এক দফা দাবি নিয়ে বিএনপি’র ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধ চলমান রয়েছে। অবরোধে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ-ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যানবাহন নদী পারাপারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। লঞ্চেও যাত্রীর সংখ্যা কমে এসেছে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, অবরোধ না থাকলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এক পারে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট যানবাহনসহ মোট গড়ে ২ হাজার যানবাহন পার হয়। সব মিলে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার সকল প্রকার যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। কিন্ত অবরোধ থাকায় যাত্রীবাহী কোন বাস ফেরি পারাপার হচ্ছে না। তবে দুই পার মিলে ২৫/২৬শত পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকার-মাক্রোবাস নদী পারাপার হয়। সেই হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসি’র রাজস্ব আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া পারে ৭টি ফেরি ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ৭নং ফেরি ঘাট সচল রয়েছে। বাকিগুলো দীর্ঘ দিন যাবৎ বিকল রয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমান ৭টি ছোট বড় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এই নৌরুটে যে সকল যানবাহন ফেরি পার হতে আসছে তাদের কোন সমস্যা হয় না। নদী পারাপার হতে কোন যানজটে পরতে হয় না।
নাম না বলার শর্তে একাধিক ফেরি মাস্টার বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্ত যানবাহন অনেক কম। অনেক সময় বাধ্য হয়ে অর্ধেক ফেরি ফাঁকা রেখে ফেরিগুলো ছেড়ে যেতে হয়।
তিনি আরোও বলেন, ফেরি চালানোর ব্যয় কমেনি। রাজস্ব আয় অর্ধেকে কমে এসেছে। তিনি বলেন, ফেরি চালালে ব্যয় থাকবে। কিন্ত আয় থাকলে ব্যয়ের কোন সমস্যা হয় না।
ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক চালক জব্বার প্রামানিক বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আগের মত দুর্ভোগ নেই। এখন ঘাটে এসে ফেরি পার হওয়া সম্ভব। তবে বিএনপির ডাকা অবরোধে গাড়ি নিয়ে বের হতে ভয় করে কারণ যে কোন সময় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। কিন্ত কি করবো। প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে।
এসময় নদী পার হতে আসা যাত্রীরা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সহজে ফেরি পার হতে পারলেও মহাসড়কে অনেক দুর্ভোগ। কারণ স্থানীয় লোকাল গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করলেও দূরপাল্লার যানবাহন শূন্য রয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয়।