আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দোহারে পুকুরে ভাসমান বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকা দোহারে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাবলু (৬০) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের চরকুশাই খান বাজার সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ পাশের ভাঙ্গা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি শিলাকোঠা গ্রামের মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে ও মজিবর বিশ্বাসের চাচা বলে জানা গেছে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে দোহার থানা পুলিশকে জানায়।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল ও ওসি তদন্ত আজাহারুল হক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস ও ডোমের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা যায়, নিহত লাবলু গত ২০/২৫ বছর আগে তিনি প্রবাসে ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর লোকটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং সবাই তাকে মামা মামা বলে ডাকতো। উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রাঘাটে বেশির ভাগ সময়ই তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

দোহার থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষ করে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের আত্মীয় স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না পেলে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আর অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন প্রস্তাব

রাজনীতিতে সংলাপের আবহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপের প্রস্তাবে নমনীয় দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংলাপে সরকারের আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান। একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়ে জানাবে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বলেছেন, সংলাপ হলে জাতীয় পার্টি যোগ দেবে। তবে সংলাপের উদ্যোগটি সরকারকেই নিতে হবে।

সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়ে শর্তহীন সংলাপের বসার আহ্বান জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার চিঠি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ সময় সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন সাহেব যদি সংলাপ করেন, আমিও রাজি।

বন্ধু দেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় জানিয়ে মোমেন বলেন, সবাই নিজ নিজ মতামত দিচ্ছেন। আমরা এটা মাইন্ড করছি না। আমাদের বন্ধু দেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয় আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নেই, সেটাকে মূল্যায়ন করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটাকে গ্রহণ করি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম পরামর্শ বহু আসে। আসুক, আমরা দেখি পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কিনা, বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসএর (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছেন, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ, খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের সত্যিকারের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণের চেষ্টা করি।

দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কি কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চায়। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন কোথাও বিঘিœত না হয়। আগেও বিএনপি সরকার এবং তাদের উত্তরসূরিরা মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নষ্ট করেছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভলকার টুর্কের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনাকে বলেন উনার দেশে বন্দিকে, অপরাধীকে, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কিনা?

দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে বিএনপি। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়ে জানাবে। সেটি তাদের চিঠির মাধ্যমেই হোক, আর যেভাবেই হোক।

তিনি বলেন, ওরা (মার্কিনিরা) চেষ্টা করছে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। মনে হচ্ছে এটা তাদের এই মুহূর্তের উদ্দেশ্য। দলের এই অন্যতম নীতিনির্ধারক বলেন, যা-ই হোক, বিএনপি সব সময়ই সংলাপ পছন্দ করে। কিন্তু সেই সংলাপ হতে হবে যৌক্তিক তথা রিলেভেন্ট বিষয় নিয়ে। আর সেজন্য একটা উপযোগী পরিবেশও দরকার। আমাদের দলের পক্ষ থেকে যারা কথা বলবেন কিংবা সংলাপে অংশ নেবেন তারা প্রায় সবাই কারান্তরীণ। বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাকর্মীকেই বর্তমানে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারাগারের ভেতরেও তাদের অত্যন্ত মানবেতরভাবে রাখা হয়েছে। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ক্র্যাকডাউন চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মীর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এমন একটা শ্বাস-রুদ্ধকর অবস্থায় সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি করে রেখে একটি একতরফা নির্বাচনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এজন্য তারা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণারও পাঁয়তারা করছে। এই অবস্থায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলাপ-আলোচনা শেষে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটুকু বলা যায়, বিএনপি এ ব্যাপারে জানাবে।

তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সংলাপের বিষয়ে তারাও ইতিবাচক। তার আগে কারাগারে থাকা সিনিয়র নেতাদের মুক্তি চায় দলটি। একইসঙ্গে যেসব দাবিতে চলমান আন্দোলন চলছে তা-ও বাস্তবায়ন চায়। দলটি এসব দাবিকে শর্ত হিসাবে মনে করে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বলেন, সংলাপ আমরা অবশ্যই চাই। আমরা এতে যোগও দেব। কিন্তু সংলাপের উদ্যোগটি নিতে হবে সরকারকে।

এদিকে শর্তহীন সংলাপ করতে হলে বিএনপিকে সরকার পতনের একদফা প্রত্যাহার করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপিকে একদফা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার) হাস আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনুধাবনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসার জন্য তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

সংলাপের সঙ্গে তফশিলের কোনো সম্পর্ক নেই- অ্যাটর্নি জেনারেল : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার মতে, সংলাপ যে কোনো সময় হতে পারে। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে তফশিল ঘোষণা করা। সংলাপের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে সে অনুযায়ী তাদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে। কোনো কারণে যদি একটা বা দুটো উপনির্বাচন করতে হয় সে কারণে তাদের হাতে সময় রাখতে হবে। সেটাও এ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ কারণে হাতে কয়েকদিন সময় রেখে এটা করতে হবে।

তফশিল ঘোষণা অতি সন্নিকটে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, আমি মনে করছি খুব শিগগিরই তারা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করবেন। সংলাপের সঙ্গে নির্বাচনের তফশিলের কোনো সম্পর্ক নেই। সংলাপ যে কোনো সময় হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: রাজনীতি সংলাপ

আরও খবর



বিএনপি থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন যেসব হেভিওয়েট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলটির একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল থেকে বের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেবল বিএনপির পদে থাকা নেতারা নন, অতীতে বহিষ্কার, পদচ্যুত অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নেতারাও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসব নেতা দল ছাড়লেও এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন তারাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া অন্তত তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, দুজন উপদেষ্টা, কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা, সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং মাঠপর্যায়ের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম), কেউ তৃণমূল বিএনপি আবার কেউ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনকি একজন প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগ থেকেও নির্বাচন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতির অমোঘ টান উপেক্ষা করতে পারেননি এসব হেভিওয়েট নেতা। তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর চমক দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ এই নেতা শেষ জীবনে এসে রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়েছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। নৌকার প্রার্থিতা জমা দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বিএনপিও তাকে বহিষ্কার করেছে।

এ আসন থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. ইউনুস। সে বছর মনোনয়ন চেয়েও পাননি শওকত মাহমুদ।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই মুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনি আসন ব্রহ্মণবাড়িয়া-১। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনি আসন ফরিদপুর-১।

এ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবং ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু জাফর। এবার তিনি নোঙর প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা ও বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ও জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন।

দলে বড় কোনো পদ না থাকলেও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪। এ আসন থেকে ১৯৯৪ (উপনির্বাচন), ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি), ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (টাঙ্গাইল-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।

এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে তাদের প্রভাব ও পদপদবি তেমন না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

দলের নেতাদের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটাকে আমরা খুব বড় ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এত বড় দল থেকে দু-চারজন বেরিয়ে গেলে তেমন কিছু হয় না। সরকারের চাপে পড়ে যে কজন বেরিয়ে গেছেন, তাদের ছাড়াই দল ভালো মতো চলবে।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপি-জামায়াতের ২২ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ২২ নেতাকর্মীকে দুই বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ পৃথক ধারায় এ রায় দেন।

রায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আসামিদের আরও দুইমাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আজিজুল বারী হেলাল, মো. আব্দুস সালাম, মো. আমিনুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, সৈয়দ ইমরান আহম্মেদ, মো. গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন ভূঁইয়া, আরিফুল ইসলাম, মো. ছেকন মিয়া, মো. তাহের মৃধা, এসআই টুটুল, আশরাফুল হক, আবু বকর সিদ্দিক, মো. মোজাম্মেল হক, বেলাল হোসেন, সোলেমান হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, অপু সিকদার, আফাজ উদ্দিন ও এম কফিল উদ্দিন।

২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলাটি করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুন ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




১০ মিনিটের ব্যবধানে ঢাকায় দুই বাসে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় অবরোধ শুরুর আগেই ১০ মিনিটের ব্যবধানে রাজধানীতে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে নটরডেম কলেজের পুলিশ বক্সের সামনে লাল সবুজ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর ১০ মিনিট পর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে গাবতলী এক্সপ্রেস পরিবহনের (৮ নং) একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নটরডেম কলেজের পুলিশ বক্সের সামনেবাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

এছাড়া গাবতলী এক্সপ্রেস পরিবহনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর আ.লীগে যোগদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের অনুসারী হয়ে তারা যোগদান করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা পদত্যাগ বিষয়টি ঘোষণা দেন। 

পদত্যাগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, যুবদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বশির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিব ভূট্টো ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন।

সম্মেলনে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর দীর্ঘদিন দলে মূল্যায়ন না পাওয়ায় সম্প্রতি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এবং ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নিবার্চন করছেন। দলের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ ও প্রিয় নেতা শাহজাহান ওমরের সমর্থনে আমরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।

তাদের নেতৃত্বে থাকা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩