চলতি বছরের জুনে প্যারিস জায়ান্টসদের সঙ্গে
চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে লিওনেল মেসির। এখনো ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই না হওয়ায়
পিএসজিতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। সম্ভাব্য নতুন গন্তব্য নিয়েও
জল্পনা বাড়ছে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, সৌদি আরবে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। দলবদলের গুঞ্জনের
মধ্যেই পিএসজি তারকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যাত্রার খবর চমক জাগানিয়া হতে পারে।
কারণ মেসির সম্ভাব্য নতুন গন্তব্য হিসেবে
জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে সৌদি আরবের একটি ক্লাবের নামও। আরেক বিশ্বতারকা ক্রিস্টিয়ানো
রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর দেশটির আরেক ক্লাব আল হিলাল নাকি আর্জেন্টাইন তারকাকে
দলে ভেড়াতে আগ্রহী। এছাড়া সম্প্রতি আগ্রহী লিস্টে সৌদি প্রো লিগের আরেক শীর্ষ ক্লাব
আল ইত্তিহাদের নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে এ সম্পর্কিত কোনো কারণে সৌদি আরবে যাচ্ছেন না
আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
গেল বছর সৌদি আরবের পর্যটন অ্যাম্বাসেডর
হন মেসি। জানা যাচ্ছে, সে কারণেই দেশটিতে যাচ্ছেন তিনি। এ সম্পর্কে সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী
আহমেদ আল খতীব এক টুইটে জানিয়েছেন, আমাদের পর্যটন অ্যাম্বাসেডর মেসিকে দ্বিতীয়বারের
মতো সৌদি আরবে স্বাগত জানাচ্ছি। এই মাসেই (মার্চ) মেসি ও তার পরিবার সৌদি আরবে আসবেন
এবং আমাদের পর্যটন স্পটগুলো উপভোগ করবেন। আশা করি তিনি এখানে মানুষের সঙ্গে মেশার যুক্ত
হবেন এবং অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন।
এদিকে, মেসির দলবদলের গুঞ্জনে নতুন মাত্রা
যোগ করলেন মেসির জীবনী নিয়ে কাজ করা ক্রীড়া সাংবাদিক গিলেম বালাগ। তার মতে, মেসি ফরাসি
ক্লাবের সঙ্গে নিজের দর বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
অথচ এতদিন পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল, পিএসজির
সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে রাজি নন মেসি। কিন্তু কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি ক্লাবের
সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোরই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম বছর প্যারিসে মানিয়ে
নিতে সময় লেগেছে। সেটি বিভিন্ন কারণে। কিন্তু এ মৌসুম অন্যভাবে শুরু করেছি। অনেক কিছু
জেতার ইচ্ছে আছে মনে। আমি এই ক্লাব, শহর ও শহরের মানুষদের উপভোগ করতে শুরু করেছি। হ্যাঁ,
খুব ভালো একটা মৌসুম কাটাচ্ছি।
তবে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে হেরে পিএসজির
বিদায়ে মেসি আবারও থেকে যাবেন কি না সেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে মেসির
জীবনী-লেখকের মন্তব্যে ধোঁয়াশা কাটতে শুরু করেছে। বালাগ বলছেন, মেসির বাবা জর্জের সঙ্গে
পিএসজি ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোসের কথাবার্তা চলছে। মেসি যে পিএসজিতেই থাকতে চান, তা
নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু চুক্তি সই করার আগে তিনি অনেকগুলো শর্ত দিতে চলেছেন। তার মধ্যে
এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যেগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হতে পারে।