আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানি) আসনের সফল সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজ তাঁর দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার শেখ তানভীর করিম রাসেলকে সাথে নিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর আইনজীবী কার্যলয় (পুরানা পল্টন) থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পর্যন্ত যেন একটুকরো পিরোজপুরে পরিণত হয়। তাঁর নির্বাচনী এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখোরিত হয়ে উঠে।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোপাল বসু, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগে আহবায়ক সিকদার চাঁন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি শফিউল হক মিঠু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান জিয়া, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়জিদ হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ শেখ হাসান মামুন, জসিম হাওলাদার রায়হান, রাসেল সিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল সহ জেলা ও উপজেলা, কলেজ শাখা ও পৌর ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে নাজিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, নাজিরপুর কৃষকলীগের আহবায়ক বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্জন কান্তি বিশ্বাস,

নাজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির, ম‌হিলা ভাইস চেয়ারম‌্যন শাহ‌রিয়ার ফের‌দৌস রুনা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী, সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, শেখমাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহামান চৌধুরী নান্নু, নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস, সাধারণ সম্পাদক আল আমীন প্রমুখ। এছাড়া পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেন বলেন, পিরোজপুর-১ আসনের মাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘাটি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই জনপদের কৃতি সন্তান। করোনাক্রান্তিকালে তিনি নিজের জীবনের মায়া উপেক্ষা করে যেভাবে পিরোজপুরবাসীর পাশে থেকেছেন তা এ এলাকার সাধারণ জনগণ মনে রাখবে। তারাই ভোট দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে আবারও জাতীয় সংসদে পাঠাবেন।

জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, পিরোজপুর-১ আসন সংসদ সদস্য হিসেবে বিগত পাঁচ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম যে উন্নয়ন করেছেন তা অতীতের কোন সংসদ সদস্যই করেন নি। মাটি ও মানুষের ভালোবাসা নিয়ে তিনি আবারও জাতীয় সংসদে পিরোজপুরের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা আজ নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে এসেছি। শত শত লোক এখানে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এসেছে। এই গণজোয়ার ও গণজাগরণ দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। তফসিল ঘোষণার পর থেকে সারা গ্রাম বাংলায় মানুষের মধ্যে নির্বাচনমুখী জোয়ার এসেছে। দারুণ অনুপ্রেরণা এসেছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানুষ এটা বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল, কেননা এদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সব নির্বাচনে জয়লাভ করেই সরকার গঠন করেছে। আর এবারেই আমরা প্রমাণ করব বাঙালি জাতি নির্বাচনমুখী জাতি। যারা এই নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত তাদের আমরা শিক্ষা দেব। অবশ্যই আমরা নির্বাচনে জয় লাভ করব। সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আবার সরকার গঠন করব এবং আমাদের যেসব অর্জন আমরা এখনও করতে পারিনি সেগুলো অবশ্যই অবশ্যই অর্জন করব।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



গাজীপুরে তরুণকে কুপিয়ে ১০ তলা ভবন থেকে ফেলে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক তরুণকে কুপিয়ে ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক নয়টার দিকে উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ইউনিক টাওয়ারের ছাদে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণ সাব্বির হোসেন (২০) কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আহমদ নগর চৌরাস্তা এলাকার মৃত লিটন মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাব্বিরের বড় ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে সাব্বিবের দুই বন্ধুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুই আসামি মো. রাকিব (২১) ও মো. সাকিব (২১) যমজ ভাই। তারা উপজেলার সফিপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই দুজন পলাতক। তাদের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্র ও এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে রাকিব, সাকিব ও সাব্বির একসঙ্গে একটি জিমে যান। সেখান থেকে তারা রাকিব ও সাকিবের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে যায়। সঙ্গে ছিল করণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। পরে দুই কিশোরকে মুড়ি কিনতে দোকানে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর ওই দুই কিশোর ফিরে আসে এবং ভবনের নিচে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে। কিন্তু রাকিব ও সাকিব সেখানে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং বাটি উদ্ধার করা হয়।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই ভবনের ছাদ থেকে একটি কাটা আঙুল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা ও দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়রা দাবি জানাচ্ছেন।

কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. জুবায়ের বলেন, নিহত সাব্বিরের ভাই থানায় মামলা করেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীর বন্যাদুর্গত এলাকায় সিভাসু’র বিনামূল্যে প্রাণি চিসিৎসাসেবা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে ফেনী জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় বিনামূল্যে প্রাণি চিকিৎসাসেবা এবং গোখাদ্য প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভাসু'র সিনিয়র উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) খলিলুর রহমান

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের দুটি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গত ৩-৪ সেপ্টেম্বর ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর গ্রাম এবং ফুলগাজী উপজেলার জি এম হাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রী চন্দ্রপুরে বিনামূল্যে প্রাণি চিকিৎসা সেবা ও গোখাদ্য প্রদান করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সদস্য এবং সিভাসুর ভেটেরিনারি ক্লিনিক্সের পরিচালক প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস বলেন, ভেটেরিনারি ক্যাম্পিং পরিচালনাকালে প্রায় দুই শতাধিক বন্যাদুর্গত পরিবারকে বিনামূল্যে প্রাণি চিকিৎসাসেবা এবং গোখাদ্য প্রদান করা হয়। এসময় ফুট রট, খুরা রোগ, লাম্পি স্কিন ডিজিস, মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি, ডাক প্লেগ, এসিডোসিস এবং প্যাপিলোমেটোসিস ইত্যাদি রোগসমূহ বেশি দেখা গেছে।

মেডিকেল টিমে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সিভাসুর সহযোগী অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফূল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার পারভেজ, ফেনী সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম খোকন, ফুলগাজী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমিন এবং সিভাসুর মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে অধ্যয়নরত মাস্টার্স এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীবৃন্দ। 


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




খুন জবরদখলের একাধিক মামলা সত্ত্বেও থেমে নেই যুবলীগ কর্মী

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও থেমে নেই খুন, জমি দখল ও জালিয়তির মাধ্যমে জমি বিক্রি সহ একাধিক মামলার আসামি, এক যুবলীগ কর্মী।। আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। বিগত ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের সাভার-আশুলিয়ায়, উপর লেভেলের নেতা ছিল তার আত্মীয়-স্বজন। অভিযোগ উঠেছে সেই দাপটেই চালাতেন জমি দখল সহ নানান অপকর্ম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি বাড়ি দখল ও জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।

এর আগে জমি দখলের পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১১ সালের ১৪ ই এপ্রিল রাত ৯টায় আশুলিয়ার মধ্যগাজীরচট এর মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে, নূর মোহাম্মদ (৫০) ও তার সুপারভাইজার ইকবাল হোসেন (২৭) কে, বাড়িতে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি করার ঘটনায় মামলা হয় আনোয়ার হোসেনের নামে। বোমার আঘাতে নূর মোহাম্মদের দুই উরুসহ অন্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সুপারভাইজার ইকবালের বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ার হোসেনের পিতা চান মিয়াকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। অস্ত্রসহ পালিয়ে যায় আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা।

১৫ এপ্রিল ২০১১ ইং আহতের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন আশুলিয়া থানায় চান মিয়া ও তার পুত্র আনোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/১০৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা নং ৩৮(৪)১১করেন। যেখানে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এবিষয়ে আহতের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ৮১ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৮ শতাংশ জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে আনোয়ার ও তার বাবা। পরে পুরো জমি দখল করতে চেয়েছিল তারা। এতে বাধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারের বাবা চান মিয়াকে পুলিশ আটক করে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দেয়া হয়, এমতাবস্থায় আমাদের উকিলকে আমাদের অজান্তে ম্যানেজ করে আনোয়ার। উকিল পরবর্তীতে কোন এক অজানা কারণে দুই দুইবার মামলার তারিখে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেই। এমতাবস্থায় ওর বাবা চান মিয়া মারা যায়, এবং আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করে দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেয় । তাই আর আপিল করিনি। তার আত্মীয় স্বজন যুবলীগের বড় নেতা হওয়ায় দাপটের সাথে চলাফেরা করতো।

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন চৌধুরীর বায়নাকৃত ১০৭ শতাংশ জমি দখল করতে গেছিলো। সে ঘটনায় ১১ অক্টোবর ২০০৬ ইং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের প্রতিবেদনে বাব ছেলের নাম উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলে, তাদের চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ ভুয়া জাল কাগজ এর মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল ও ভূমিদস্যুতার সাথে লিপ্ত এবং তাদের কার্যকলাপের ঘটনা থানায় অভিযোগপত্রসহ পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে লেঃ কর্নেল ইকবাল এনামুল করিম স্বাক্ষরিত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন (স্মারক নং -১৩০/৬০/২৯-এ/প্যাঃমিঃ) দাখিল করেছিল, তৎকালীন র‍্যাব হেডকোয়ার্টার অতিরিক্ত মহাপরিচালক বরাবর। আর আমরা যদি দুর্বল হতাম প্রতিবাদ না করতাম তা হলে আমাদের জমি আর ফেরত পেতাম না।

২০২০ সালে যুবলীগের পরিচয়ে আশুলিয়া থানার বাইপেল এলাকায় একটি মার্কেট দখল করতে গিয়ে ৫ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি। এবং মালিকপক্ষের মাকসুদা নামের এক নারীকে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে সকালে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে মারাত্মক জখম করে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় ৬ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং মামলার ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৮৫/৫০৬ ধারায় ৪ নং আসামী ছিলেন চান মিয়ার ছেলে যুবলীগ কর্মী আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী নারীর ভাই ও মামলার বাদী ফারুক হোসেন বলেন, আনোয়ার আসলে একজন কিলার, কন্টাক্ট কিলার। আপনারা খবর নিয়ে দেখেন সবাই বলবে সে কি রকম খারাপ লোক। আমার বোনের মার্কেট থেকে তারা দখল করে ভাড়া নিতো। আমরা দোকানদারদের ভাড়া দিতে নিষেধ করেছি, বলেছি যাদের কাগজ সঠিক প্রমান হবে তাদেরকে ভাড়া দেওয়ার জন্য। যেহেতু বিষটি বিচারাধীন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও মেরে হাত পা ভেঙে দেয়। আমার কথা হচ্ছে কাগজে যে পাবে, যে অরিজিনাল মালিক, তাকে বুঝিয়ে দেয়া হোক জমি। আমি যদি মালিক না হোই আমি নিবো না। তাও মারামারির মধ্যে আমি নাই। আমার বোনটাকে মেরে শুধু শুধু জীবনটা শেষ করে দিছে।

২০১০ সালে চান মিয়া ও তার ছেলে আনোয়ার হোসেনে, মৃত জুলফিকার আলী ভুঁইয়ার ছেলে ধানমন্ডির বাসিন্দা মোহাম্মদ শামসুল আলম ভূঁইয়া এবং স্ত্রী মিসেস ফয়জুন নাহারের, ১৯৯৮ সালে ৪৮৩২/৪৮২৪ নং দলিলমুলে ক্রয়কৃত বাইপাইল মৌজার ৫০ শতাংশ জমি, এই দম্পতির অনুপস্থিতির সুযোগে দখল করে। বাপ ছেলের জবরদখলের বিরুদ্ধে আদালতে ৪২৫/২০১০ ধারায় মামলা করেন এই দম্পতি। আদালত চান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন গংদের এই সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ ও বাদী পক্ষের ভোগ দখলে কোন প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি না করার আদেশ জারি করে। আদালতের আদেশ অমান্য করে চান মিয়া সহ তার পুত্র আবুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন গং শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। হত্যার হুমকি সহ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এই দম্পতির কাছে।

এ ঘটনা উল্লেখ করে ৩০ শে জুলাই ২০১০ আশুলিয়া থানায় জিডি নং ২০০৫ দায়ের করে ঐ দম্পতি। তাতেও কাজ না হওয়ায় ৬ অক্টোবর ২০১০ সালের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এর দপ্তরে ডাইরি নং ৩৪২৭ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবন ও সম্পত্তির রক্ষার আবেদন করেন ফয়জুন নাহার দম্পতি। সে সময় ১০ অক্টোবর ২০১০ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের স্বাক্ষরে ঐ আবেদন পত্রে লেখা হয়, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে।

২০১৭ সালে ঢাকার বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুর রশিদ খানের দুই ছেলে আব্দুর রফিক খান এবং আশিকুর রহমান খানের আশুলিয়া থানার বাইপেল মৌজার ৮৭৬৮ নং খতিয়ান এর ১৯৮ ও ৯৭৩ দাগের ১১ শতাংশ একটি বাড়ি সহ জমি। তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে, নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দখল করার অভিযোগ এনে ৩০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা নং ৮১/১৭ করেন দুই ভাই।

বাদি আশিকুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেনের জবরদখলের বিরুদ্ধে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি। মামলার তদন্ত করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তদন্তে চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন জোরপূর্বক ভাবে নির্মাণ কাজ করার ও জবর দখল করার পাঁয়তারা করিতেছে এবং আনোয়ার জোরপূর্বক ভাবে নির্মাণ কাজ করলে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে মর্মে, তৎকালীন আশুলিয়া থানার এসআই ফরাদ একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। এই মামলায় আমাদের পক্ষে আদালত রায় দেয়। রায় পেয়ে আমরা জায়গাটি দক্ষিণ গাজীরচটের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফুল আলমের কাছে বায়না সূত্রে বিক্রি করি।

পূর্বের মতো আদালতের রায় অমান্য করে, চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বায়নাকৃত জমির সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং আশরাফুল আলমকে ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। আইনগতভাবে আমি সকল দিক থেকে জমির মালিকানা বুঝে পেয়েছি । কিন্তু আমি এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়ায় পেশি শক্তিতে পেরে উঠছি না ।

আমি যেহেতু জায়গা বায়না করে বিক্রি করেছি, যে কিনেছে বাকি আইনগত ব্যবস্থা সে নিবে। সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে আশরাফুল আলম।

অভিযোগকারী আশরাফুল আলম বলেন, আমি ১৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বাইপাইল মৌজার ১১ শতাংশ জমি দুই সহোদর, আশিকুর রহমান খান ও আব্দুর রফিক খানের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে বায়না করি। বায়না ভিত্তিতে আমি আমার সাইনবোর্ড লাগাই উক্ত জায়গায়। ২৬ আগস্ট ২৪ তারিখে চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং যুবলীগের আশুলিয়া থানা যুগ্ন আহবায়ক মইনুল ইসলামের ম্যানেজার সুজন (৩৫) সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, আমার সাইনবোর্ড ভাঙচুর এবং আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় আমি আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।সে একজন খুনি, সে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর রাত তিনটায় আশরাফ আলী মোল্লা (২৬) নামের এক যুবকের হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি। আশুলিয়া থানার পুলিশ বাদি ৩১ নং মামলার ধারা ৩০২/৩৪ এবং ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৫০৬ ধারায় ২৬ ডিসেম্বর আটক হয়ে, ২৯ ডিসেম্বর ২ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে দীর্ঘদিন জেল খাটে।

আমাকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে ভূমিদস্যু আনোয়ার গং এর হাত থেকে রেহাই পেতে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।

এ সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে চান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি যুবলীগের কোন পদে ছিলাম না। আমার ভাই ব্রাদার আত্মীয়-স্বজন রাজনীতি করতো। আমার ফুফাতো ভাই মইনুল ওয়ার্ড মেম্বার। সে যুবলীগের আশুলিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলো। আমি তার কাছে যেতাম অস্বীকার করার কিছু নাই। আমি কোন মিছিলে যাইনাই। তবে ঘরোয়া মিটিংয়ে, যেমন শাহাদাত হোসেন খানের মিটিং হইছে, এমপি এনাম সাহেবের মিটিং হইছে, এইসব ঘরোয়া মিটিংয়ে যাইতাম এতটুকই

জমির ব্যাপারে ভাই কাগজ ছাড়া কেউ জমি খাইতে পারে না । ২০১০ সালের এই যে ৫০ শতাংশ জমি এখনো ফাঁকা। ওই জমির ব্যাপারে আমরাও মামলা করছি আদালতে। ওই জমির বিএস আমার নাম থেকে কাইটা গেছে, সেটার উপরেও কেস চলতেছে। এখানে চাঁদাবাজির কোন বিষয় না

২০১১ সালে নূর মোহাম্মদকে গুলি করা ও বোমা মারার ঘটনার বিষয় বলেন, ১১ সালের হিসাব যদি এখনো করে !, ১১ সালে একটা জমি নিয়া মারামারি হইছে, মুরাদ জং আইছিলো এইখানে। ওইখানে আমারে ধরবো কেন ? আশ্চর্য বিষয় ! ১১ সালের ঘটনা ঐ মালায় আমারে আসামি করছে।হেরা দেখছে যে না, পরে একটা আপস মীমাংসা হইছে। পাশাপাশি বাড়ি এ জায়গায় আমারে মামলা দিছে, আর মামলাও শেষ, হেরা নিজেরাই মীমাংসা করছে। হেরা আমার বাসায় আইসা দাওয়াত খায় আমি হেগো বাসায় যাইয়া দাওয়াত খাই। কিলারের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি যদি কিলার হোইতাম তাহলে কি বাসায় ঘুমায়তে পারতাম ? বাসায় থাকতে পারতাম?

১১ শতাংশ জমির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এইখানে মার্কেট কইরা বাড়ি কইরা ২০০৯ সাল থেকে ভাড়া দিয়া খাইতেছি । আরেকজন একটা জিন্নুর আইনের দলিল নিয়ে আমার সাথে ঝামেলা করতেছে । আপনি আশেপাশে এসে খোঁজখবর নিয়ে দেখেন। এ বিষয়ে আমি আর্মির কাছে অভিযোগ দিছি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিছি। আমার বাড়ি দখল করার চেষ্টাও করেছে এটা সবাই স্বাক্ষি আছে

সাইনবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই মোতালেব বলেন, গত দুইদিন আগে আশরাফুল আলম নামে একজন অভিযোগ করেছে। আমি অভিযোগের ভিত্তিতে আনোয়ারের সাথে প্রাথমিকভাবে ফোনে কথা বলেছিলাম। আনোয়ার হোসেন বলেছে জায়গাটির উপরে আদালত থেকে ১৪৪ জারি করা আছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে যায়নি এখনো । ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য গেলে, পুরো বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আহত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে আহত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

তিনি আরও বলেন, আহত পুলিশ সদস্যগণ দ্রুত সুস্থ হয়ে জনগণের সেবায় মনোনিবেশ করবেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের করা হবে।

এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ,  চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ড. আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে হত্যা করে শোবার ঘরের খাটের ওপর ফেলে যায় তারা। উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), ছেলে সাহাব উদ্দিন (৯), এবং শাহপরানের ভাগনি তিশা আক্তার (১৪)। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন।

স্থানীয়রা জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো. শাহপরান চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও ভাগনি তিশা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খাটের ওপর ফেলে রেখে যায়।

ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলোর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪