আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডলারের এক রেট বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এখন থেকে প্রতি মার্কিন ডলার ৮৯ টাকায় বিক্রি হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলস ফর কালেকশন (বিসি) সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করার সময় ব্যাংকগুলা এই হার অনুসরণ করবে।

রোববার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা এবং বিসি সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই দুই রেটের সমন্বয় করে একচেঞ্জ হাউজগুলো ডলার বিক্রি করবে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ (এবিবি) প্রস্তাব অনুসারে এ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ডলারের সংকট কাটাতে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের এবিবি ও বাফেদা সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সভায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যাংকার জানিয়েছেন, সংকট কাটাতে সভা ডাকা হয়েছিল। সভার সিদ্ধান্তে সংকট আরো বাড়বে। কারণ, এত কম দামে প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে আসবে না। ডলারের দাম কম হওয়ায় রপ্তানি আয়ও বাধাগ্রস্ত হবে। বাস্তবতাকে স্বীকার না করে এখনো ৯০ টাকার নিচে ডলারের দাম বেঁধে রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও বাস্তবে ৯৫ টাকার উপরে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সংকট কাটাতে নিয়মিত ভিত্তিতে রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকে ডলার নগদায়ন করতে হবে। বাফেদা ও এবিবি ডলারের এক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে, যা মেনে চলবে সব ব্যাংক। এর পরই আজ এবিবি ও বাফেদার দেওয়া রেট পর্যালোচনা করে ডলার কেনাবেচার দাম নির্ধারণ করে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর



হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচর স্টেশন থেকে ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আগামীকাল রবিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন দুটি চলাচল করবে।

গতকাল শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায়। ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।

ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। ভাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ১০ মিনিটে।

আর রাজবাড়ী স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন আছে।

গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (পশ্চিম) পক্ষ থেকে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়ালের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করার জন্য মতামত পেশ করা হলো।

একই রেক দিয়ে পরিচালিত হলেও এই ট্রেন দুটির নাম হবে আলাদা। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, চন্দনা ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার ও ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।


আরও খবর



বিজ্ঞান জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডসভা: ৫০ প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আওতাধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্টি বোর্ডের এক সভা বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের জন্য ৬৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

বোর্ডের সভাপতি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে। ট্রাস্টি বোর্ডের অনুদানের মাধ্যমে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন সারা পৃথিবী অবলোকন করছে।

এছাড়া বিজ্ঞান জাদুঘরের মিউজিয়াম বাস ও মুভি বাসের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ তৈরি করা কঠিন কাজ। মানষিকতার পরিবর্তন ও সততা ছাড়া কোন জাতি এগোতে পারেনা। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষার অংশ হিসেবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এ অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য’ গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১ দশমিক ৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন। অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করেপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।


আরও খবর