুব‌কের মর‌দেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। প‌রে সেখান‌ থেকে মর‌দেহ‌টি টাঙ্গাইল স্টেশ‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হ‌য়।

ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর বলেন, হানিফ মিয়া পঞ্চগড় থেকে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিল। পথিমধ্যে কোথায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে মর‌দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের লেকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর‌দেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি শুক্রবার বলেন, আমরা নিজেদের রক্ষা করা থেকে কখনও বিরত থাকব না। হেগ আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি পদক্ষেপের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’


আরও খবর



বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কাল ভোট, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে দুইটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর)। এ নির্বাচন উপলক্ষে দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর থেকে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্বাচনী মালামাল বুঝে দেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয় ভোট কেন্দ্রে।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে- দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন।

আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুরুল হাসান।

তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি বেশি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। তাদের বোঝানো হয়েছে তবুও সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর