পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আওয়ামী লীগে নতুন কর্মী সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে নিকট অতীতের রাজনৈতিক পরিচয় এবং পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থা যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র আমাদের নেতারা সমর্থন দিচ্ছেন এজন্য যে কাউকে নতুন কর্মী হিসেবে নেয়া যাবে না। ব্যক্তি স্বার্থকে দলীয় স্বার্থ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন দলের কাউন্সিলররা। অতীতে যে প্রক্রিয়ায় পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন এবারও এর ব্যাতিক্রম হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ কোন নির্দেশনা থাকলে সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের নিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে। এমন নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেবার মানসিকতা নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অর্জনগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরে জনগনের আস্থা অর্জনে সফল হবে। আগামী দিনে যাতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে পারি সেজন্য পঞ্চগড়ের সকল নেতাকর্মীকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সভায় পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, আবু তোয়বুর রহমান, মির্জা সারোয়ার হোসেন, আবু সারোয়ার বকুল, মনিরা পারভীনসহ কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৯ মার্চ পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাউন্সিলরদের ভোটেই তিন বছরের জন্য পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন উৎসবমূখর করতে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমানকে আহবায়ক ও বর্তমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় পঞ্চগড় জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পাঁচ উপজেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগন সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
একই দিন বিকালে মন্ত্রী জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল ইসলাম মন্টুর কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান।