আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারীকে সাময়িক অব্যাহতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি:

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত সন্দেহে নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী সিহাবকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এছাড়া কালোবাজারি চক্রের ৬ জনের নামে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শনিবার (২রা এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের সাথে প্রায় ২ ঘণ্টা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রতিনিধি দলটি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ডিসিও নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অতিদ্রুত কালোবাজারিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ডোমারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল কালোবাজারিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কালোবাজারি রুখতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে, অতিদ্রুত অন্যন্য জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকায় ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী সিহাবকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান ও স্টেশনে কর্মরত একজন শ্রমিকের চাকুরী বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করার পর কালোবাজারি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশা করছি। এছাড়া কালোবাজারি সিন্ডিকেট রুখতে সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে ৩রা এপ্রিল থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা সহ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেনডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরননবী, ডোমার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুবেল ইসলাম, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাসুদ রানা, সহকারী স্টেশন মাস্টার মোসাদ্দেক আলী, ডোমার প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক মাসুম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার উপজেলা শাখা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদুল ইসলাম সানবীম, ডোমার উপজেলা শাখা সুজনর সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, দৈনিক ইনকিলাব এর উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম আপেল, সাবেক ইউপি সদস্য নুর ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, বাবলা সহ শতাধিক এলাকাবাসী।

কালোবাজারি চক্রের অভিযুক্ত ৬ জন হলেনডোমার পৌরসভার স্টেশনপাড়ার মতিউর রহমান মতি, লিটন ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, নাছিরুল ইসলাম, খোকন ইসলাম, রিপন।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ডোমার বাজার রেলগেট মোড়ে ডোমারবাসীর আয়োজনে রেলস্টেশনের কালোবাজারি বন্ধ ও অপরাধীদের শাস্তির দাবীতে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। সেখানে প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রদান করা হয়।


আরও খবর



সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ‘ভুল ধারণা’ পরিবর্তন জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে  যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই নানারকম ধারণা চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলছেন, এসব ধারণার প্রায় সবগুলোই সম্পূর্ণ ভুল এবং এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এরকম কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে:

রান্না করা, খাবার খাওয়া : এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে সেটিও অমঙ্গলজনক। কিন্তু এরকম ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।

গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, 'সংস্কার' আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।

ভ্রমণ না করা : সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক - এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেক মানুষের মধ্যেই। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গ্রহণের পর গোসল করা : সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এই ধারণাটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক নওরীন আহসান।

তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় সূর্যের রশ্মি গায়ে লাগলে যতটা ক্ষতি হোতো, সূর্যগ্রহণের সময় তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় যে আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্ষতি হবে, এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখা : সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসানের মতে, শুধু সূর্যগ্রহণের দিনই যে সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয় - এমনটা নয়। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে - যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক নওরীন আহসান আরও বলেন, যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। তবে সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান ও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত রেখেছে। তবে তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিসেই তা কার্যকর করতে পারবে বলে চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েল হায়ুম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন- জবাব দেওয়া হবে।

আর এনবিসি নেট্য়ার্ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিকল্প পন্থাগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েল জবাব দেবে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পক্ষে। তবে জবাবের সময় এবং মাত্রা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় ইরানি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে। শনিবার রাতে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এ সময় তারা প্রায় ৩৫০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এগুলোর ৯৯ শতাংশই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি হিব্রু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এই ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এবং তার ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সহকর্মী গাদি আইজেনকট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষক) উভয়ে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তাব করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, আইডিএফ প্রধান হারজি হ্যালেভি এবং অন্যরা প্রস্তাবটির দৃঢ় বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন, একইসাথে এত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে প্রচুর চাপের সৃষ্টি হবে।

এদিকে পৃথক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে না। তবে বিষয়টি তাদেরকে আগে জানাতে হবে এবং সমন্বিত হামলা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সরকারিভাবে জানিয়েছে- তারা ইরানে ইসরায়েলের কোনও পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

চ্যানেল ১২ আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এখন সংযত থাকার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত চুক্তি করতে চাচ্ছে এবং তা করতে চাচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই।


আরও খবর



সৌদি সুন্দরী রুমি আল-কাহতানির পাঁচ অজানা তথ্য

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স) প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের হয়ে অংশ নিতে যাচ্ছেন সৌদি মডেল রুমি আলকাহতানি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মেক্সিকোতে প্রতিযোগিতার এ আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইনস্টাগ্রামে আল-কাহতানি লিখেছেন, মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এ অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এটি সৌদি আরবের প্রথম অংশগ্রহণ।

নাম সামনে আসার পর ইতঅমধ্যে রুমির ইনস্টাগ্রামে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। কে এই সুন্দরী, কী তার পরিচয় তা জানতেই চলছে স্ক্রলিং। রুমি আলকাহতানির ইনস্টাগ্রাম থেকে পাওয়া গেছে পাঁচটি তথ্য।

একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী : রুমি আল-কাহতানি জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদির রাজধানী রিয়াদে। নিজ ইনস্টাগ্রামে তার চোখ ধাঁধানো সব ছবি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন রুমি। মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস, মিস ওমান, মিস মিডল ইস্টসহ আরও বেশ কিছু ইভেন্টে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় তার অভিজাত লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় : ইনস্টাগ্রামে রুমির রয়েছে লাখ লাখ অনুসারী। আর এক্সে (পূর্বের টুইটারে) রয়েছে দুই হাজারের বেশি অনুসারী। স্ন্যাপচ্যাটেও বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা যায় এই সৌদি সুন্দরীকে।

ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে : আরব আমিরাত, মিশর, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয় করছেন তিনি। জানা গেছে, ভ্রমণ প্রীতি রয়েছে রুমি আল-কাহতানির। সম্প্রতি তার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের একটি রুপটপ পুলে অবকাশ যাপন করছেন এই সুন্দরী।

ডিজাইনার জুয়েলারি সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন : রুমি ইনস্টাগ্রামে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার ছবিই আপলোড করেন না। একটু ঘাঁটতেই দেখা যায়, সৌদি এই সুন্দরী নিখুঁত ও ডিজাইনার গয়না পরতে বেশ ভালোবাসেন। কার্তিয়ারের ব্রেসলেট থেকে শুরু করে বুলগেরির গয়না, সবই খুঁজে খুঁজে নিজের গয়নার বাক্সে রাখেন তিনি।

দিন শেষে পরিবারই তার সব : পারিবারিক বন্ধন যে রুমির কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝা যায় তার নিউজফিড দেখে। দুই বোন রাজান ও জেদাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন তিনি।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগে মায়ের মুক্তি চেয়ে চেম্বার আদালতে ৪ বছরের নুরী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে গ্রেপ্তার চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দিলেও ১০ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

সম্প্রতি মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে বেশ আলোচনায় আসে নুরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছোট্ট নুরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, এই মহিলা আসামি হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান এবং ফুটেজ উপস্থাপন করতে বলেন।

গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিএমপি বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর